সিঁড়ির মুখে দড়ির ফাঁস লাগানো মহিলার উল্টানো মৃতদেহ দেখে প্রশ্ন-কি করে এমনটা হল?

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতাকৃষ্ণা দাস

 Published on: অক্টো ১৩, ২০১৮ @ ১৭:৩৮

এসপিটি নিউজ, জলপাইগুড়ি, ১৩অক্টোবরঃ দোতলা বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। বাড়িতে নিয়মিত ছেলে-মেয়েদের যাতায়াত লেগেই ছিল।এরই মধ্যে ঘটে গেল এমন এক কাণ্ড। যা নিয়ে শুরু হয়েছে অনেক জল্পনা। এলআইসি কর্মী ওই মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। বাড়িতে সিঁড়ির সামনে ওই মহিলার গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় উল্টানো মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের নাম গোপা শর্মা (৫৫)।

প্রশ্ন উঠছে-কি এমনটা হল? এর কোনও জবাব না পাওয়া গেলেও পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে যা জানা গেছে, তা হল- গোপাদেবী এলআইসি অফিসে কাজ করতেন। তিনি বাড়িতে একাই থাকতেন। বাড়িতে একাধিক ছেলেমেয়েদের যাতায়াত লেগেই থাকত। বিভিন্ন এলাকা থেকে একাধিক যুবক-যুবতী তার বাড়িতে আসতেন। যদিও এটা নিয়ে কারও মনে কোনও সন্দেহ ছিল না, কারণ তিনি যেহেতু এলআইসি কর্মী ছিলেন তাই তার বাড়িতে এলআইসি এজেন্টদের যাতায়াত থাকতেই পারে।

এখন প্রশ্ন, যারা আসতেন তারা কি সত্যি এলআইসি এজেন্ট ছিলেন নাকি অন্য কিছু। এই সন্দেহ আরও বেশি করে দানা বাঁধে গোপাদেবীর এমন রহস্য মৃত্যুর পর।কারণ জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপাদেবীর বাড়িতে দুই যুবক ঘর ভাড়া নেওয়ার জন্য গিয়েছিল।এখন প্রশ্ন, কারা এই যুবক। কোথা থেকে এরা এসেছিল। এখন যদি এরাই গোপাদেবীকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে যায় তাহলে প্রশ্ন, ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করল কে? তবে কি ঘরে কি অন্য কেউ ছিল? গোপাদেবীকে ফাঁস লাগিয়ে সে বা তারা অন্য পথ দিয়ে পালিয়েছে? এসব প্রশ্ন কিন্তু উঠছে। জল্পাইগুড়ি কোতয়ালি থানার পুলিশ এসব কিছুই খতিয়ে দেখা শুরু করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে তার বাড়ির পরিচারিকা কাজ করতে এসে গোপাদেবীকে অনেকবার ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনও সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হয় পরিচারিকার। এরপর প্রতিবেশীদের খবর দেয় সে। প্রতিবেশীরাও এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে শেষে খবর দেয় কোতয়ালি থানায়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখতে পায় গোপাদেবীর মৃতদেহ উল্টানো অবস্থায় দোতলার সিড়ির মুখে পড়ে রয়েছে।

Published on: অক্টো ১৩, ২০১৮ @ ১৭:৩৮

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 11 = 13