রন উৎসবের জন্য সেজেছে কচ্ছের ‘টেন্ট সিটি’, আজ থেকে খুলে দেওয়া হল পর্যটকদের জন্য

দেশ ভ্রমণ
শেয়ার করুন

Published on: নভে ১২, ২০২০ @ ১০:৩০
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ: ইতিপূর্বে দেশের নানা প্রান্তেই পর্যটন কেন্দ্রগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে। কোভিড-19 মহামারীর মধ্যেই সমস্ত নিয়ম-বিধি মেনেই এগুলি খোলা শুরু হয়েছে। এবার সেই তালিকায় সংযোজিত হল গুজরাটের নাম। রাজ্যের অন্যতম সেরা আকর্ষণ কচ্ছের ‘টেন্ট সিটি’তে রন উৎসব উপভোগ করার জন্য রাজ্যের সরকার এই কেন্দ্রটি আজ থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দিয়েছে। পাহাড়-সমুদ্র-জঙ্গলের বাইরে যারা একটু অন্যধরনের পর্যটনের স্বাদ পেতে চান তাদের জন্য কচ্ছের লবণ মরুভূমির দৃশ্য মনোরঞ্জন দেবে নিঃসন্দেহে।

রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন- “কোভিড-19 এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সামাজিক দূরত্ব এবং নিয়মিত স্যানিটাইজেশন নিশ্চিত করার যথাযথ ব্যবস্থা করেছি।” কচ্ছের রনের এই ‘টেন্ট সিটি’ রন উৎসবের জন্য আজ থেকে খুলছে আর চলবে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।সংবাদ সংস্থা এএনআই তুলে ধরেছে আলোকজ্জ্বল তাবুর কয়েকটি ছবি।    

কি ব্যবস্থা হয়েছে

রন উৎসব উপলক্ষে সাদা রন লবণ মরুভূমির অপূর্ব দৃশ্য দেখতে পর্যটকদের জন্য গুজরাটের ভূজ জেলার ধোড়ডো গ্রামে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ছাড়া এবং শীতাতপনিয়ন্ত্রিত উভয় ধরনের, 350 টিরও বেশি তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম লবণ মরুভূমির মধ্যে একটি। 7,500 বর্গকিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে আছে। এখানে আপনার চোখের দৃষ্টি যতদূর যাবে ততটুকুই আপনি তুষার সাদা বালির বিস্তৃতি দেখতে পাবেন।গুজরাট ট্যুরিজম বোর্ডের সহযোগিতায় রন উৎ্সব আয়োজনকারী লাললুজি অ্যান্ড সন্স, ফিনান্স অ্যান্ড অপারেশন ম্যানেজার ভাভিক শেঠ জানিয়েছেন, “আমরা কোনও কোনওরকম ত্রুটি রাখিনি।”

রন উৎ্সব কী?

এটি ভারতের অন্যতম প্রত্যাশিত পর্যটন ইভেন্ট। রন উৎসব প্রাকৃতিক আশ্চর্য উদযাপন করে যা কচ্ছের সাদা রন এবং এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।এই উৎসব চালুর পরে, 20 টিরও বেশি দেশ থেকে 5,00,000 দর্শনার্থীর আগমন হয়েছে। টেন্ট সিটি একাই প্রতি বছর প্রায় 35,000 দর্শনার্থীকে আকর্ষণ করে। এটি 2005 সালে তিন দিনের উৎসব হিসাবে শুরু হলেও ধোড়ডোতে এখন তা 100-দিনের উদযাপনে রূপান্তরিত হয়েছে। অস্থায়ী পরিকাঠামো সহ একটি নতুন টেন্ট সিটি প্রতি বছর উৎসবগুলির জন্য এখানে নির্মিত এবং পুনর্নির্মাণ করা হয়।

সাদা রন জুড়ে উট সাফারি এবং সূর্যকে লবণ মরুভূমির উপরে নেমে যাওয়ার মতো দৃশ্য দেখার অভিজ্ঞতা ছাড়াও পর্যটকরা কালো ডুঙ্গার (ব্ল্যাক হিল), কচ্ছের জাদুঘর, বিজয় বিলাস প্রাসাদ এবং আশপাশের অন্যান্য স্মৃতিসৌধগুলিতে ঘুরতে যেতে পারেন। কাজের জায়গায় কারিগরদের দেখার এবং তাদের হস্তশিল্প কেনার এবং লোক নৃত্য এবং সংগীত পরিবেশনে অংশ নেওয়ার মতো সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতায় ডুবে যেতে পারেন। অ্যাডভেঞ্চার ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্যে জিপলাইনিং, রক ক্লাইম্বিং, আর্চারি এবং প্যারামোটোরিং অন্তর্ভুক্ত আছে। আপনাকে চাঙ্গা করার জন্য R3 স্পাও রয়েছে। তাহলে আর দেরী কেনো, লাগেজ গুছিয়ে বেড়িয়েও পড়ুন কচ্ছের ‘টেন্ট সিটি’র উদ্দেশ্যে।

Published on: নভে ১২, ২০২০ @ ১০:৩০


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

63 + = 71