মাতৃভাষা হল সেই ভাষা যা কষ্টের মধ্যেও আপনাকে ছাড়ে না – পদ্মশ্রী চন্দ্রপ্রকাশ দেওল

Main দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: এপ্রি ১৮, ২০২৩ @ ১০:৫৯

এসপিটি নিউজ,কলকাতা, ১৮ এপ্রিল:  জৈবিক জন্ম মায়ের গর্ভ থেকে কিন্তু সামাজিক-সাংস্কৃতিক জন্ম মাতৃভাষা থেকে। দুবার হওয়া মানে এটাই। যদিও দেশ স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছে, আমরা রাজস্থানীরা ১৯৪৭ সাল থেকে বোবা ও দাস হয়ে আছি। স্থানীয় মহেশ্বরী ভবনে এসব কথা বলেন পদ্মশ্রী চন্দ্র প্রকাশ দেবল। এখানে মহেশ্বরী গ্রন্থাগারের ১০৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে শতদল অর্পণ সিরিজের অধীনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মাতৃভাষা কেন গুরুত্বপূর্ণ? এই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, মাতৃভাষা আমাদের নিঃশ্বাসের মতো। মাতৃভাষা আমাদের আবরণ, আচার, বিবেক এবং আমাদের বেঁচে থাকার প্রমাণ।

এই উপলক্ষে প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ এবং রাজস্থান হেরিটেজ কনজারভেশন অ্যান্ড প্রমোশন অথরিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান ওঙ্কার সিং লাখাওয়াত বলেছেন যে এই প্রশ্নটি খুব কঠিন পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ। মাতৃভাষা ভুলে যাওয়াকে লবণের অজাচারের সাথে তুলনা করে তিনি সংবিধানের অষ্টম তফসিলে রাজস্থানীকে অন্তর্ভুক্ত করার পথে দাঁড়িয়ে থাকা সংসদীয় বাধাগুলি নিয়ে আলোচনা করেন। তাদের শিকড় চেনার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, রাজস্থানী হিন্দির জননী।

প্রখ্যাত কবি, লেখক, সমালোচক ও গীতাঞ্জলির রাজস্থানী গানের অনুবাদক মালচাঁদ তিওয়ারি মাতৃভাষাকে মানুষের মৌলিক বিষয় বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, মাতৃভাষা সংস্কৃতির সমার্থক। নিজেকে হওয়ার অনুভূতি শুধুমাত্র মাতৃভাষা থেকেই আসে। মানুষের সংবেদনশীলতা মাতৃভাষায় আরও তীব্রভাবে এবং স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়। এই উপলক্ষে তিনি রাজস্থানী ভাষার জন্য বিশ্বখ্যাত ভাষাবিদ ডক্টর সুনীতি কুমার চিয়াতুর্জ্যের কাজের কথাও স্মরণ করেন।

রাজস্থান সরকারের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক হিংলাজদান রতনু বলেন, আজকের অনুষ্ঠানটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তরুণ কবি কৈলাশ সিং রতনু ডিঙ্গলের রচনা ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে তাঁর রচনা শিবর্চন আবৃত্তি করেন।

সভাপতির ভাষণে প্রবীণ গল্পকার রাজেন্দ্র কেদিয়া মাতৃভাষার পূজাকে ঈশ্বরের পূজা আখ্যায়িত করে দুঃখ প্রকাশ করেন যে, মহানগরে রাজস্থানী বাড়ির শিশুরা এখন ইংরেজিতে কাঁদে। এটা সংস্কৃতির অভাবের পরাকাষ্ঠা।

গ্রন্থাগারিক, বিশ্বনাথ চন্দক সবাইকে স্বাগত জানান এবং প্রোগ্রামে সহযোগিতা করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মহেশ্বরী সভার চেয়ারম্যান বুলাকিদাস মিম্মানি। সঞ্চালনা করেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সঞ্জয় বিন্নানী।

অনুষ্ঠানে শিবকুমার লোহিয়া, সন্দীপ গর্গ, মুকুন্দ রথী, রাধেশ্যাম ঝাঁওয়ার, ডক্টর মহেশ মহেশ্বরী, পুরুষোত্তম দাস মুন্ডা, অশোক কুমার দ্বারকানি, সুরেশ বাগদি, রাকেশ মোহতা, আশা মহেশ্বরী, অশোক চন্ডক, বরুণ বিন্নানি, নন্দকিশোর সাদনানি, ড. গিরিরাজ যোশী, বসন্ত মোহতা, রাজকুমার তিওয়ারি, ওমপ্রকাশ চন্ডক, মহেশ এস নারায়ণ, প্রকাশ মুন্ধা, কেশব ভট্ট, নারায়ণ ব্যাস, অমিতাভ মহেশ্বরী, সুভাষ মুন্ধা, গণেশ চন্দক, সন্তোষ কোঠারি, অরুণ রথী, মুকেশ বিন্নানী, অলোক রাজকুমারী, দেবকুমারী, রাজকুমারী। কোঠারীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সফল করতে তৎপর ছিলেন অশোক লদ্ধা, জয়ন্ত দাগা, রাজু চন্দক, গোপী মুন্ডা, পীযূষ কোঠারি, রাম মোহতা প্রমুখ।

Published on: এপ্রি ১৮, ২০২৩ @ ১০:৫৯

 


শেয়ার করুন