মনসা মঙ্গল গানের সঙ্গে ছৌ-নাচের মেলবন্ধন, শালবনী দেখাল তারাও কারও চেয়ে কম যায় না

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল  ছবি-রামপ্রসাদ সাউ

Published on: ডিসে ২৭, ২০১৭ @ ২৩:০৪

এসপিটি নিউজ, শালবনী, ২৭ ডিসেম্বরঃ  বাউল, ছৌ, পাতা নাচ, ঝুমুর গান, ভাদু, টুসু বলতে লোকে এতদিন শুধু বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়াকে ভাবত। বাংলার সেই প্রাছীন লোক-সংস্কৃতি যে এখন আর সেই সীমিত কয়েকটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তা এখনন জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আর সেটা হয়েছে শুধু মাত্র একজনের জন্য, একজনের ইচ্ছায়, একজনের চেষ্টায়-তিনি আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি সবসময় বলেন, এই বাংলার লোক-সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিতে হবে সারা বিশ্বে। আর তা করবে তার রাজ্যের জণগন। রাজ্যের প্রতিটি জায়গার নিজস্ব কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসার প্রয়াস তিনি শুরু করেছেন ২০১১ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই। তাঁর সেই প্রয়াসেরই আজ বাস্তব রূপ দিচ্ছেন জঙ্গলমহলের শিল্পীরা।

প্রতিভা অন্বেষনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ব্লক জুড়ে। আজ শেষ হয়ে গেল শালবনী ব্লকের উৎসব। যেখানে এদিন ২ হাজার প্রতিযোগী তাদের সেরাটা উজার করে দিলেন। কি ছিল না সেখানে ছৌ নাচ, পাতা নাচ, ঝুমুর গান, ভাদু, টুসুর মতো বাংলার প্রাচীন লোক-সংস্কৃতির নানা প্রদর্শন। ছিল বাউল সঙ্গীত। এদিনের বিশেষ আকর্ষন ছিল মনসা মঙ্গল গানের সঙ্গে ছৌ নাচের এক অসামান্য মেলবন্ধন। যেখানে অংশ নিয়েছিলেন শালবনী ব্লকের ৪৮টি দল।শুধু অজয় নদের ধারে রাঙামাটির দেশেই নয় দেখা গেল এই শালবনীর লালমাটির দেশেও ১৭ টি দল আজও বাউল চর্চা করে চলেছে। পাতা গানের মোট ৬৫ টি দল দিশা দেখালো বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতির। মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াসকে যে তাঁরা সার্থক রূপ দিচ্ছে এদিন তারও কিন্তু প্রমাণ মিলল শালবনীর জঙ্গলমহল উৎসবে।

শালবনী স্টেশন ময়দানে দুই দিনের জঙ্গলমহল উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ সমারোহে এদিন উপস্থিত ছিলেন শালবনী ব্লকের বিডিও পুষ্পল সরকার এবং শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শালবনীর দুই জেলা পরিষদ সদস্য উষা কুন্ডু এবং সনৎ মাহাত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষরা এবং বিভিন্ন অঞ্চলের প্রধানরা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।  অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সন্দীপ সিংহ।আগামীকাল একই মাঠে শুভসুচনা হচ্ছে শালবনী ব্লক কৃষি মেলার এবং অনুষ্ঠান সূচিতে থাকছে কৃষি, শিল্প ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন।Published on: ডিসে ২৭, ২০১৭ @ ২৩:০৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

82 − 72 =