ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য- সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করলেন আইনজীবী

Main কোভিড-১৯ দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জুন ২৫, ২০২১ @ ২১:১৮

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৫জুন: রাজ্যে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছ। ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশ গোটা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। আজ তারা তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্ত দল বা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসআইটি)গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ। আবার এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা করলেন এক আইনজীবী।

ভুয়ো ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারির তদন্তের জন্য কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ আজ বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করেছে। ইতিপূর্বেই কলকাতা পুলিশ এই কাণ্ডে দেবাঞ্জন দেব নামে এক ভুয়ো আইএএস অফিসার এমনকী নিজেকে যিনি কলকাতা কর্পোরেশনের যুগ্ম কমিশনার হিসাবে পরিচয় দিয়ে বেশ কিছু জায়গায় ভ্যাকসিনের ক্যাম্পের আয়োজন করেছিলেন। সেই ক্যাম্পগুলিতে প্রায় দুই হাজার মানুষ্কে ভুয়ো টিকা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই ঘটনার উল্লেখ করে রাজ্যে টিকা দানে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন আইনজীবী সন্দীপন দাস। বুধবার কসবায় একটি টিকা শিবিরে ভুয়ো টিকা দেওয়া অভিযোগে দেবাঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তিকে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করে। আইনজীবী সন্দীপনবাবু বলেন- “রাজ্যে টিকাবণ্টনে অনিয়ম হচ্ছে। কোনও নিয়ম মানা হচ্ছে না।কোথায় টিকার শিবির হচ্ছে সরকারের কাছে তার সঠিক তথ্য নেই।”

এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি ইতিমধ্যে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। আজ আচমকা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে সরাসরি স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করেন। দেখা করে বেরিয়ে এসে বিরোধী নেতা বলেন-“আমরা বলেছি যে নিরপেক্ষ এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করা দরকার। যেখান থেকে টিকা কিনেছে তার লাইসেন্স দিয়েছে রাজ্য সরকার।কয়েক হাজার মানুষ টিকা নিয়েছেন। রাজ্যের মানুষ আজ আতঙ্কে রয়েছেন। কলকাতা পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করলে হবে না। আমাদের যেন আদালতে যেতে না হয়।” দেবাঞ্জন ধরা না পড়লে তো নরেন্দ্র মোদির ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দেওয়া হতো বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু।

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারও চুপ করে বসে নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে তাদের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন- “আমাদের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর প্রচেষ্টার ফলে এখনও পর্যন্ত কলকাতায় ভুয়ো ভ্যাকসিন শিবিরটি সনাক্ত  করা হয়েছে। সুতরাং, ক্রেডিট টিএমসির সাংসদকে দেওয়া উচিত।

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী আজ এক ট্যুইট করেছেন এই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে। সেখানে তিনি কিছু ছবি আর পোস্টার দিয়ে বনিজের মতামত প্রকাশ করেছেন।

Published on: জুন ২৫, ২০২১ @ ২১:১৮


শেয়ার করুন