Published on: ডিসে ৯, ২০২০ @ ১৭:১৬
এসপিটি নিউজ, গোপালনগর, ৯ ডিসেম্বর: আমফানের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। সেই অভিযোগের সূত্র ধরে কেন্দ্র সরকার রাজ্যের কাছে আমফানের টাকা বিলির হিসেব চেয়েছে। আর তা নিয়ে বেজায় চটেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বনগাঁর গোপালনগরের সভা থেকে নাম না করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কড়া জবাব দিলেন তিনি। বললেন- ”ভাবছেন, তৃণমূল কংগ্রেস ভদ্র তো, তাই রাম চিমটি শ্যাম চিমটি কখনও আবার গোবর্ধন চিমটি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে খামচাও।”
আমফান প্রসঙ্গ টেনে মমতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তপ দাগেন।বলেন- “দেখুন সবাই ভালো হয় না, আবার সবাই খারাপও হয় না। এক-দু’জন দুষ্টুমি করেছে বলে তুমি আমফানের টাকার হিসেব চাইছো। আমফানের মতো এত বড় ক্ষতি হয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রী নাটক করে দেখতে এলেন পাবলিসিটি করার জন্য। বলে গেলেন, এক হাজার কোটি টাকা দিয়ে গেলাম। আমাদের টাকা আমাদেরকেই অ্যাডভান্স করে গেলেন।”
এখানেই না থেমে মমতা বলতে থাকেন- “আমফানের টাকা দেব আমরা আর কৈফয়ত চাইবে তোমরা, জল দেব আমরা আর কৈফয়ত চাইবে তোমরা, ঘর দেব আমরা আর কৈফয়ত চাইবে তোমরা, কন্যাশ্রী দেব আমরা আর কৈফয়ত চাইবে তোমরা, সবুজসাথী দেব আমরা আর কৈফয়ত চাইবে তোমরা। ভাত দেওয়ার ক্ষমতা কিল মারার গোঁসাই।”
“ভুলে গেছেন, ভাবছেন- তৃণমূল কংগ্রেস ভদ্র তো, তাই তৃণমূল কংগ্রেসকে খামচাও। মানে কখনও রাম চিমটি, কখনও শ্যাম চিমটি আবার কখনও গোবর্ধন চিমটি দাও। ভুলে গেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস যখন তৈরি হয়েছিল তখন এটি চারাগাছ ছিল। এখন তা মহীরুহের আকার নিয়েছে। চারাগাছকে সব সময় চারিদিক দিয়ে ঘিরে রাখতে হয় যাতে গরু, ছাগল এসে খেয়ে না নেয়। কিন্তু সেই চারাগাছ যখন বিশাল আকার নেয় তখন কিন্তু গরু এসে গুঁতোতে গেলে গরুরই শিং ভেঙে যাবে। পেরেক মাটিতে পুঁতলে মাটি গুড়ো হয়ে যায়। কিন্তু সেই পেরেক যখন আবার পাথরে পোঁতার চেষ্টা করা হয় তখন সেই পেরেকটাই কিন্তু গুড়িয়ে যায়। এগুলো মনে রাখবেন।”
Published on: ডিসে ৯, ২০২০ @ ১৭:১৬