বিশ্ব পর্যটন দিবসঃ জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, গুজরাটে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে, মজবুত হচ্ছে দেশের পর্যটন-অনিল পাঞ্জাবি

Main দেশ বিদেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

  • ‘কোভিড বিধি সব রাজ্যেই এক হলে পর্যটকদের যেমন সুবিধা হয়, ঠিক তেমনই এজেন্টরাও বেশি করে সেখানে ব্যবসা দিতে সমর্থ হয়।’
  • ‘আন্তর্জাতিক ভ্রমণ শুরু হয়ে গেছে। দেশের ভিতরেও ভ্রমণ চালু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভ্রমণ চালু হয়ে গেছে।’
  • ‘অনলাইনের থেকে অফলাইনে কাস্টমার অনেক বেশি প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাচ্ছে।’

Published on: সেপ্টে ২৭, ২০২১ @ ১২:০২

Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৭ সেপ্টেম্বর:    পর্যটন শিল্প ফের ডানা মেলতে শুরু করেছে। আবারও মানুষ ঘর থেকে ট্রাভেল কিটস নিয়ে নিজের পছন্দের জায়গায় বেড়িয়ে পড়ছে। ইচ্ছে ডানায় ভর করে পূজোর ছুটিতে বেছে নিয়েছে নিজের প্রিয় পর্যটনের স্থান। বিশ্ব পর্যটন দিবসে ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি একান্ত সাক্ষাৎকারে সংবাদ প্রভাকর টাইমস-কে জানালেন পর্যটন শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি। কেমন চলছে এই শিল্প, মানুষ কিভাবে একে গ্রহণ করেছে, কোন কোন রাজ্যের পর্যটনে মানুষ বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছে কিংবা সেখানে যাওয়ার পরিকল্পন করছে তা নিয়ে বিস্তারিত জানালেন টাফি’র চেয়রাম্যান।

বর্তমান পরিস্থিতি

টাফি’র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি দেশের বর্তমান পর্যটন শিল্প সম্পর্কে বলেন- “গত দেড় দু’বছর যে পিছনে চলে গেছে তাতে পর্যটনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি ক্রমেই ভাল হচ্ছে। লোকজন এখন ভ্যাকসিন নিচ্ছে। এখন মানুষ ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়েছে। এতদিন ঘরে থেকে তাদের মধ্যে যে একঘেয়েমি এসেগেছিল তা থেকে তারা এখন বেরিয়ে আসতে চাইছে। সকলেই আজ কম বেশি কাছে-দূরে বেরিয়ে পড়ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণ শুরু হয়ে গেছে। দেশের ভিতরেও ভ্রমণ চালু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভ্রমণ চালু হয়ে গেছে। একাধিক রাজ্য তাদের পর্যটনের ক্ষেত্রগুলিকে সাধারণের জন্য খুলে দিতে শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের দেশের যা পরিস্থিতি তা ভালর দিকেই যাচ্ছে। তাই আগামী কয়েক মাসে যদি পরিস্থিতি এমনটাই থাকে তাহলে পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”

যে রাজ্যগুলি বেশি পর্যটক টানছে

এই মুহূর্তে জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান, গুজরাট পর্যটক টানার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে।কারণ, এখানে পরিস্থিতি অনেক ভালো আছে, কানেক্টিভিটি আছে, সুবিধা আছে। একই সঙ্গে এখানকার ট্যুরিজম বোর্ড খুব সহায়ক। ভাল কাজ করছে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কেরালা, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিও।কোভিড মহামারীর পর সবচেয়ে বেশি পর্যটক যেতে শুরু করেছে জম্মু ও কাশ্মীর, গুজরাট, রাজস্থানে। পাশাপাশি সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডে চার ধাম সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার পর থেকে সেখানেই ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।

“বিশ্ব পর্যটন দিবসে থিম আছে যে ‘সেফ ট্রাভেল, সেফ ট্যুরিজম’

“বিশ্ব পর্যটন দিবসে থিম আছে যে ‘সেফ ট্রাভেল, সেফ ট্যুরিজম’। মানুষ নিরাপদে ঘুরুক, নিরাপদে পর্যটনের আনন্দ নিক এটাই আমরা চাই। এখন অফ লাইনে কাজ চলছে। এখন যারা ভ্রমণ করছে যারা আমাদের ক্লায়েন্ট আছে তাদের দিকটাও আমাদের দেখতে হচ্ছে। যাতে করে তারা কোনওভাবেই অসুবিধার মধ্যে না পড়ে সেদিকটাও আমাদের খেয়াল রাখতে হচ্ছে।” বলেন অনিল পাঞ্জাবি।

অফলাইনে কাস্টমার তার মনের সমস্ত প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাচ্ছে সহজেই

অনলাইনে আর অফলাইনে বুকিং চলছে। তবে অনলাইনে কাস্টমার বুকিং করে তাতে কম্পিউটারে যা দেখাচ্ছে সেটাই করতে পারছে, সেখানে বিস্তারিত কিছু দেখতে পাচ্ছে না। বিশেষ করে তার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর অনলাইন দিতে পারছে না। কিন্তু অফলাইনে খুব বড় ভূমিকা আছে। কারণ, আমি যদি কাশ্মীর যাই তাহলে সেখানকার সমস্ত তথ্য আমার কাছে থাকতে হবে। সেখানে হোটেলগুলির কি অবস্থা আছ, সেখানে কত কোভিড হয়েছিল, কি ধরনের বিধিনিষেধ আছে, আরটি-পিসিআর কখন করাতে হবে অর্থাৎ মানুষ সমস্তটাই পাচ্ছে যার ফলে একটা কাস্টমার এটার উপর অনেকাংশে নির্ভর করছে। কারণ, সে ভাবছে আমি যদি আমার বাচ্চা নিয়ে যাই তাহলে সেখানে গিয়ে কোনও সমস্যা হলে কোন হাসপাতালে যাব, সেখানে কি সুবিধা আছে এসব কিছুই পাচ্ছে ।

পর্যটকদের জন্য কোভিড বিধি সব রাজ্যে এক হলে ভাল হয়- অনিল পাঞ্জাবি

আর একটা বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু জায়গায় ভ্যাকসিন নেওয়া সত্ত্বেও আরটি-পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অথচ বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে পর্যটকদের অধিকাংশই সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন প্রাপ্ত হয়েছেন। সেক্ষেত্রে তারা এই নিয়মে বিরক্ত প্রকাশ করছেন। অনেকেই এই নিয়মের কথা জেনে বেঁকে বসছেন। তাতে পর্যটন শিল্পে বেশ প্রভাব পড়েছে। কয়েকটি রাজ্য এর বড় প্রমাণ। হিমাচল প্রদেশ ট্যুরিজম এই নিয়মের শিথিল করতেই তার ফল হাতেনাতে মিলতে শুরু করেছে। এখন সেখানে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।

এই প্রসঙ্গ তুলতেই টাফি’র চেয়ারম্যান অনিল পাঞ্জাবি বলেন-” এক্ষেত্রে যদি এজেন্ট দায়িত্ব নেয় যে তার কাছে সমস্ত তথ্য থাকছে তার কাস্টমারদের বিষয়ে।তাহলে কিন্তু কোনও সমস্যা থাকে না। কিন্তু এখন অনলাইনে হয় তাহলে তা অসম্পূর্ণ থেকে যায় এক্ষেত্রে যদি সব রাজ্যেই এক নিয়ম চালু হয় তাহলে সকলের ক্ষেত্রেই তা ভাল হয়। কোভিড বিধি সব রাজ্যেই এক হলে পর্যটকদের যেমন সুবিধা হয়, ঠিক তেমনই এজেন্টরাও বেশি করে সেখানে ব্যবসা দিতে সমর্থ হয়। তা না হলে প্রত্যেক সেক্টরে আমাদের ডবল চেক করতে হচ্ছে।এর ফলে কাস্টমাররাও অসুবিধার মুখে পড়ছে।”

Published on: সেপ্টে ২৭, ২০২১ @ ১২:০২


শেয়ার করুন