বাঘের আতঙ্কের পাশাপাশি শুরু হয়েছে দলমার দাঁতালদের তান্ডব

বন্যপ্রাণ রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মন্ডল               ছবি-রামপ্রসাদ সাউ

Published on: মার্চ ৫, ২০১৮ @ ২৩:১৬

এসপিটি নিউজ, শালবনী, ৫ মার্চঃ সাম্প্রতিককালে পশ্চিম মেদিনীপুর কিংবা ঝাড়গ্রামে বোধহয় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, যেখানে বাঘ-হাতি এক সঙ্গে গোটা জেলা তোলপাড় করে দিচ্ছে। যা মাওবাদীদের সময়েও হয়নি। রবিবার রাত থেকে দলমার থেকে আসা ৫০টি দাঁতাল হাতির পাল যেভাবে শালবনী ব্লক জুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে গ্রামের চাষীরা।

হাতির পাল সোমবার শালবনীর কর্ণগড় অঞ্চলের ভাদুতলা, গড়মাল অঞ্চলের গড়মাল, দহ, কদমডিহা, ভুতাশোল, নোনাশোল, সাতপার্টি অঞ্চলের পায়রাচালি, কলসীভাঙা সহ বিভিন্ন গ্রামে তান্ডব শুরু করেছে। হাতির তান্ডবে খেতের ফসল নষ্ট হয়েছে। আলুর ক্ষেত দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পায়রাচালি গ্রামে হাতির পাল ঢুকে পড়লে গ্রামবাসীরা দল বেঁধে হাতিগুলিকে তাড়াতে থাকে। সেই দলে ছিলেন পায়রাচালি গ্রামের বাসিন্দা গুণধর মাহাত। আচমকা হাতির পাল গ্রামবাসীদের তাড়া করে। সেইসময় গুণধর পালাতে গিয়ে পড়ে যায়। আর সেই সময় দুটি হাতি তার উপর দিয়ে চলে যায়। একটি দাঁতাল তাকে শুঁড়ে তুলে ফেলে দেয়। আহত গুণধরকে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।সেখানে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার রাতে পূর্ণিমা ভক্ত নামে এক মহিলা হাতির হামলায় আহত হয়েছেন। মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা জানিয়েছেন, শালবনীর ভাদুতলা রেঞ্জ এলাকায় ৫০টি হাতি রয়েছে। গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাতির হামলায় আহত ব্যক্তির চিকিতসার খরচ দফতর বহন করবে বলে তিনি জানান। বর্তমানে হাতিগুলির গতিবিধির উপর বন দফতর নজর রাখছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

Published on: মার্চ ৫, ২০১৮ @ ২৩:১৬


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 65 = 70