প্রাণীপালকদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতিতে অত্যন্ত সহায়ক হয়ে উঠেছে PHARMACON VET PVT. LTD

Main এসপিটি এক্সক্লুসিভ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-অনিরুদ্ধ পাল

  • পশ্চিমবঙ্গে PHARMACON VET PVT. LTD একমাত্র কোম্পানি যাদের সমস্ত প্রডাক্ট চলে
  • আগামিদিনে মাছের উপর কিছু নতুন প্রডাক্ট আনার আমাদের পরিকল্পনা আছে।
  • রাজ্যের প্রাণীপালকদের কাছে হয়ে উঠেছে পরম বিশ্বাসযোগ্য এক প্রতিষ্ঠান।

Published on: মার্চ ১৬, ২০১৯ @ ১০:৩৪

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৬ মার্চঃ প্রাণী পালনে সহায়ককারী পশ্চিমবঙ্গে যে কটি কোম্পানি আছে তার মধ্যে নিঃসন্দেহে প্রথম সারিতে উঠে আসবে PHARMACON VET PVT. LTD কোম্পানির নাম। গত ২৬ বছর ধরে তারা রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতিতে নিরলসভাবে নিজেদের সক্রিয়তা জারি রেখে চলেছে। গ্রামের অর্থনীতিতে সব চেয়ে বেশি যে দিকটি উঠে আসে তা হল প্রাণী পালন। রাজ্যের এই কোম্পানি সেখানেও নিজেদের সেরাটা দিয়ে চলেছে। রাজ্যের প্রাণীপালকদের কাছে হয়ে উঠেছে পরম বিশ্বাসযোগ্য এক প্রতিষ্ঠান।

সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এর মুখোমুখি হয়েছিলেন PHARMACON VET PVT. LTD কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জয় রায়। কোম্পানির নানা দিক তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি কিছু প্রতিকূল পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন, যা এই মুহূর্তে প্রবলভাবে সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এর মধ্যে থেকেও তারা যে গ্রামের প্রাণীপালকদের কাছ থেকে দূরে সরে যায়নি এমনকী তাদের সব সাহায্যের পথ থেকে পিছু হঠে যায়নি সেটাও উল্লেখ করেছেন। শুনে নেওয়া যাক কি বললেন তিনি।

পথ চলা শুরু ২৬ বছর আগে

১) “প্রথমে আমি এখানে এসেছিলাম একটি ছোট্ট-খাট্টো একটা কোম্পানি করব বলে। আজ থেকে ২৬ বছর আগে যখন এই কোম্পানি গড়ে তুলেছিলাম তখন হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানি ছিল। সেই সময়ে আমি দেখেছিলাম যে পশ্চিমবঙ্গে কোনও ভেটেরিনারি কোম্পানি নেই,পেট সাপ্লিমেন্ট নেই সেদিকে খেয়াল রেখে ভেবেছিলাম গ্রামীণ ক্ষেত্রে যে পশু পালন হয় সেখানে কত সস্তায় সরাসরিভাবে তাদেরকে সাহায্য করতে পারি এই মানিসিকতা নিয়েই প্রথমে আমরা এসেছিলাম।”

২) “আস্তে আস্তে আমাদের ২৬ বছর পার হল। সেই সঙ্গে আমরা ISO-9000 সার্টফেকেটও আমরা পেয়ে গেছি। ২০ বছর হয়ে গেল। আমরা SSI UNITE এবং ISO-9000 সার্টফেকেট হোল্ডার। ১২ বছর হল আমরা প্রাইভেট লিমিটেডে পরিণত হয়েছি।”

৩) “আমাদের প্রধানত FEED SUPLIMENT মিনারেল কিছু লিভার টনিক- ক্যালসিয়াম গোছের ছিল। পাশাপাশি আমরা কিছু ট্যাবলেট ইঞ্জকেটেবল প্রডাক্ট বার করেছি।এর মধ্যে পোলট্রি, ক্যাটল আছে। সেই সঙ্গে মাছেরও আছে।”

লাভের গুড় খেয়ে নিচ্ছে পিঁপড়ে

১) “২৬ বছর আগে যে অবস্থা ছিল সেইসব প্রডাক্ট এখন তার চেয়ে অনেক বেশি আপগ্রেড হয়েছে। আগেও প্রতিযোগিতা ছিল তবে এখন তার মান অনেক বেড়েছে। আর সেই প্রতিযোগিতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমাদের প্রডক্টের মানকে আরও আরও উন্নত করতে হয়েছে।”

২) “তবে একই সঙ্গে বলতে হয়ে এসব দিক বজায় রাখতে গিয়ে লাভের হার অনেকটাই কমে যাচ্ছে। একই সঙ্গে মার্কেটে জিএসটি আসার পর এর উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।”

৩) “দেখুন, এই ধরনের প্রডাক্টের জন্য আমাদের কাঁচা মাল কিনতে হচ্ছে ১৮ শতাংশ জিএসটি দিয়ে। কিন্তু ফিনিশ প্রডাক্টে কোনও জিএসটি নেই। তার মানে ১৮ শতাংশ আমার লাভের অংশ থেকে চলে যাচ্ছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ জিএসটি কিন্তু সেখানে ফিনিশ প্রডাক্ট ১২ শতাংশ জিএসটি। অর্থাৎ ৬ শতাংশ এখানেও আমাকে ছেড়ে দিতে হচ্ছে। এই সমস্যা গুলো এখন আমাদের খুব বেশি করে মুখোমুখি হতে হচ্ছে।”

৪) “আর এভাবে যদি একটা প্রফিট মানি কমে যায় তাহলে এই বাজারে একটা কোম্পানিকে টেনে নিয়ে যাওয়াটা একটা বিশাল ব্যাপার। আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।”

৫) “আমাদের প্রডাক্ট পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত কর্ণারে আমরা সরবরাহ করে থাকি। এখন সব কটি জেলাতেই আমাদের প্রডাক্টের চাহিদা ভালোই। পশ্চিমবঙ্গে আমাদের এটিই একমাত্র কোম্পানি যাদের সমস্ত প্রডাক্ট চলে।”

৬) ” আগামিদিনে মাছের উপর কিছু নতুন প্রডাক্ট আনার আমাদের পরিকল্পনা আছে।”

Published on: মার্চ ১৬, ২০১৯ @ ১০:৩৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 4 = 6