প্রণব মুখার্জির মতো ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে অর্বাচীনের মতো মন্তব্য করেন কি করে পি চিদম্বরম

উত্তর সম্পাদকীয় দেশ
শেয়ার করুন

সম্রাট তপাদার

Published on: জুন ২, ২০১৮ @ ১৩:৩৪

একটি স্বৈরাচারী দল হিসাবে পরিচিত  বিজেপি জনগণকে বিভিন্ন ধরনের শর্তাবলী মেনে চলতে বাধ্য করে এবং তারা নির্দেশ দেয় জনগণের কী খাওয়া উচিত অথবা কোথায় যাওয়া উচিত। কিন্তু কংগ্রেস কি তার নীতি আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে একজন কর্তব্যনিষ্ঠ বিশ্বস্ত মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে না?

সমগ্র ভারতবর্ষে যখন মোদি ম্যাজিকের পর্দা ক্রমশ ফাঁস হওয়ার উপক্রম তখন ভারতবর্ষের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মাননীয় শ্রী প্রণব মুখার্জির আরএসএস-এর অনুষ্ঠানে সম্ভাব্য উপস্থিতি নিয়ে শ্রীযুক্ত চিদম্বরম মহাশয়ের অর্বাচীনের মতন উক্তি সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। চিদম্বরম মহাশয় দেশের এক নম্বর নাগরিকের সন্মান হানি করার মতন কাজ করার ধৃষ্টতা দেখান কি করে?  এই প্রেক্ষিতে স্মরণ করা যেতে পারে যে তার পুত্র শ্রী কার্তি চিদম্বরম দীর্ঘদিন ধরে সিবিআই’র অভিযানের কারণে প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন।

অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন যে মাননীয় শ্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সক্রিয় রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে জাতির প্রথম নাগরিক হিসাবে উত্থান ঘটানোর সাথে সাথেই কংগ্রেসের পতন ঘটেছে।শ্রী প্রণব মুখার্জি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর কংগ্রেস নিছকই একটা ছায়া হয়ে গেল এবং জাতীয় স্তরে বিজেপির বিকাশের সুযোগ চলে আসে।

এই সময় কংগ্রেস পার্টির নেতারা যখন বিজেপিকে পেট্রোপন্যের মূল্যবৃদ্ধি, লাগামহীন দুর্নীতি, মিথ্যা প্রতিশ্রুতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গঠনমূলক বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পারতেন, তখন শ্রী চিদাম্বরমের একজন ব্যক্তিকে নিয়ে অসাংবিধানিক এবং অমানবিকভাবে সমালোচনা করছেন। যে ব্যাক্তি নিজেই একসময় পরিপূর্ণ কংগ্রেস ছিলেন।

আমার এই একান্ত ব্যাক্তিগত মতামত কয়েকজনের অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে কিন্তু এই অনৈতিক -অসাংবিধানিক বিষয়ে বাঙালিরা আবেগপ্রবন যথেষ্ট।একজন বাঙালি প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়কের সিদ্ধান্ত নিয়ে এভাবে সমালোচনা করাটা কাঙ্খিত হতে পারে না।

আর চিদম্বরম মহাশয়ের প্রণব মুখার্জির বিরুদ্ধে কথা বলার আগে বোঝা উচিত ছিল অতীতেও মহাত্মা গান্ধীও ১৯৩৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর আরএসএস-এর সভায় বক্তব্য রেখেছিলেন। আর বয়জ্যেষ্ঠ হিসেবে একসময়ের দলের শ্রদ্ধেয় নেতা হিসেবে এমনকি দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রণববাবুকে চিদম্বরমের উচিত সম্মনা জানানো। আরএসএস-এর অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি ভেবেচিন্তেই নিজের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন তো তাঁর পরিচয় শুধু কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা-মন্ত্রীর থেকেও বড় তিনি দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধান।

প্রণববাবু তো আরএসএস-এর আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বার্তা দিয়েছে-“গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সবসময় আলোচনা প্রয়োজন।” লেখকঃ আইনজীবী ও সমাজসেবী

Published on: জুন ২, ২০১৮ @ ১৩:৩৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 24 = 27