দুর্গাপুরে চুরির হ্যাটট্রিকঃ সাবধান হয়নি পুলিশ, বুঝিয়ে দিয়ে গেল চোরেরা-রক্ষা পেল না এবার বিচারকের ফ্ল্যাটও

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বেবী সরকার

এসপিটি নিউজ, দুর্গাপুর : এ ও এক রেকর্ড।যা বিরাট কোহলির যে কোনও রেকর্ডের সঙ্গে কোনও অংশেই কম নয়। ২৪ ঘণ্টায় একই থানা এলাকায় পরপর তিনটি ফ্ল্যাটে সর্বস্ব চুরি করে নিয়ে গেল ‘চতুর’ চোরের দল। যা সাম্প্রতিককালে চুরির হ্যাটট্রিক-এর এক রেকর্ড হয়ে গেল। এ ক্ষেত্রে পুলিশকে ‘চতুর’ চোরের দল রীতিমতো ঘোল খাইয়ে ছাড়ল।প্রথম চুরির ঘটনার পর কিন্তু সাবধান হওয়া উচিত ছিল পুলিশের। কিন্তু তারা সাবধান হয়নি। ফলে ‘চতুর’ চোরের দল পুলিশকে বুঝিয়ে দিয়ে গেল তারা কত বড় “অপদার্থ”।

দুর্গাপুরের নিউটাউনশীপ থানা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ‘চতুর’ চোরের দল। অভিজাত বিধাননগর এলাকার পরে এবার তাদের টার্গেট হল দুর্গাপুর-এর প্রানকেন্দ্র সিটিসেন্টারের ফাঁকা ফ্ল্যাট। এখানেই থাকেন সিটিসেন্টারে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের সেকেন্ড কোর্টের বিচারক কৃষ্ণেন্দু সরকার।এবার চোরেরা হানা দিল একেবারে  সেই বিচারকের ফ্ল্যাটেই। সেখানে ঢুকে চুরি করে পুলিশকে আবারও ধোকা দিয়ে পালিয়ে গেল ‘চতুর’ চোরের দল।এবার তোলপাড় গোটা দুর্গাপুর।

একটা কথা বেশ শোনা যায়-তা হল, বড় ধরনের ধাক্কা না খেলে পুলিশের ঘুম ভাঙে না। শুক্রবার ও শনিবার নিউটাউনসশীপ থানা এলাকার বিধাননগর গ্রুপ হাউসিং দুটি চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।\পরপর দু’টি ফ্ল্যাটে চুরির পর তাই পুলিশ খুব বেশি গুরুত্ব দেয়নি। ‘চতুর’ চোরের দল ভেবে নিল-এই এক সুযোগ। তারা এবার বেছে নিল দুর্গাপুরের প্রানকেন্দ্র অভিজাত এলাকা সিটিসেন্টারের কালী মন্দিরের ঠিক পিছনে নবনির্মিত ‘এ টাইপ হাউসিং কমপ্লেক্স’-এর সরকারি আবাসনকে।লোকজনকে না দেখতে পেয়ে চোরেরা ঢুকে পড়ল ওই বিচারকের ফ্ল্যাটে। নিয়ে গেল চুরি করে সব কিছু।

শুক্রবার ও শনিবার নিউটাউনসশীপ থানা এলাকার বিধাননগর গ্রুপ হাউসিং দুটি চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এবার দুর্গাপুরের প্রানকেন্দ্র অভিজাত এলাকাসিটি সেন্টারের কালি মন্দিরের ঠিক পেছনে নবনির্মিত ‘এ টাইপ হাউসিং কমপ্লেক্স’-এর সরকারী আবাসনে ফের সর্বস্ব চুরি করে নিয়ে গেল দুষ্কৃতিরা। দুর্গাপুর আদালতের বিচারক( সিজিএম) কৃষ্ণেন্দু সরকার স্বপরিবারে গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় গিয়েছিলেন।ঘর ফাঁকা পড়ে ছিল।শনিবার সকালে বাড়ির পরিচারিকা কাজ করতে এসে দেখে দরজার তালা ভাঙা। প্রতিবেশীদের খবর দিলে তারা সিটি সেন্টার ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেয়। বেকায়দায় পড়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছূটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী।চলে আসেন আসানসোল -দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের এসিপি(পুর্ব)বিমল কুমার মন্ডলও।তিনি জানান, “খবর দেওয়া হয়েছে কৃষ্ণেন্দুবাবুকে।কি কি গেছে তিনি এলে তা জানা যাবে।তদন্ত শুরু হয়েছে।”

খবর পেয়েই বিচারক দুর্গাপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। কৃষ্ণেন্দুবাবুরা না থাকার কারণে কি কি চুরি হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।ফাঁকা ফ্ল্যাটে পরপর চুরির ঘটনা।২৪ ঘন্টায় বিধাননগর ও সিটিসেন্টারের তিনটি ফ্ল্যাটে দুঃসাহসী চুরির ঘটনা ঘটল।এবার বিচারকের বাড়িতে চুরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিচারকদের একাংশ।আর আসানসোল -দুর্গাপুর পুলিশের কাছে এই চোর ধরাই এখন মর্যাদার লড়াই।তবে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের মান যে ডুবিয়ে দিয়েছে নিউটাউনশীপ থানা তা নিয়েও কিন্তু পুলিশের মধ্যেই আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে। চোর-পুলিশের লড়াইয়ে ‘চতুর’ চোরের দল যে গতিতে চুরির হ্যাটট্রিক করেছে তা কিন্তু রেকর্ড বলেই মেনে নিচ্ছে এলাকাবাসী।

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

87 − 79 =