থাইল্যান্ড পর্যটনঃ কলকাতা ভ্রমণ বাণিজ্যের সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপনের জন্য আশ্চর্যজনক নতুন অধ্যায় তুলে ধরা হল

Main অর্থ ও বাণিজ্য কোভিড-১৯ দেশ বিমান ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জানু ১৩, ২০২৩ @ ০১:১৯
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৩ জানুয়ারি: থাইল্যান্ড ভ্রমণে বিদেশ থেকে যত মানুষ ভ্রমণ করে তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি হল ভারতীয়। আর ভারতের মধ্যে একটা বড় অংশ যায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে। কোভিডের সময় দুই বছর সেই গতি থমকে গেলেও ফের তা সচল হয়েছে। গত বছর থাইল্যান্ড বিদেশি ভ্রমণকারীদের আগমনে ১অ মিলিয়নের গন্ডি টপকে গেছে। এবার তাদের লখহ্য আরও বেশি। আর সেই দিকে লক্ষ্য রেখে থিল্যান্ডকে একটি নিখুঁত ছুটির গন্তব্য হিসাবে উন্নীত করার প্রচেষ্টায় এবং নতুন বছরে কলকাতা ভ্রমণ বাণিজ্যের সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপনের জন্য বৃহস্পতিবার কলকাতায় দ্য ওবেরয় গ্র্যান্ডে অ্যামেজিং নিউ চ্যাপ্টারস বা আশ্চর্যজনক নতুন অধ্যায় তুলে ধরা হয়। এ নিয়ে এক সুন্দর উপস্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে থাইল্যান্ডে ব্যবসা করা বেশ কয়েকটি হোটেল এদিন ট্রাভেল এজেন্টদের মুখোমুখি হন।

“ভিজিট থাইল্যান্ড ইয়ার ২০২৩” নিয়ে বললেন কনসাল-জেনারেল মিঃ পিয়াপন আটিপাত্যে

ইভেন্টটি কলকাতায় থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত কনসাল-জেনারেল মিঃ পিয়াপন আটিপাত্যের দেওয়া স্বাগত নোটের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল, যিনি ভারতীয় পর্যটকদের নতুন বছরে থাইল্যান্ড ভ্রমণে স্বাগত জানিয়েছিলেন।

এটি ভারতীয় ভ্রমণকারীদের জন্য থাইল্যান্ডের বর্তমান পর্যটন আপডেটগুলি তুলে ধরে একটি গন্তব্য আপডেট এবং উপস্থাপনা দ্বারা অনুসরণ করা হয়েছিল। উপস্থাপনাটি “ভিজিট থাইল্যান্ড ইয়ার ২০২৩” এর সাথে টিএটি বা ট্যাট-এর নতুন বিপণন প্রচারাভিযান “আশ্চর্যজনক নতুন অধ্যায়” এ থেকে জেড থাইল্যান্ডের সমস্ত কিছুর উপর জোর দিয়েছে। এই প্রচারাভিযানটি জোর দেয় যে থাইল্যান্ডে প্রতিটি ভ্রমণকারীর চাহিদা এবং চাওয়া অনুসারে সবকিছু রয়েছে এবং থাইল্যান্ডে নতুন দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

২০২৩ সালে থাইল্যান্ডে ২৫ মিলিয়ন মানুষ ভ্রমণ করবে- আশাবাদী ভারপ্রাপ্ত কনসাল-জেনারেল

মিঃ পিয়াপন আটিপাত্যে বলেন-ভারত ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। এখন পর্যটনে থাইল্যান্ড খুবই ভালো জায়গায় আছে। পরিস্থিতি এখন অত্যন্ত অনুকূল। ভ্রমণে কোনও অসুবিধা নেই। পর্যটকরা একেবারে নিশ্চিত হয়েই থাইল্যান্ড বেড়াতে যেতে পারে। আমাদের দেশে কোনও অসুবিধাই নেই। আমি এখানে কিছু ইতিবাচক দিক তুলে ধরতে চাই। প্রথমে বলি, গত বছর থাইল্যান্ডে আন্তর্জাতিক স্তরে ১১.৫ মিলিয়ন মানুষ ভ্রমণ করেছে, যা এক অভূতপূর্ব রেকর্ড। আমরা আশা করছি, ২০২৩ সালে থাইল্যান্ডে ২৫ মিলিয়ন মানুষ ভ্রমণ করবে। দ্বিতীয় যেটা বলতে চাই, তা হল ভারতীয় বাজার। থাইল্যান্ডে বিদেশ থেকে যত মানুষ ভ্রমণ করে তার মধ্যে ভারত এক নম্বরে। ভারত থেকে এক মিলিয়ন মানুষ গত বছর ভ্রমণ করেছে। রয়্যাল থাই কন্স্যুলেট প্রতিবারই থাই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে থাকে। বর্তমানে থাইল্যান্ড ভ্রমণ করলে কোভিড সংক্রান্ত কোনও নথিই দেখাতে হবে না। তবে অতিরিক্ত তাদের যেটা করতে হবে তা হল, থাইল্যান্ড ভ্রমণ করতে হলে ভ্রমণকারীদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবীমা করতে হবে। তবে তারা ভারত থেকে গেলে ফেয়ারর সময় তাদের আরটি-পিসিআর অবশ্যই করতে হবে।

১লাখ ৯৬ হাজার মানুষ ভ্রমণ করেছেন শুধু পশ্চিমবঙ্গ থেকে

নয়া দিল্লিতে ট্যুরিজম অথোরিটি অব থাইল্যান্ডের ডাইরেক্টর মিসেস সিরিগেস-এ-নং বলেন- ২০১৯ সালে ভারত ছিল থাইল্যান্ডে সব চেয়ে বড় অবদানকারী দেশ।তবে বর্তমানে ১.৯৬ মিলিয়ন ভারতীয় পর্যটক থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে ১০ শতাংশ অর্থাৎ ১লাখ ৯৬ হাজার মানুষ ভ্রমণ করেছেন শুধু পশ্চিমবঙ্গ থেকে। কারণ, আমরা জানি, পশ্চিমবঙ্গ হল অত্যন্ত উচ্চ সম্ভাবনা যুক্ত স্থান। সবচেয়ে এটা জেনে ভালো লাগছে যে থাইল্যান্ড পর্যটন ও হোটেলগুলিতে খুব ভালো আগমন ঘটেছে।

পর্যটনের নানা দিক উপস্থাপন করেন পিঙ্কি অরোরা

অ্যামেজিং নিউ চ্যাপ্টারস বা আশ্চর্জনক নতুন অধায় নিয়ে থাইল্যান্ড পর্যটনের নানা দিক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন ট্যাট, নিউ দিল্লির জনসংযোগ আধিকারিক পিঙ্কি অরোরা। তিনি বলেন- থাইল্যান্ড ভ্রমণে আর কোনও অসুবিধা নেই। যে কেউ এখন থাইল্যান্ড ভ্রমণ করতে পারবেন। শুধু তাকে স্বাস্থ্যবীমা করে নিতে হবে।

বি-টু-বি সেশন থাই হোটেলের প্রতিনিধি এবং কলকাতার ট্রাভেল ট্রেডের মধ্যে

তবে এর আগে থাই হোটেলের প্রতিনিধি এবং কলকাতার ট্রাভেল ট্রেডের মধ্যে বি-টু-বি সেশন শুরু হয়। । সেখানে অংশ নেয় থাইল্যান্ডে ব্যবসা করা প্রথম সারির ছ’টি হোটেল। তারা হল-

  • ব্যানিয়ান ট্রি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস,
  • দুসিত থানি হোটেলস অ্যান্ড রিসর্টস,
  • কাতা গ্রুপ অ্যান্ড বিয়ন্ড রিসর্টস,
  • লা ভিদা সামুই হসপিটালিটি গ্রুপ,
  • প্রেফার্ড হোটেল অ্যান্ড রিসর্টস,

ক্রস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট।  এছাড়াও উপস্থিত ছিল থিল্যান্ডের ন্যাশনাল ক্যারিয়র থাই এয়ারওয়েজ। প্রত্যেকেই তারা নিজদের ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। প্রতিটি হোটেলের প্রতিনিধিরা ভ্রমণকারীদের জন্য নতুন কি সুবিধা দিতে চলেছেন সে সম্পর্কে জানান। দুসিত থানি হোটেল এন্ড রিসর্টস-এর পক্ষে ছিলেন ডাইরেক্টর অব সেলস, গ্লোবাল সেলস-ইন্ডিয়া রাকেশ ভান্ডারি, ক্রস হোতেলস এন্ড রিসর্টস-এর পক্ষে ডাইরেক্টর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সন্দীপ রাঘব, কাতা গ্রুপ অ্যান্ড বিয়ন্ড রিসর্টস-এর বন্দনা মাথুর, প্রেফার্ড হোটেল অ্যান্ড রিসর্টস-এর দক্ষিণ এশিয়ার ডাইরেক্টর , গ্লোবাল সেলস এন্ড ডেভেল্পমেন্ট জিত বোস। এছাড়াও ছিলেন থাই এয়ারওয়েজের সাজিদ খান। তিনি কলকাতা-ব্যাঙ্কক যাত্রা গত ১ জানুয়ারি থেকে পুনরায় শুরু হওয়ার বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি জানান, কলকাতা থেকে বহু মানুষ টিকিট বুকিং করেছেন। সম্ভাবনা খুবই ভালো।

ইভেন্টে ট্রাভেল এজেন্ট, ওয়েডিং প্ল্যানার এবং ট্রাভেল মিডিয়া সহ প্রায় 60 জন অতিথির ভাল উপস্থিতি ছিল। থাই হোটেল এবং এয়ারলাইনকে কলকাতা ভ্রমণ বাণিজ্যের সাথে সংযুক্ত করার জন্য এবং আশ্চর্যজনক থাইল্যান্ডের পর্যটন সম্পর্কে তাদের আপডেট রাখতে এটি একটি দুর্দান্ত উদ্যোগ।

Published on: জানু ১৩, ২০২৩ @ ০১:১৯


শেয়ার করুন