কার্তিক মাসে দীপদান মহোৎসব কেন হয় জানেন, এত কি ফল লাভ হয় জেনে নিন

Main দেশ ধর্ম ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: অক্টো ২৩, ২০২২ @ ১২:২২
লেখকঃ তারকব্রহ্ম দাস ব্রহ্মচারী

এসপিটি প্রতিবেদন: ভারতীয় বৈদিক সাহিত্যে দীপদান মহোৎসব একটি বিশেষ মহিমামণ্ডিত অনুষ্ঠান। পদ্মপুরাণ, স্কন্দপুরাণাদি শাস্ত্র কার্তিক মাসে দীপদানে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায় এই মাসকে দামোদর মাস বলেন। এই মাস হেমন্ত ঋতুর অন্তর্গত। এই ঋতুর সমাগমে দেবী বসুন্ধরা তাঁর স্বাভাবিক কমনীয় শান্ত মূর্তি ধারণ করেন।

কেন দীপদান করা হয়

হেমন্ত ঋতুজাত নানাপ্রকার বিকশিত পুষ্পের সৌরভে যেমন ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের তৃপ্তি বিধান করে, তেমনি এই সময় দেব অর্পিত দ্বীপের শোভাদ্বারা মানব নয়নেরও পরমানন্দ বিধান করে। আমাদের জীবনের মঙ্গল কামনায় সকলেরই আরাধ্য দেবের প্রতি দীপদান করা কর্তব্য।

সূর্যের উদয়ে যেমন সমস্ত জগতের অন্ধকাররাশি দূরীভূত হয়, তেমনি প্রযত্ন সহকারে এই মাসে যথাবিধি হরিমন্দিরে আরাধ্যদেবের প্রীতিবিধানে দীপার্পণে একদিকে যেমন সমস্ত দুঃখাদি অমঙ্গলসমূহ দূরীভূত হয়ে জগৎময় আলোকে উদ্ভাসিত হবে অপরদিকে তেমনি জগৎ জীবন দীপের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হবে, আর সেই সঙ্গে পরলোকে পরম ধামে পরাগতি লাভ হবে।

দীপদানের মাহাত্ম্য

এই কার্তিক মাসে ঘৃতদীপ, তিলতৈলদীপ, সকর্পূর দীপদান অধিক প্রশস্ত। অখণ্ড অর্থাৎ অহোরাত্রব্যাপী দীপদান, হরিমন্দিরের উপরিভাবে কুম্ভের উপরে দীপদান, শিখরস্থিত দীপ সন্দর্শন অধিক মাহাত্ম্যপূর্ণ। হরিমন্দিরে দীপপংক্তি প্রদান, আকাশ দীপদান, সলিল মধ্যে দীপদানে নেত্রযুগল অধিক তেজময় হয় ও দীপদাতা বিদ্বান হয়ে ভূমণ্ডলে বিচরণ করেন।

দীপদানে কি হয়

যিনি প্রদীপ প্রবোধন বা আবর্তন করেন তিনিও মহামঙ্গল প্রাপ্ত হন। সামান্য জীব একটি মুষিকও অন্য দত্ত দীপ উদ্দীপনে পরমাগতি লাভ করেছিল। অতেব আমাদের সকলের এরূপ প্রার্থণা হোক- “হে সর্বমঙ্গলময় দামোদরদেব! আপনাকে এই সুগ্নধ সম্ন্বিত দীপ আবর্তন পুর্বক সমর্পন করলাম। আপনি আমাদের হৃদয়মন্দির আলোকিত করে পরম কল্যাণ বিধান করুন।

Published on: অক্টো ২৩, ২০২২ @ ১২:২২


শেয়ার করুন