এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান হাইজ্যাক করে পাকিস্তান নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে ফোন- সতর্ক করা হল দেশের সব বিমানবন্দরকে

Main দেশ
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ২৩, ২০১৯ @ ১৯:৫৮

এসপিটি নিউজ, নিউ দিল্লি, ২৩ ফেব্রুয়ারিঃ এয়ার ইন্ডিয়ার মুম্বই কন্ট্রোল সেন্টারে শনিবার একটি ফোন আসে। সেই ফোনে বিমান হাইজ্যাক করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর থেকে দেশের সমস্ত বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্য ব্যুরো ফর সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (বিসিএএস) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিতে সকল বিমান সংস্থা এবং সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স )কে আদেশ দিয়েছে। এর পরই দেশের সমস্ত বিমানবন্দরকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। শুরু হয়েছে তল্লাশিও।

ব্যুরো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২৩ ফেব্রুয়ারি মুম্বাই এয়ার ইন্ডিয়া বিমানবন্দর কন্ট্রোল সেন্টারে টেলিফোনে বিমান হাইজ্যাক করার হুমকি দেওয়া হয়। এর পর দেশের সব বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সকল বিমানবন্দরে সিকিউরিটি ইউনিট / বিমান চালনা সিকিউরিটি গ্রুপ এবং সব বিমান অপারেটার তাৎক্ষনিক প্রভাবের সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সেই নোটের বক্তব্য অনুযায়ী, টার্মিনাল ভবন, এয়ার-সাইড চলাফেরা, সমস্ত কাজকর্মের এবং অন্যান্য বিমান চালনার সুবিধা, পণ্যসম্ভার, পণ্যসম্ভারে ঢোকার সময় কঠোর আগমনের নিয়ন্ত্রণ, যাত্রী, কর্মচারী এবং ভিজিটর নিবিড় তদন্ত, পণ্যসম্ভার টার্মিনাল, ক্যাটারিং, মেইল ​​ইত্যাদি পরীক্ষা , টার্মিনাল ভবন এবং অপারেশন এলাকার পার্শ্ববর্তী অবস্থানগুলিতে সিসিটিভি মারফত নজরদারিতে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বিসিএসের নোটগুলিতে উল্লিখিত আট ধাপ নিম্নরূপ:

  • যারা বিমানবন্দর টার্মিনাল বিল্ডিং, এয়ারসাইড, সমস্ত অপারেশন এলাকা এবং অন্যান্য বিমান থাকার সুবিধার স্থানে প্রবেশ করছে তাদের উপর কঠোর নজরদারি এবং তদন্ত চলবে।
  • গাড়ি পার্কিং এলাকায় প্রবেশ করা সমস্ত যানবাহনগুলির উপর নিবিড় অনুসন্ধান এবং তদন্ত চলবে, যাতে কোনওরকম খারাপ কিছু হওয়ার আগে সম্ভাব্য অপহরণের ঘটনা রোখা যেতে পারে।
  • তদন্ত আরো তীব্র করতে হবে এবং ভ্রমণকারী, কর্মী এবং দর্শকদের উপর কড়া অনুসন্ধান চালাতে হবে এবং বিমানবন্দরের প্রবেশদ্বারে যে কোনো ব্যক্তির প্রবেশের সময় তার উপর কড়া অনুসন্ধান চালাতে হবে।
  • চেক-আপ এবং উপকরণ পর্যবেক্ষণ, হাতের সরঞ্জাম, পণ্যসম্ভার, পণ্যসম্ভার টার্মিনাল, খাবার, পোস্ট ইত্যাদি বিষয়ের দিকেও কড়া নজর রাখতে হবে।
  • – টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের পাশে এবং কাছাকাছি জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি, ম্যানুয়াল মনিটরিং স্তর যোগ করতে হবে।
  • এয়ারপোর্ট প্রাঙ্গনে প্রায় দ্রুত অ্যাকশন টিম এবং পেট্রলিং টিম আরও সতর্কতার সঙ্গে সক্রিয় রাখতে হবে।
  • প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার গেটগুলিতে আরো বেশি করে সশস্ত্র বাহিনীর কঠোর নজরদারী বাড়াতে হবে।
  • -স্থানীয় তথ্যের ভিত্তিতে সুরক্ষার জন্য অন্যান্য অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।

Published on: ফেব্রু ২৩, ২০১৯ @ ১৯:৫৮

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + 1 =