এই দেশে দুটো নেতা-একটা ‘হোদোল কুতকুত’ আর একটা ‘কিম্ভূত কিমাকার’-ডানকুনির সভায় বললেন মমতা

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ২৪, ২০২১ @ ২১:৪৫

এসপিটি নিউজ, ডানকুনি, ২৪ ফেব্রুয়ারি:   বিধানসভার ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই চড়ছে রাজনীতির পারদ। আজ হুগলির ডানকুনিতে তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে তোপা দাগেন। বিভিন্ন প্রসঙ্গ টেনে তিনি এদিন বিজেপির এই দুই শীর্ষ নেতার নাম না করে বলেন- এই দেশে দুটো নেতা আছে । একটা হোদোল কুতকুত আর একটা হল কিম্ভূত কিমাকার।

‘তুমি ফিতে কেটেছো, লজ্জাও করে না’

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিক রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করে যান। মমতার এদিনের বক্তব্যে তা নিয়েও ছিল ক্ষোভ। তাঁর দাবি- এগুলি সবটাই হয়েছে তাঁর রেলমন্ত্রী থাকার সময়। এসব প্রকল্পই তিনি রে্লমন্ত্রী থাকার সময় করে দিয়ে গেছেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা প্রশ্ন তুলে বলে চলেন- “তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর লাইন কে করেছিল? আমি রেল মিনিস্টার থাকাকালীন তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর করে দিয়ে গেছি। ডানলপ থার্ড লাইন করে দিয়ে গেছি। ডানলপ থেকে অমৃতসর ফ্রেটকরিডর করে দিয়ে গেছি। দক্ষিণেশ্বর-নোয়াপাড়া মে্ট্রো রেল আমি করে দিয়ে গেছি। তারাতলা-জোকা মেট্রো রেল আমি করে দিয়ে গেছি। গড়িয়া থেকে মেট্রো রেল আমি করে দিয়ে গেছি। দীঘা-তমলুক আমি করে দিয়ে গেছি। একলাখি বালুরঘাট আমি করে দিয়ে গেছি। হাওড়া-বড়গাছি আমি করে দিয়ে গেছি। হাওড়া-মুন্সিরহাট আমি করে দিয়ে গেছি। লক্ষীকান্তপুর-নামখানা আমি করে দিয়ে গেছি। আর তুমি ফিতে কেটেছো। লজ্জাও করে না। তুমি ফিতে কাটার আগে মনে পড়ল না- করলো কে? দিল কে? লড়ন কে? টাকা দিলো কে? আর দালালি করলো কে?”

‘অনেক সময় আমরাও দু’একটা এদিক-ওদিক বলে ফেলি’

এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন- “অনেক সময় আমরাও দু’একটা এদিক-ওদিক বলে ফেলি। দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে মিথ্যে কথা বলছে। আমি প্রধানমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন একথা বলছি না। আমি পদটাকে সম্মান করি। উনি আজ আছেন কাল থকবেন না।” এরপরই নাম না করে বলেন, “এই দেশে দুই নেতা- একটা নেতা হোদল কুতকুত, আমি জানি না এর ইংরাজি কি আর হিন্দি কি। টিপিকাল বাংলা ক্লাসিকাল ওয়ার্ড। আর একটা নেতা হচ্ছে কিম্ভুত কিমাকার। বাংলা-ইংরাজি করে নেবেন।”

‘আজকে ভেবে দেখুন তো!কোথায় আঘাতটা করছে’

এরপর রীতিমতো ক্ষোভের সুরে মমতা বলে চলেন-” আজকে ভেবে দেখুন তো!কোথায় আঘাতটা করছে। দেখুন আমি রাজনীতি করি। আপনারা আমাকে অনেক বার মেরেছেন। আমার মাথায় ৪৬টা স্টিচ আছে। আমার মাথায় অপারেশন হয়েছে। আমার চোখে অপারেশন হয়েছে। আমার পেটে দু’বার অপারেশন হয়েছে। আমার দুটো হাতে অপারেশন হয়েছে। আমার কোমরে চোট আছে। আমি তাই নিয়ে করি।”

‘একটা ঘরের বউ, তাকে কয়লা চোর বলছেন?’

“কিন্তু বলুন, আমি রাজনীতি করি আর আমার উপর আপনাদের খুব রাগ। বিজেপির খুব রাগ। তাই আমায় কি করতে পারেন- আমায় মারতে পারেন। আমায় খুন করতে পারেন। যা ইচ্ছে করতে পারেন। কিন্তু মা-বো্নেদের অসম্মান করতে পারেন? আপনি আমার বাড়িতে ঢুকে গিয়ে একটা বাচ্চা মেয়ে ২২-২৩ বছর বয়স, একটা ঘরের বউ, তাকে কয়লা চোর বলছেন? আর কয়লা চোরদের নিয়ে নিজে ঘুরে বেরাচ্ছেন? লজ্জা করে না। আজ আমাদের ঘরের মা-বোনেরা কয়লা চোর? আর তোমার সারা গায়ে ময়লা লেগে আছে।” বলেন মমতা।

Published on: ফেব্রু ২৪, ২০২১ @ ২১:৪৫


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

63 − = 54