Published on: নভে ৮, ২০২০ @ ১৬:২০
এসপিটি নিউজ: বিগত কয়েক বছরে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন এমনভাবে পালন হয়েছে কিনা জানা নেই। ঘরে কিংবা বাহারি অট্টালিকায় কেক কেটে উৎসব করে নয় সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের সঙ্গে নিয়ে এক অভিনব কায়দায় দলের নেতার জন্মদিন পালন করলেন প্রদেশ যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট তপাদার। দিলেন পুজো। করলেন বস্ত্র দান আর খাবার বিতরণ।
নেতার জন্মদিনে সম্রাটের সমাজসেবা
সমাজসেবামূলক কাজ সারা বছর ধরেই করে থাকেন প্রদেশ যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট তপাদার। গত কাল ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। যিনি বর্তমানে তৃণমূলের সাংসদ ও যুব তৃণমুলের সর্বভারতীয় সভাপতি। তাই এই দিনটিকে সমাজসেবামূলক কাজেই উৎসর্গ করেন সম্রাট। সেই মতো তাঁর নেতার জন্মদিনটাও পালন করেন তিনি।
তিন মন্দিরে মঙ্গল কামনায় পুজো
অভিষেকের দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করে একাধিক মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন সম্রাট। প্রথমে দক্ষিণেশ্বর মা ভবরতারিণীর মন্দির তারপর সেখান থেকে সোজা হালিসহরে সাধক রামপ্রসাদের ভিটেতে যান। নেতার নামে সেখানে কালী মন্দিরে দেন পুজো। এরপর আসেন শ্যামনগরে মূলাজোড় কালী মন্দিরে। এর আগে তিনি দক্ষিণেশ্বর মন্দির থেকে বেরিয়ে দুঃস্থ মানুষের মধ্যে প্রসাদ ও মিস্টি বিতরণ করেন।
বস্ত্র দান থেক মিস্টি বিতরণ
ব্যারাকপুর তালপুকুরে পৌঁছে প্রায় দু’শো দুঃস্থ শিশুদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন। যান ব্যারাকপুর ভোলানন্দ বৃদ্ধাশ্রমে। সেখানে আবাসিকদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটান। মিষ্টিও খাওয়ান।সন্ধ্যায় যান ভাটপাড়ায়। সাংসদের জন্মদিন উপলক্ষে সেখানে এক হাজার গরিব মানুষের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করেন। তার সাথে হাজির ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
মানুষের সাথে সেই আনন্দ ভাগ করে নেওয়াটা কর্তব্য-সম্রাট
নিজের যুব সভাপতির প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে সম্রাট তপাদার বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মানেই তাকে ঘিরে যুব সমাজের আবেগ। তাই তাঁর জন্মদিনে ঘরের মধ্যে কেক না কেটে মানুষের সাথে সেই আনন্দ ভাগ করে নেওয়াটা কর্তব্য বলে মনে করেছি। তাই সারাদিন সাধারণ গরিব মানুষ ও শিশুদের পাশে থেকেছি৷ একইসাথে আমাদের নেতার দীর্ঘায়ু কামনায় একাধিক মন্দিরে পুজো দিয়েছি’।
Published on: নভে ৮, ২০২০ @ ১৬:২০