Published on: সেপ্টে ১২, ২০২২ @ ১৮:০৯
Reporting: Aniruddha Pal
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১২ সেপ্টেম্বর: উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি বর্তমানে পর্যটন ক্ষেত্রে বেশ নজর কেড়েছে। তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য মিজোরাম। পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর ভারতের এই রাজ্যটি পর্যটন মানচিত্রে নিজেদের জাত চিনিয়েছে। ভ্রমণপ্রেমীরা এখন আরও বেশি করে ভ্রমণের পছন্দের তালিকায় রাখছে মিজোরামকে। মিজোরাম তাই নানাভাবে তাদের নানা দিক তুলে ধরছে মানুষের কাছে। এবার তারা রাজধানী আইজলে পাহাড়ি পথে মাইনেকো, খাতলায় অবস্থিত মিজোরাম পর্যটন অধিদপ্তরের কার্যালয়ের পাঁচ তলা ভবনের ছবি তুলে ধরল।
মিজোরাম ভারতের উত্তর-পূর্বের একটি রাজ্য
মিজোরাম ভারতের উত্তর-পূর্বের একটি রাজ্য। নাটকীয় ল্যান্ডস্কেপ এবং মনোরম জলবায়ুর কারণে মিজোরামকে অনেকের কাছে একটি সুন্দর জায়গা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আগে এই রাজ্যে ভ্রমণের যোগাযোগের অনেক অসুবিধা থাকলেও ইদানীং তারা সেইসব বাধা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে তারা সেই প্রচেষ্টায় সফলও হয়েছে। এখন দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিশেষ করে প্রধান প্রধান শহরগুলি থেকে নিয়মিত রাজধানী আইজলে উড়ান পরিষেবা চালু রয়েছে। এছাড়াও সড়ক পথে সারা দেশের সঙ্গে সুন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। আছে আসামের শিলচর পর্যন্ত রেল পরিষেবা এবং সেখান থেকে মাত্র ছয় ঘণ্টায় সড়ক পথে আপনি পৌঁছে যেতে পারেন রাজধানী আইজল শহরে। ধীরে ধীরে মিজোরাম পর্যটন মানচিত্রে ক্রমশই উজ্জ্বল হয়ে উঠছে।
পর্যটন মন্ত্রক নিচ্ছে নানা উদ্যোগ
পর্যটন মন্ত্রক রাজ্য জুড়ে তার পর্যটন লজগুলির রক্ষণাবেক্ষণ বা আপগ্রেড করে চলেছে৷ বিদেশী পর্যটকদের দেখার আগে বিশেষ পারমিটের অধীনে একটি ‘ইনার লাইন পারমিট’ পেতে হয়। পারমিটটি বিদেশে ভারতীয় মিশন থেকে সীমিত সংখ্যক দিনের জন্য বা সরাসরি ভারতের মধ্যে মিজোরাম সরকারী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া যেতে পারে। রাজ্যটি পাখি বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ, যা এটিকে একটি প্রধান পাখির গন্তব্যে পরিণত করার সম্ভাবনা রয়েছে। মিসেস হিউমের তিতির (সির্ম্যাটিকাস হুমিয়া) জন্য মিজোরাম একটি দুর্গ। রাজ্য থেকে বন্য জল মহিষের একটি বিরল রেকর্ডও রয়েছে। মিজোরাম, তারপর লুসাই পাহাড় থেকে সুমাত্রান গন্ডারের বেশ কিছু অতীত রেকর্ড রয়েছে। এনগেংপুই এবং দাম্পা অভয়ারণ্যে বন্য হাতির ক্ষুদ্র জনসংখ্যা দেখা যায়। কিছু আকর্ষণীয় সাইট হল মিজো পোয়েটস স্কোয়ার যা মিজোতে মিজো হ্লাকুংপুই মুয়াল নামেও পরিচিত, গ্রেট মেগালিথস স্থানীয়ভাবে ‘কাউচুয়াহ রোপুই’ নামে পরিচিত।
এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য- জনসংখ্যা এবং অর্থনীতি মিজোরা একটি ঘনিষ্ঠ সমাজ যার কোনো শ্রেণী বৈষম্য নেই এবং লিঙ্গের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য নেই। একটি শিশুর জন্ম, গ্রামে বিয়ে এবং গ্রামের একজন ব্যক্তির মৃত্যু এমন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যাতে পুরো গ্রাম জড়িত থাকে। 2001 সালের আদমশুমারি অনুসারে, আইজল আরবান এরিয়া (AUA) এর জনসংখ্যা প্রায় 2.61 লক্ষ যার স্থূল ঘনত্ব প্রায় 1721 জন প্রতি বর্গ কিমি। আইজল মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের সমগ্র AUA জনসংখ্যার 93.27%, যা মোট AUA-এর মাত্র 68.02% কভার করে। গ্রাম কাউন্সিল এলাকার জনসংখ্যার অংশ সমগ্র AUA-এর 6.73%। আইজল নগর এলাকার জনসংখ্যা তিন ধরনের বৃদ্ধির হার অনুমান করে এবং অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান বিভাগ, আইজল দ্বারা প্রদত্ত জনসংখ্যা অনুমান বিবেচনা করে এক্সট্রাপোলেট করা হয়েছে। অবশেষে, 2011, 2021 এবং 2031 সালের জন্য এই চারটি পরিসংখ্যানের গড় গণনা করা হয়েছে, যা যথাক্রমে প্রায় 3.82 লাখ, 5.60 লাখ এবং 8.20 লাখ। আইজল আরবান এলাকার জনসংখ্যা 8.20 লাখ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। (ছবিটি মিজোরাম পর্যটনের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে নেওয়া)
Published on: সেপ্টে ১২, ২০২২ @ ১৮:০৯