Published on: মে ১৩, ২০২১ @ ১৮:০৮
এসপিটি নিউজঃ ভ্যাকসিন নিয়ে আশার কথা শোনাল কেন্দ্রীয় সরকার। তারা জানিয়ে দিয়েছে চলতি বছরে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ভারতে ভ্যাকসিনের ২১৬ কোটি ডোজ তৈরি হবে। সকলেই পাবে এই ডোজ। একই সঙ্গে বিদেশি ভ্যাকসিনের কোম্পানিগুলিও ভারতের আবেদনে সাড়া দিয়ে তারাও এগিয়ে আসছে।এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য ড. ভি কে পল।
কেন্দ্রীয় নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য জানান- “বায়োটেকনোলজি বিভাগ, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগগুলির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক বিদেশি ফাইজার, মোদারনা, জন্সন এন্ড জনসন কোম্পানিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছে। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে তারা ভারতে ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠাতে কিংবা উৎপাদন করতে চায় কিনা। তাহলে আমরা অংশীদারদের খঁজে বের করতে সহায়তা করব। তারা বলেছিল যে তারা নিজস্ব উপায়ে কাজ করছে এবং তারা সেতাই করবে। তারা চলতি বছর কিউ থ্রি ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতার কথা জানায়।তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। আমি আশাবাদী তারা ভারতে প্রাপ্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।”
কেন্দ্রীয় নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য ড. ভি কে পল এই তথ্য তুলে ধরে জানিয়েছেন- ” আমরা আমাদের সংস্থাগুলি সহ তাদের এখানে উৎপাদন করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। জনসন এন্ড জনসন একটি ভাল কাজ করেছ, তারা এই অফারটি কোয়াডের অধীনে গ্রহণ করেছে।” তিনি একই সঙ্গে জানিয়েছেন যে এফডিএ, ডাব্লুএইচও অনুমোদিত যে কোনও ভ্যাকসিন ভারতে আসতে পারে। আমদানির লাইসেন্সটি 1-2 দিনের মধ্যে দেওয়া হবে। কোনও আমদানির লাইসেন্স বিচারাধীন। অর্থাৎ
তবে সামগ্রিকভাবে, ভারত এবং ভারতীয়দের জন্য – আগস্ট-ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে ভ্যাকসিনের ২১৬ কোটি ডোজ তৈরি করা হবে। আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ভ্যাকসিন সবার জন্য পাওয়া যাবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। একথা জানানোর পাশপাশি নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য ডঃ ভি কে পল বলেন- “স্পুতনিক ভ্যাকসিন ভারতে এসে গেছে। আমি একথা জানাতে পেরে খুশি যে আমরা আশাবাদী যে এটি আগামী সপ্তাহে বাজারে পাওয়া যাবে। আমরা আশাবাদী যে সেখান থেকে (রাশিয়া) থেকে প্রাপ্ত সীমিত সরবরাহের বিক্রি আগামী সপ্তাহে শুরু হবে। আরও সরবরাহ অনুসরণ করা হবে। জুলাই মাসে এর উত্পাদন শুরু হবে এবং এটি অনুমান করা হয় যে সেই সময়ের মধ্যে ১৫.৬ কোটি ডোজ তৈরি করা হবে।”
ভারতে কোভিড ভ্যাকসিনের প্রায় ১৮ কোটি ডোজ সরবরাহ করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, এই সংখ্যাটি প্রায় ২৬ কোটি। সুতরাং, ভারত তৃতীয় অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে। জানান ড. ভি কে পল।
Published on: মে ১৩, ২০২১ @ ১৮:০৮