
Published on: এপ্রি ২০, ২০১৮ @ ২২:৫২
এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ নিজের ইচ্ছা থাকলে কত কি না হয়! ১২ বছরের এক ছোট্ট ছেলে যা করেছে তা অনেক বড় বড় ওস্তাদকেও বেকায়দায় ফেলে দেবে। অষ্টম শ্রেণির এই ছাত্র এই বয়সে ৮২টি অ্যাপ বানিয়ে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ৯ বছর বয়স থেকে জব্বলপুরের আদিত্য চৌবে অ্যাপ বানানোর কাজে নিয়োজিত আছে। ইতিমধ্যে সে অনলাইন “আদি” কোম্পানির মালিক হয়ে গেছে।জাগরন-এর অন লাইন সংস্করনে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে।
একদিক থেকে দেখলে আদিত্যর পরিবার এক শিক্ষিত পরিবার। বাবা ধর্মেন্দ্র চৌবে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির জুনিয়র ওয়ার্কার্স ম্যানেজার। মা অমিতা নিজের স্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষিকা। দিদি ১২ ক্লাসের ছাত্রী।
আদিত্যর কাজ দেখে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা পর্যন্ত অবাক হয়ে গেছেন।কারণ, যে কমপিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ সে কোনওদিন শোনেনি সেই সম্পর্কে আদিত্য আজ অনলাইনে টিউশন দিতে শুরু করেছে।
আদিত্য জানিয়েছে, যখন তার ৯ বছর বয়স তখন একদিন ল্যাপটপ-এ খেলার সময় নোটপ্যাডে প্লস-প্লস সফটওয়ার ডাউনলোড করি। এই নোটপ্যাডে যখন সে কিছু টাইপ করতে যাচ্ছিল তখন বারে বারে সেখানে এরর চলে আসছিল। সেটিং-এ গিয়ে সে দেখতে পায় যে সেখানে জাভা ল্যাঙ্গুয়েজ। এটা নিয়ে সার্চ করে এর সম্পর্কে সে সার্চ করে জানতে পারে। পরিস্থিতি কিভাবে বদলে গেছে দেখুন একদিন যে বিষয়টি তার একেবারে অজানা ছিল আজ সেই বিষয়টি সে অনলাইনে বহু মানুষকে শেখাচ্ছে।
স্কুলে বন্দুরা প্রায়ই তাকে বলত, এর দ্বারায় কিছুই হবে না। কিছুই তো করতে পারে না। কি হবে এর। আদিত্য বলে, আমি সবসময় এই কথাগুলি শুনে যাই। কোনও জবাব দিই না। কারণ, আমি চাই, আমি আমার কাজের মধ্যে দিয়ে ওদের জবাব দেব। ওরাও জানে না আমি অ্যাপ বানাই।
আদিত্যর কথায়, ম্যাথ আর ফিজিক্স তার সর্বদা ভালো লাগে। আগে কম্পিউটার সায়েন্সে ইঞ্জিনিয়ারিং করে একটি কোম্পানি খুলতে চাই। সে আরও জানায়, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সনিয়ে কাজ করতে চায়। তার সবসময় ইচ্ছে হয় আগের ক্লাসে সায়েন্স-এ কি পড়ানো হচ্ছে, তা জানতে। আদিত্য যে অ্যাপ্স বানিয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হল, কোডরেড বটন, চ্যাট বুক অ্যাপ, লোকেশন লাইট অ্যাপ।
কোডরেড বটন অ্যাপ দিয়ে যে কেউ নিজেকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
চ্যাট বুক অ্যাপ তৈরি করতে আদিত্যর সবচেয়ে বেশি সময় লাগে। ১৮ দিন।
ইউ টিউবের মতো লিসিন টিউব অ্যাপ তোইরি করেছে আদিত্য। এর সুবিধা হল স্ক্রিন অফ করে দেওয়ার পরেও ভিডিওর পরিবর্তে অডিও শোনা যাবে।
লোকেশন লাইট অ্যাপ দিয়ে আপনি আপনার পছন্দের জায়গায় পৌঁছে যেতে পারবেন।
বর্তমানে আদিত্যর তৈরি করা চারটি অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে আছে। এর মধ্যে আছে লোকেশন লাইট, ব্যাটারি বডিগার্ড, অল ইন ওয়ান এবং চ্যাট বুক প্রমুখ। আদিত্য জানিয়েছে, এই মুহূর্তে তার ৪৮টি অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে দেখার জন্য ভেরিফিকেশন মোডে আছে। খুব শীঘ্রই সেগুলি গুগল প্লে স্টোরে চলে আসবে।
Published on: এপ্রি ২০, ২০১৮ @ ২২:৫২