বিশ্ব পর্যটন দিবসে ‘ রিথিংকিং ট্যুরিজম’ থিম’কে সামনে রেখে এগিয়ে চলার শপথ গ্রহণ কলকাতায়

Main দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: সেপ্টে ২৮, ২০২২ @ ১১:২২
Reporter: Subhadyuti Dutta

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৮ সেপ্টেম্বর: এক অনবদ্য অ্নুষ্ঠান হয়ে গেল গতাল কলকাতা প্রেস ক্লাবে। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মুখ্য আয়োজক ছিল অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্যুরিজম সার্ভিস প্রোভাইডারস অফ ওয়েস্টবেঙ্গল সংক্ষেপে – (এটিএসপিবি) । সেখানে একদিকে যেমন ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটোন বিভাগের সচিব ডঃ সৌ্মিত্র মোহন, তেমনই ছিলেন কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর। এছাড়াও উপ্সথিত ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের পর্যটন বিভাগের প্রতিনিধিরা। এবারের বিশ্ব পর্যটন দিবসের মূল থিম ‘রিথিংকিং ট্যুরিজম’কে সামনে রেখেই উপস্থিত সকলে পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ নেন।

পর্যটন সচিব ডঃ সৌমিত্র মোহন যা বললেন

করোনার আবহে প্রায় দুই বছর পর্যটন ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তা কাটছে। এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্তরা নতুন করে অনেক আশায নিয়েই ফের বুক বাঁধছেন। আশঙ্কা ধীরে ধীরে কাটছে। পূজোর মরসুমে ফের যোগসূত্র গড়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই বাংলার দুর্গা পুজো ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সম্মানে স্বীকৃত হয়েছে। সেই দিক থেকে বাংলার পর্যটন স্বাভাবিকভাবেই এখন গতিশীল হয়েছে। সারা বিশ্বের নজরেও রয়েছে আমাদের বাংলা। ফলে এখাঙ্কার পর্যটনের প্রতি মানুষের চাহিদা ক্রমে বাড়ছে। সেই আবহে দাঁড়িয়ে এদিন রাজ্যের পর্যটন সচিব ডঃ সৌমিত্র মোহন সূচনা পর্বে তাঁর মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। তিনি ইনসেনটিভ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। হোটেল গড়ে তুলতে জমি দরকার। এই শিল্পে লগ্নির জন্য এক জানালা ব্যবস্থার কথাও তিনি এদিন জানিয়েছেন।

কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুরের বক্তব্য

এই অনুষ্ঠানে প্রেস ক্লাব, কলকাতার সভাপতি স্নেহাশিস সূর প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, সংবাদ মাধ্যম এ ক্ষেত্রে পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে থাকে। তাদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, গুজরাটের প্রতিনিধিদের বক্তব্য

  • রাজস্থান ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড এর কলকাতার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক হিংলাজ দন রত্নু বলেন, গত  চারবছর ধরে আমি কলকাতার বাসিন্দা। বাংলার সাথে আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রয়েছে। জনপ্রিয় বাংলা ছায়াছবি – সোনার কেল্লা ও পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের অনবদ্য সৃষ্টি আজও বাঙালির মণিকোঠায়। ট্যুরিস্টরা সাদা মরুভূমি দেখতেও আগ্রহী। তাই রাজস্থানে বাঙালি পর্যটকের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে, এতা খুবই আনন্দের।
  • হিমাচল প্রদেশ এর তরফে বৃন্দাবন মালি জানান, কোভিড ১৯ এর সময়ে ব্যবসা হয় নি। ঐ লড়াই অব্যাহত রয়েছে ।
  • গুজরাত ট্যুরিজম এর পক্ষে অনুজিত মুখার্জি বলেন, গির অরণ্যের সিংহের দুর্নিবার টান পর্যটকদের কাছে বরাবরের ।

এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন  ছিলেন পর্যটন কর্তা মদন আগরওয়াল। ছিলেন ইন্ডিয়া ট্যরিজমের কর্তারাও। শেষে কলকাতা প্রেস ক্লাবের লনে পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্য পরিবেশন করা হয় – দূর্গা দুর্গতিনাশিনী।

Published on: সেপ্টে ২৮, ২০২২ @ ১১:২২


শেয়ার করুন