সংবাদদাতা-বাপ্পা মন্ডল ছবি-রামপ্রসাদ সাউ
Published on: মার্চ ৭, ২০১৮ @ ২১:৩০
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ৭মার্চঃ ওই তো বাঘের পায়ের ছাপ! মেদিনীপুর থেকে শুরু করে লালগড় পর্যন্ত কান পাতলেই শুধু লোকমুখে শোনা যায় এখন এই একটি কথা। বাঘ নয়, এখন চারিদিকেই বাঘের পায়ের ছাপ। আর তা নিয়েই ছড়িয়েছে আতঙ্ক।লালগড় থেকে শুরু করে মেদিনীপুর শহরের গুড়গুড়িপাল থানা এলাকাজুড়ে বন দফতরের কর্মীরা কড়া নজরদারি বাড়িয়েছেন। শালবনীর লক্ষণপুর গ্রামের দেশবাঁধ এলাকায় তালডাঙাতে বাঘ ধরার জন্য আরও একটি খাঁচা পাতা হয়েছে।বাঘের হাত বাঁচতে গ্রামবাসীরা এখন হাতে লাঠি জঙ্গলের পথ পেরোচ্ছেন।
রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ধরা যে মোটেই সহজ কাজ নয় সেটা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন সুন্দরবন থেকে আসা অভিজ্ঞ বনকর্মীরা। বাঘ বিশেষজ্ঞরা বলতে শুরু করেছেন, যারা নিজেদের বাঘ ধরার কাজে অভিজ্ঞ বন কর্মী বলে দাবি করছেন তারা এ পর্যন্ত কটি রয়্যাল বেঙ্গল ধরেছে সেটা কি তারা জানিয়েছে। না, সেটা তারা জানাননি। তবে লালগড়ের জঙ্গলে দেখা সেই বাঘটি মঙ্গল্বার রাত ন’টা নাগাদ মেদিনীপুর শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে মেদিনীপুর সদর ব্দলকের কঙ্কাবতী অঞ্চলের মুড়াকাটা গ্রামের কুয়াবুড়ির জঙ্গলে বিচরন করে।
সেই এলাকায় প্রায় দেড়শো মিটার এলাকা জুড়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখেছে বাসিন্দারা। যা নিয়ে তাদের মধ্যে আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে এমন ভয় দেখা দিয়েছে যা নিয়ে বন দফতর পড়েছে বেশ বিপাকে। কারণ, যেখানে বাঘটি আছে বলে মনে করা হচ্ছে সেই এলাকা থেকে মাত্র ৩-৪ কিলোমিটারের ম,অধ্যে দলমার বেশ কয়েকটি দাঁতাল অবস্থান করছে। ফলে, পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ তা সহজেই অনুমেয়।মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা জানান, পরিস্থির উপর নজর রাখা হয়েছে। রাতে সকলকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীরা পালা করে রাত জাগার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্থানীয় জেলাপরিষদের সদস্য সনৎ মাহাত বুধবার লক্ষণপুর সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে গিয়ে ছাপগুলি দেখেছেন। এই স্থানটি হল লালগড়, শালবনী ও গুড়গুড়িপাল থানার সংযোগস্থল। গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে বনকর্মীদের সহযোগিতা করার কথা বলেন তিনি।এদিনও বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ছিল শুনশান।সর্বত্রই আতঙ্ক বিরাজ করছে।
খবর পাওয়ার পর বন দফতরের কর্মীরা সেখানে এসে বাঘের পায়ের ছাপের ছবি সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। নজরদারির কাজও করে চলেছে তারা। কিন্তু বাসিন্দাদের মনের আতঙ্ক ডুর করতে এখনও পর্যন্ত ব্যর্থ তারা। মঙ্গলবারই, লালগড় আর গুড়গুড়িপাল থানার মধ্যবর্তী এলাকায় শালবনী থানার জঙ্গল এলাক্য আরও একটি নতুন খাঁচা পাতা হয়েছে।কিন্তু এই বাঘকে ধরা সম্ভব কিনা সেটাই এখন মুল্যবান প্রশ্ন।
Published on: মার্চ ৭, ২০১৮ @ ২১:৩০