Published on: আগ ১০, ২০১৮ @ ১৭:০১
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১০ আগস্টঃ ১৬ বছর আগে হিমাচল প্রদেশে ঘুরতে গিয়ে দেখেছিলাম এই ছবিটা। হিমাচল পুলিশ সেইসময় জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে ১৫ বছরের বেশি পুরনো গাড়িগুলিকে ধরপাকড় করছে। তাদের সামনে সেইসময় পড়ে যায় উত্তরপ্রদেশের এক অফিসারের গাড়িটিও। অনেক কাকুতি-মিনতিতেও কাজ হয়নি। দেরীতে হলেও কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সেরকম অভিযান শুরু করতে পারল। নিরাপদ যাত্রা আর পথ দুর্ঘটনা এড়াতে, যাত্রীদের সুরক্ষিত রাখতে এই প্রয়াস খুব ভাল হবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
এখানে পুলিশের কাজে অনেক সমস্যা আছে তা মানছে সাধারণ মানুষ। তাদের অনেকেই মনে করেন এখানকার পুলিশকে সবচেয়ে যে বড় বাধা টপকাতে হয় তা হল রাজনৈতিক বাধা। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সদর্থক ভূমিকার জন্য পুলিশের কাজে এখন গতি এসেছে। যেসব দিকগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা হল-বিভিন্ন মোটর পার্টস, বিশেষ করে টায়ার আর ব্রেকের আয়ুর সময়সীমা। এই গাড়িগুলি যখন-তখন রাস্তার যেখানেসেখানে খারাপ হয়ে রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে পড়ে। ফলে অকারণে জ্যাম হয়। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ তাই বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু করেছে এধরনের গাড়ি ধরপাকড়। তারা খতিয়ে দেখছে গাড়ির বাইরের কাঠামো, টায়ারের অবস্থা, যাত্রীদের বসার জায়গা, হ্যান্ডেল, রিয়ার ভিয় মিরর এবং ব্রেক-ব্যবস্থা।
এদিন তারা মোট এরকম পাঁচটি বাসকে আটক করেছে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সাধারণ মানুষের জীবনকে সুরক্ষিত রাখতে এমন সদর্থক ভূমিকা পালন করায় খুশি সকলে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে মানুষের জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে এমন অনুপযুক্ত গাড়ি যাতে আর রাস্তায় নামতে না পারে তারা যাতে ছাড়প্ত্র না পায় সেগুলি তারা দেখবেন।
Published on: আগ ১০, ২০১৮ @ ১৭:০১