পর্যটকরা বুঝতেই পারলেন না বিপদের আঁচ- সশস্ত্র ডাকাত দলটি যে ততক্ষণে শ্রীঘরে

রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: সেপ্টে ১৩, ২০১৮ @ ১৯:২৩

এসপিটি নিউজ,বারুইপুর, ১৩ সেপ্টেম্বরঃ  তাদের বেড়ানোর মুহূর্তটি দুঃসহ হয়ে উঠতে পারত। হতে পারত তার চেয়েও খারাপ কিছু। কিন্তু, না-তেমন কিছুই ঘটল না শুধু মাত্র কয়েকজনের জন্য। যারা দিন-রাত এক করে শুধু মানুষের নিরাপত্তার জন্য প্রাণের মায়া ত্যাগ করে ছুটে চলেছে বিপদের পিছনে। বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের এই দলটির একের পর এক সাফল্য সাধারণ মানুষকে তাদের প্রতি বিশ্বাস আর ভরসা বাড়িয়ে দিয়েছে। আজ তাদের জন্য বড়সড় এক ডাকাত দল প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র সমেত ধরা পড়েছে কুলতলিতে।সঙ্গে ছিল কুলতলি থার পুলিশও।

কিভাবে সম্ভব হল এই কাজ

তিন দিন আগেই বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের ওসি লক্ষিকান্ত বিশ্বাসের কাছে একটা খবর আসে। কুলতলির গোপাল গঞ্জের নিমাই হালদারের বাড়িতে এক ডাকাত দল আশ্রয় নিয়েছে।  ধোসা-শ্যামনগরের রবীন্দ্রনাথ সাপুইয়ের মাধ্যমে ডাকাত দলটি জড়ো হয় সেখানে। প্রথমে এদের পরিকল্পনা ছিল ঝড়খালির পর্যটকদের লঞ্চে ডাকাতি করবে। কিন্তু বুধবার রাতে বোট খারাপ হয়ে যাওয়ায় পরিকল্পনা বদলে ফেলতে বাধ্য হয় তারা। তখন তারা ঠিক করে কৈখালীর পর্যটকদের গেস্ট হাউসে হানা দিয়ে বড় ধরনের ডাকাতি চালাবে। এই খবর পেয়েই পুলিশের দলটি তৈরি হয়ে যায়। পুলিশ সুপারের নির্দেশের অপেক্ষায় থাকে। এরই মধ্যে রাতে বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার অরিজিত সিনহার নির্দেশ আসতেই তারা বেরিয়ে পড়ে।

যেভাবে ধরল ডাকাত দলটিকে

স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও কুলতলি থানার পুলিশ যৌথভাবে কুলতলিতে পর্যটকদের গেস্ট হাউসের কাছে পৌঁছে ঘাটি গাড়ে। সাদা পোশাকে ছড়িয়ে পড়েন তারা। পর্যটকরা কিছুই জানতে পারেননি। বাইরে কি চলছে। শ্মশানঘাট থেকে ডাকাত দলটি রওনা দিতে যাবে ঠিক সেই মুহূর্তে পুলিশের টিম হাতেনাতে ধরে ফেলে। ধরা পড়ে যায় ৬জনের ডাকাত দলটি। একজন নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায়। নিমাই হালদারের খোঁজে ইতিমধ্যে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। দৃতদের ছয়দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।জোর বাঁচা বেঁচে গেছেন পর্যটকরা। না হলে কুলতলীতে এদিন বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারত। হল না শুধুমাত্র পুলিশের এমন কাজের জন্য।

ধৃতদের নাম ও বাজেয়াপ্ত অস্ত্র

ধৃতদের নাম- বিপ্লব মণ্ডল, পাপান মণ্ডল , রাহুল চৌকিদার , রবীন্দ্র নাথ সাপুই , সুজন দাস , সৌরভ হালদার। এদের প্রত্যেকের বয়স ২৩ বছরের মধ্যে। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪ লং পাইপগান, একটি এক নলা পাইপ গান, ৯ রাউন্ড কার্তুজ, ৭টি বোমা। এদের বাড়ি সোনারপুর, বারুইপুর ও জয়নগর থানা এলাকায়।

Published on: সেপ্টে ১৩, ২০১৮ @ ১৯:২৩

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

93 − 91 =