Published on: আগ ২৮, ২০১৮ @ ১৯:৩৭
এসপিটি নিউজ কলকাতা, ২৮ আগস্টঃ ছাত্রসভায় দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্র রাজনীতির পাঠ পড়ালেন। দিলেন তাঁর বার্তাও। জানিয়ে দিলেন ছাত্র রাজনীতি নিয়ে তাঁর মতামত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন-“আমি চাই আমার নিরলস কর্মী। নিঃস্বার্থ কর্মী। ডেডিকেটেড কর্মী।যে কর্মী ভয় পাবে না। যে কর্মী পিছিয়ে যাবে না। যে কর্মী টাকার কাছে আত্মসমর্পন করবে না। যে কর্মী শারীরিক বল দ্বারা ক্ষমতা প্রয়োগ করবে না। যে দাঙ্গা কুৎসাকে সমর্থন করবে না। চরিত্র হনন করবে না। আমি চাই সেই ধরনের কর্মী।”
মমতা বলেন- “আজকে যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উন্নততর চরিত্র গঠন করা। আজকে ডেডিকেশনের খুব অভাব। আমাদের জেনারেশনে যারা ছিল তার আগের জেনারেশনকে আমি চিনতাম। তারা অনেকেই আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছেন বয়সের ভারে। আমাদের আগের জেনারেশনে যারা ছিল তাদের মধ্যে ডেডিকেশন অনেক ছিল। আমি এখনকার জেনেরেশনকেও অনুরোধ করব, তোমরা লক্ষ্যস্থির করো। ডেডিকেটেড হও।”
এরপর তাঁর জিজ্ঞাসা-“আমাকে বলো তো নেতাজি সুভাষ চন্দ্র কি টাকা দেখে রাজনীতি করতেন। স্বামী বিবেকানন্দ, নজরুল ইসলাম। ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী। মাতঙ্গিনী হাজরা, বাসন্তীদেবী, প্রীতিলতা ওয়াদকার। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস ভালো পরিবার থেকে এসেছিলেন কোনও অসুবিধা নেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও জমিদার পরিবার। স্বামী বিবেকানন্দ, সাধারণ পরিবার, রামকৃষ্ণ সাধারণ পরিবার। মনে রাখবে, একটা কথা-টাকার বিকল্প আছে। জীবনের বিকল্প নেই। টাকার বিকল্প আছে ডেডিকেশনের বিকল্প নেই। টাকা আজ আছে কাল নেই। টাকা মাটি মাটি টাকা।যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই খরচ করা উচিত। টাকা দিয়ে চরিত্র নষ্ট করতে নেই।যতটুকু প্রয়োজন নিশ্চয় আছে কিন্তু বেশি লোভ করা উচিত নয়। লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। এই জীবনটা অনেক দিন পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে।”
“কাজেই এই যে পতাকাটা হাতে নিয়ে আছো মনে রাখবে-এর দায়িত্ব অনেক বেশি। এর দায়বদ্ধতা অনেক বেশি। এর গুরুত্ব অনেক বেশি। আর এই পতাকাটা যখন তোমার হাতে থাকবে তখন তুমি গর্ব করে বলবে-চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির।”
Published on: আগ ২৮, ২০১৮ @ ১৯:৩৭