Published on: ডিসে ২৭, ২০১৭ @ ১৩:১৫
এসপিটি স্পোর্টস ডেস্কঃ বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনও ১৮ মাস বাকি। কিন্তু তার উত্তাপ কিন্তু ইতিমধ্যেই ছড়াতে শুরু করেছে, আর তা শুধুমাত্র একজনকে নিয়েই-মহেন্দ্র সিং ধোনি (এমএসডি)। ভারতে ধোনির সমর্থক যেমন আছে ঠিক তেমনই তার কট্টর সমালোচকও আছে, যারা ধোনির একটু খুঁত দেখলেই গেল গেল রব তুলতে দ্বিধা করছে না। যদিও এদের অধিকাংশই ফড়ে অর্থাৎ যারা ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকলেও নিজেরা তাদের কেরিয়ারে ধোনির সামান্যতম নজিরেরও কৃতিত্ব দেখাতে পারেনি। আর তদের নিয়েই বেঁধেছে গোল। তাদের অনেকেই বলতে শুরু করেন না, আগামী বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের জন্য নতুন উইকেটকিপার খুঁজতে হবে। এসব প্রশ্ন অবশ্য আগেই উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় টিম মানেজমেন্ট।এবার তাতে শিলমোহর লাগালেন ভারতের নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান এমএসকে প্রসাদ। তিনি ইএসপিএনক্রিকইনফো-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে ধোনি বিশ্বের এক নম্বর উইকেটকিপার। বিস্বকাপে ভারতীয় দল নির্বাচনের সময় তিনি থাকবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়, তবে তিনি যে ভারতীয় দলের উইকেটকিপার হিসেবে ধোনিকেই তারঁ সেরা পছন্দ বেছেছেন তাতে কিন্তু সমালোচকরা বড় ধরনের ধাক্কা খেল।
দুদিন আগেই রবি শাস্ত্রি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ৩৬ বয়সী ধোনি ২৬ বছরের ক্রিকেটারকে ফিটনেসের দিক থেকে পিছনে ফেলে দেবে। তারপর রোহিত শর্মাও ধোনির পক্ষে গলা চড়িয়েছেন।সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে উইকেটকিপার নিয়ে পারদ যেভাবে চড়ছে তাতে তাতে ধোনির খেলার সম্ভবনা ক্রমেই উজ্জ্বল হয়ে উঠছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রসাদ, সরনদীপ সিং এবং দেবাং গান্ধীকে নিয়ে গঠিত নির্বাচক কমিটিকে বিসিসিআইয়ের পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভা না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী সম্প্রসারণ দেওয়া হয়েছে। একজন নির্বাচকের বার্ষিক চুক্তি অনুযায়ী তার সর্বোচ্চ মেয়াদ চার বছরের জন্য হতে পারে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে সন্দীপ পাটিলের কমিটির প্রথম সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রসাদ, যিনি পরবর্তীতে চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। সেই হিসেবে তিনি ২০১৯ সাল পর্যন্ত তার চুক্তির মেয়াদ সম্প্রসারন করতে পারবেন।
এদিকে, ধোনি এখন আর অনায়াসে নির্বাচিত হন না বলে ঘোষণা করার চার মাস পর প্রসাদ তাঁর সাম্প্রতিক মন্তব্যটি করেছেন। তবে, তবে, ধোনির নিকটতম স্বচ্ছতার প্রশংসাও করেন তিনি। একটি উপযুক্ত উইকেট-রক্ষকের বিকল্প খুঁজে বার করতে ভারতের সাফল্যের অভাবের দিকটিও স্বীকার করেছেন প্রসাদ।
প্রসাদের হৃদয়ে পরিবর্তনও স্টুডিওর পিছনে ধোনির নজরদারী পারফরমেন্স দ্বারা পরিচালিত হয়েছে,যে ব্যাটসম্যানরা প্রায়ই অনুভব করেন যে ব্যাট হাতে তিনি কি করেন, তা প্রসাদের প্রায়ই অনুভূত হয়।ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ছয় ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা করার পর তিনি বলেন, “আমি মনে করি বিশ্বব্যাপী ধোনি এখনও বিশ্বের সেরা এক নম্বর উইকেট শিকারী।””এবং, দিনের পর দিনের দিন আমরা দেখছি, এমনকি সদ্য শেষ হওয়া টি -২0 সিরিজে (শ্রীলংকার বিপক্ষে) যে স্ট্যাম্পিং তিন করেছেন, উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে যে ক্যাচ তিনি নিয়েছেন তা অসাধারণ, তার কোনও তুলনা নেই। আমি কোনও উইকেটকিপার দেখতে পাচ্ছি না, যিনি এমনকি বিশ্ব ক্রিকেটেও তার কাছে আসতে, ভারতীয় ক্রিকেট ভুলে যান।”
এটা এমন নয় যে নির্বাচকরা অন্য কোন বিকল্পের দিকে তাকিয়ে থাকেন না, তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তারা খুব কমই রান করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সীমিত ওভারের সফরের জন্য ঋষভ পন্থকে সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল।দুর্ভাগ্যবশতঃ পন্থকে ব্যাট দিয়ে ভুগতে হয়েছে।তিনি রণজি ট্রফিতে মাঝামাঝি রান করেছেন এবং একই সাথে সাত ইনিংসে ২৬২ রান করেছেন, যার মধ্যে একটি একক পঞ্চাশও রয়েছে।এদিকে,অন্য সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী দীনেশ কার্তিককে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের জন্য মনোনীত করা হয়েছে, তবে তাকে কেবলমাত্র মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবেই দেখানো হয়েছে।
যদিও প্রসাদ কোনও ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেননি, তবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে প্রতিভাবান উইকেটকিপারদের কেউ বড় ম্যাচ খেলার জন্য প্রয়োজনীয় মান পূরণ করেনি। তবে তিনি বলেন, নির্বাচক কমিটি ভারতে বিভিন্ন বিকল্পের চেষ্টা চালিয়ে যাবে যাতে তারা উপযুক্ত প্রতিভা চিহ্নিত করতে পারে। তিনি বলেন, “আমরা ভারত এ সফরে বেশ কিছু উইকেট-রক্ষককে প্রস্তুত করছি। আমরা কমপক্ষে বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমাদের মনকে সেদিকেই নিবদ্ধ করতে চাই এবং পরবর্তী পর্যায়ে আমরা ভারত এ সফরে কিছু উইকেট শিকারীদের প্রস্তুতির কাজ শুরু করব।” “আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে এখনও সেইসব ছেলেদের দেখছি, যাদের কাছ থেকে আমরা যেটা আশা করছি তারা তা নয়। আমরা ভারত এ ট্যুরগুলিতে তাদের সুযোগ দিচ্ছি এবং দেখতে পাচ্ছি যে তারা ঠিকমতো তৈরি হয়েছে কিনা।”সূত্রঃ ইওএসপিএনক্রিকইনফো
Published on: ডিসে ২৭, ২০১৭ @ ১৩:১৫
Picture: BCCI