দুর্নীতির মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের জেল

বাংলাদেশ বিদেশ
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ৮, ২০১৮ @ ২০:৫৫

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের নামে পাঠানো ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সেন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।এছাড়াও এই মামলায় অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এই পাঁচ জন হলেন-খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভায়েস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার প্রাক্তন সাংসদ কাজী সালিমূল হক কামাল, প্রাক্তন মুখ্য সচিব ড.কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে বৃহস্পতিবার এই খবর সংবাদের শিরোনাম হয়েছে। বিডিনিউজ টোয়েন্টি ফোর ডট কম-এ প্রকাশিত খবেরর সূত্র ধরে জানা গেছে, বকশিবাজারে ভিড়েঠাসা আদালতে খালেদার উপস্থিতিতে ঢাকার পঞ্চম জজ আখতারুজ্জামান এই রায় শোনান। সংবাদ মাধ্যমটি আরও লিখেছে, ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের স্ত্রী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ৭২ বছর বয়সি খালেদা জিয়াকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে, অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তার ‘বয়স ও সামাজিক মর্যাদা’ বিবেচনা করে এই মামলার অন্য আসামিদের তুলনায় খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ কম করা হয়েছে বলে আদালত জানিয়েছে।

এদিন খালেদা জিয়া আদালতে পৌঁছনোর পরই বিচারক রায় পড়া শুরু করেন।রায় ৬৩২ পৃষ্ঠার হলেও এর সংক্ষিপ্তসার ও সাজা ঘোষণার জন্য তিনি সময় নেন মাত্র ১৫ মিনিট।

এই মামমায় অন্যতম আসামি তারেক রহমান মুদ্রা পাচারের এক মামলায় সাত বছরের সাজা মাথায় নিয়ে গত ১০ বছর ধরে পালিয়ে আছেন দেশের বাইরে। পলাতক আছেন আরও দু’জন কামাল সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানও।

সংবাদ মাধ্যমটি আরও লিখেছে, খালেদা জিয়া হলেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সরকারপ্রধান যাকে দুর্নীতির দায়ে জেলে যেতে হল। এর আগে প্রাক্তন স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদকেও জেলে যেতে হয়।

বাংলাদেশের আর একটি সংবাদপত্র দৈনিক ইত্তেফাক লিখছে-‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হলেও এই প্রথম তার বিরুদ্ধে কোনও রায় ঘোষণা হল। অরফানেজ মামলা ছাড়াও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও চারটি দুর্নীতির মামলা বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন আছে।এরমধ্যে আছে-জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা, আছে গ্যাটকো, নাইকো ও বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতির মামলা। অর্থ পাচারের একটি মামলায় অবশ্য আগেই তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছিল।

আর একটি সংবাদপত্র কালেরকণ্ঠ লিখছে-এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গ্রেফতারের পর তাকে সেনানিবাসের শহীদ মইনুল সড়কের বাড়িতে গৃহবন্দি করে রেখেছিল। এমনকী জরুরী অবস্থার সময় ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ফের গ্রেফতার করা হয়েছিল খালেদাকে। সংসদ ভবনের একটি বাড়িতে তাঁকে ১ বছর ৭ দিন বন্দি করে রাখা হয়েছিল। পাশের বাড়িতে বন্দি ছিলেন আওয়ামী লিগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে।

বাংলাদেশের আর এক জনপ্রিয় সংবাদপত্র প্রথম আলো লিখেছে-‘ বিএনপি চেয়ারপার্সেন খালেদা জিয়াকে ঢাকার নিজাম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে শিশুদের জন্য ব্যবহৃত কিডস ডে কেয়ার সেন্টারের তিনতলা ভবনের নিচেরতলার দুটি তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।এই সংবাদপত্রটি আরও লিখছে- আদালতের এই রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়েছেন একাধিক সংসদ সদস্য।একজন সাংসদ সদ্স্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন,’ এর মাধ্যমে প্রমাণিত হল যে দেশের প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি করলে বাঁচতে পারবেন না। এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, জিয়া পরিবারের এখানেই ইতি টানা হল। জিয়া পরিবার আর কোনওদিন দাঁড়াতে পারবে না, নির্বাচন করতে পারবে না।’

Published on: ফেব্রু ৮, ২০১৮ @ ২০:৫৫


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

76 + = 82