সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-রামপ্রসাদ সাউ
Published on: মে ৮, ২০১৮ @ ২১:৩৭
এসপিটি নিউজ, দাঁতন, ৮ মেঃ পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বেরিয়ে মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতনের জনসভায় দাঁড়িয়ে কড়া ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করে গেলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও তিনি বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন তো কখনও কড়া ভাষায় বিজেপিকে দুষেছেন। বিজেপি নেতাদের পঞ্চায়েত দখল থেকে শুরু করে বাংলা দখলের যে আওয়াজ তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অভিষেক। বিজেপির উদ্দেশ্যে তাঁর কটাক্ষ-আগে তো দিল্লি সামলা পরে ভাববি বাংলা।
বিজেপিকে কটাক্ষ করতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা তো বিরোধীদের প্রার্থী দিতে পারি না। ওদের লোক নেই। ভাড়া করা লোক দিয়ে ঝান্ডা বাঁধতে হচ্ছে। অথচ ওরা আদালতে গিয়ে মায়াকান্না কেঁদে বলছে তৃণমূল আমাদের প্রার্থী দিতে দেয়নি। বিজেপি সিপিএমের সাথে আপস করে বাংলা জুড়ে সন্ত্রাস শুরু করেছে। বিজেপি এমন ভাব দেখাচ্ছে যে তারা যেন বাংলায় ক্ষমতায় চলে এসেছে। বিজেপি দলে আবর্জনাগুলো ঢুকে পড়েছে। তাই ওদের রাহু-কেতুর দশা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। যারা হাওয়াই চপ্পল আর মুখে গামছা বেঁধে সন্ত্রাস করত তারাই এখন মাথায় ফেট্টি বেঁধে জয় শ্রীরাম বলে রাস্তায় নেমে পড়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম ২০১১ সালের ১২ জুলাই নয়াগ্রামে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ শুরু করেছিলেন। যা আজও অব্যাহত আছে। তা সত্ত্বেও বিরোধীরা উন্নয়ন দেখতে পায় না। রাজ্যের মা-মাটি-মানুষের সরকার কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, শিক্ষাশ্রী, রূপশ্রী সহ ৪৭টি প্রকল্প চালু করে সারা দেশে নজির বিহীন ঘটনা ঘটিয়েছে। আর কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ছুরি, কাঁচি আর অস্ত্রশ্রী প্রকল্প চালু করেছে বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বলেন, বাড়িতে টাকা রাখলে কালো, ব্যাঙ্কে রাখলে গেল, থাকতে হলে আঁধার নিতে হবে, পালাতে গেলে ধার নিতে হবে।সুদীপ্ত সেনকে সারদা কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার করেছেন। সুদীপ্তর সঙ্গে মঞ্চে থাকার জন্য মদন মিত্রর মতো নেতাকে জেল খাটতে হয়েছে। কেন প্রধানমন্ত্রী বিজয় মালিয়া, নীরব মোদীকে গ্রেফতার করতে পারেনি? কেন নীরবের সঙ্গে থাকা বিজেপি নেতা ও কর্মীরা গ্রেফতার হয়নি?প্রশ্ন তোলেন অভিষেক।
Published on: মে ৮, ২০১৮ @ ২১:৩৭