
এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ আইভরি-সাদা মার্বেল দিয়ে নির্মিত স্মৃতিসৌধ আগ্রার তাজমহল। যা দেখতে বিশ্বের সব প্রান্ত থেকেই আসে বহু মানুষ।তাজমহলকে ঘিরে আগ্রহ সকলের।সেই তাজমহলকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বিশ্বের দ্বিতীয় সেরার মর্যাদা দিল। যা ভারতের সম্মানে এক নতুন পালক জুড়ল।
প্রতিবছর প্রায় ৮ মিলিয়ন দর্শনার্থী আসে তাজমহলে। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মমতাজ মহলের স্মরণে এই স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করেছিলেন।তবে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এক নম্বর স্থানে বসিয়েছে কম্বোডিয়ার অ্যাঙ্কোরাভাটকে। অনলাইন পর্যটন পোর্টাল দ্বারা পরিচালিত ট্রিপ এ্যাডভাইজার, সারা বিশ্বজুড়ে ভ্রমণকারীদের ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের স্থানগুলিকে সেরার তালিকাভুক্ত করেছে।পর্যটন পোর্টাল বলেছে, “আপনি আগ্রার একটি স্থানীয় বাড়িতে রান্না করা খাবার সহ সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দেখতে পারেন।যা থেকে আপনি শত শত ভ্রমণ ও অভিজ্ঞতা খুঁজে পেতে পারেন।”
তবে অ্যাঙ্কোরাভাট নিয়ে ভ্রমনার্থীদের কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ, এর ভিতর তার শিল্প-শৈলীতে বহু আকর্ষনীয় ঐতিহাসিক তথ্য আছে। যা নিজেদের জানা সম্ভব নয়। এজন্য সেখানে ঘুরে দেখতে গেলে বুদ্ধিমান গাইড সঙ্গে থাকা একান্ত জরুরী। যারা এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য আপনাকে জানাতে পারবে। ”এখানে সবচেয়ে ভাল দৃশ্যগুলি দেখা যায় ভোর বা সন্ধ্যায়, যখন জায়গাটই জনশূন্য হয়ে যায়। আর আলো তখন তার সত্যিকারের মহিমা প্রকাশ করে,” ট্রিপ উপদেষ্টা এমনটাই জানিয়েছেন।জরিপের অন্যান্য জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলি হল ১৩৬৮ খ্রিস্টাব্দে উত্তর কুই রাজবংশের জু ডা দ্বারা নির্মিত চিনের গ্রেট ওয়াল।দক্ষিণ আমেরিকার পেরুতে মাছু পিছু চতুর্থ স্থানে রয়েছে।ব্রাজিলের ইগাজু ন্যাশনাল পার্ক, ইতালির সসসি অব মতেরা, পোল্যান্ডের ঐতিহাসিক ক্রাকো ও আউশভিত্জ বেরেকেনো এবং ইজরায়েলের প্রাচীন শহর জেরুজালেম এবং তুর্কির ঐতিহাসিক এলাকা ইস্তানবুলও তালিকাতে স্থান পেয়েছে।