ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জেরে প্লাবিত সাগরে কপিল মুনির আশ্রম, সেবাইত সঞ্জয় দাস দিলেন বার্তা

Main আবহাওয়া দেশ প্রতিরক্ষা রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: মে ২৬, ২০২১ @ ০৯:৫৩

Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৬ মেঃ আর মাত্র কিছু সময়। তারপরেই ওড়িশার ধামরা বন্দরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ল্যান্ডফল করবে অর্থাৎ প্রথম আছড়ে পড়তে চলেছে সেখানেই। দীঘা থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ইয়াস।কিন্তু তার আগেই যেভাবে তান্ডব শুরু হয়েছে তার জন্য সকলেই সতর্ক। জারি করা হয়েছে রেড ও অরেঞ্জ ওয়ার্নিং। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় সাগরে কপিল মুনির আশ্রমে সাগরের জল ঢুকে পড়েছে। কপিল মুনি আশ্রমের সেবাইত সঞ্জত দাসজি সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এর মাধ্যমে সকলের উদ্দেশ্যে দিলেন এই বার্তা।একই সঙ্গে তিনি কিছু ভিডিও ফুটেজও পাঠিয়েছেন। আমরা তা সকলের সংগে মাদের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করে নিলাম।

কপিল মুনি আশ্রমের সেবাইত সঞ্জয় দাসজির বার্তা

কপিল মুনি আশ্রমের সেবাইত সঞ্জয় দাসজি জানান- এই যে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস তা অত্যন্ত ভয়াবহ। ভগবান কপিল মুনির চরনে আমার প্রার্থনা যত শীঘ্র হোক আপনি সমুদ্র দেবতাকে শান্ত করুন। ঠিক একই ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আমরা মনে করছি কোনও জীবের ক্ষতি না হয়। সকলেই সুর্ক্ষিত থাকে। কারও যেন হানি বা ক্ষতি না হয়।

আজ সকালেই প্লাবিত কপিল মুনির আশ্রম

ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে কপিল মুনি আশ্র৪ম ও মন্দিরের সামনের জায়গায় সমুদের জল ঢুকে পড়েছে। চারিদিকেই জল্মগ্ন। সকলেই ব্যস্ত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। সঞ্জয় দাসজি জানিয়েছেন- আশ্রমের প্রত্যেকেই নিজেদের মতো করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

নবান্নে কন্ট্রোল রুমে বসে পরিস্থিতি নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী

নবান্নে বসে মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন-” আমাদের চার হাজার ফ্লাড সেন্টারে বহু মানুষকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এবার ব্লক লেবেল পর্যন্ত ওয়ার রুম তৈরি হয়েছে। এক একজন আইএএস সিনিয়র অফিসারদের এক একটি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা ৭৪ হাজার সরকারি অফিসার ও কর্মচারী ২ লক্ষ পুলিশ, হোমগার্ড, সিভিক পুলিশ কাজে লাগিয়েছি।ইতিমধ্যে ১১ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”

প্রস্তু ভারতীয় সেনাবাহিনী

ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে- ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কম্যান্ড ১৭টি  ইন্টিগ্রেটেড সাইক্লোন রেসকিউ এবং রিলিফ কলাম মোতায়েন করেছে, এতে বিশেষায়িত কর্মী সমন্বিত সরঞ্জাম এবং স্ফীত নৌকো সমন্বিত রয়েছে।

পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, ২৪ পরগনা উত্তর ও দক্ষিণে এই কলাম স্থাপন করা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞপ্তিতে পশ্চিমবঙ্গে প্রয়োজনীয় পুনর্বাসনের জন্য কলকাতায় নয়টি সাইক্লোন রিলিফ কলামও স্ট্যান্ডবাইতে রাখা হয়েছে। জানিয়েছে সূত্রটি।

একই সঙ্গে বলা হয়েছে- এই টিমগুলি আটকা পড়ে / আহত ব্যক্তিদের দুর্ঘটনা থেকে সরিয়ে নেওয়া, চিকিত্সা, রাস্তা পরিষ্কার / গাছ কাটা, ত্রাণ সামগ্রীর বিতরণ এবং সম্পর্কিত কাজগুলি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চলাচ্ছে।

Published on: মে ২৬, ২০২১ @ ০৯:৫৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

38 + = 41