কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার শুভারম্ভ হল আজ, বিদেশমন্ত্রী বললেন বাড়ছে উৎসাহ

দেশ ধর্ম ভ্রমণ
শেয়ার করুন

  • ৩ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়লেও কৈলাস মানস যাত্রার যাওয়ার সুযোগ মিলেছে মাত্র ১৫৮০জনের।

  • এবার পায়ে হাঁটা পথের দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার কমে গিয়েছে।

  • দিল্লি, উত্তরাখণ্ড এবং সিকিম হয়ে তীর্থযাত্রী রওনা দিচ্ছেন।

Published on: জুন ১১, ২০১৯ @ ১৫:০০

এসপিটি নিউজ, নয়া দিল্লি, ১১জুন: কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার এ বছরের শুভারম্ভ হয়ে গেল আজ মঙ্গলবার। বিদেশমন্ত্রী ডা. সুব্রাহ্মণ্যম জয়শঙ্কর দিল্লিতে জহরলাল নেহেরু ভবনে উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস হয়ে রওনা হয়ে যাওয়া প্রথম দলটিকে শুভাকামনা জানিয়ে বিদায় দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে এই যাত্রার আয়োজনে চিন সরকারের অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানাই, যা পারস্পরিক সম্পর্কে মজবুত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।আপনাদের জানিয়ে রাখি যে উত্তরাখণ্ডের ব্যাস ঘাঁটি থেকে শুরু হওয়া ঐতিহাসিক কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা ১২ই জুন থেকে শুরু হচ্ছে এজন্য প্রশাসন সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েছে।

রোমাঞ্চকারী ও আধ্যাত্মিক অনুভব

বিদেশমন্ত্রী এই উপলক্ষে তীর্থযাত্রীদের সম্বোধন করে তাদের যাত্রা পূর্ণ সুরক্ষিত ও অদ্বিতীয় আধ্যাত্মিক অনুভবে ভরপুর হয়ে উঠুক এমন কামনা করেছেন। তিনি যাত্রীদের কাছে আবেদন রেখে বলেন তারা যেন দলের সঙ্গে যাওয়া আধিকারিকদের সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়ে সুসম্পর্ক বজায় রাখেন। তিনি এও বলেন যে যাত্রার পথ যতটা না কঠিন, ঠিক ততটাই মনোরম।যাত্রীদের নিশ্চিত রূপে তাদের কল্পনার চেয়েও বেশি রোমাঞ্চকারী এবং আধ্যাত্মিক অনুভব প্রাপ্তি হবে।

কৈলাস মানস যাত্রায় বাড়ছে উৎসাহ

ডা. জয়শঙ্কর যাত্রার সুব্যবস্থা করার জন্য উত্তরাখণ্ড, দিল্লি ও সিকিমের রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে চিনের গণরাজ্যের সরকারকেও এই ব্যবস্থা করার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন।তিনি বলেন, এই বছর কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার জন্য ৩ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছিল যার মধ্যে ১৫৮০জনের যাওয়ার সুযোগ মিলেছে। তিনি এই যাত্রার বিষয়ে বলতে গিয়ে জানান যে মানুষের এ ধরনের যাত্রার উপর রুচি ক্রমে বেড়ে চলেছে।

কোন পথে কতজন যাত্রী

ভারতীয় বিদেশ দফতরের আধিকারিক এবং দেশের বিদেশ সচিবের দায়িত্ব পালন করা ডা. এস জয়শঙ্কর এদিন বক্তৃতা শুরু করেন হিন্দিতে। পরে জলপানের পর তিনি যাত্রীদের মধ্যে গিয়ে সাধারণ রূপেই তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে থাকেন যা দেখে সকল যাত্রী খুব খুশি হয়েছেন।

লিপুলেখ পাস হয়ে মোট ৬০জন যাত্রীদের ১৮টি দল যাবেন যেখানে সিকিমের নাথুলা পাস হয়ে যাবেন ৫০জন যাত্রীদের ১০টি দল। মঙ্গলবার রওনা হওয়া ৫৭ জন যাত্রী আছেন। তাদের সঙ্গে আছেন দু’জন আধিকারিক।

আনন্দে ভাসছে ব্যাস ঘাঁটি

কুমায়ুন মন্ডল বিকাশ নিগম বা কেএমভিএন-এর যাত্রা প্রবন্ধক জিএম মনরাল জানিয়েছেন নিগমের পক্ষ থেকে কৈলাস যাত্রার সব রকমের তৈরি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। এ বারের যাত্রার বিশেষ দিক হল এবার পায়ে হাঁটা পথের দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার কমে গিয়েছে। এর সঙ্গে যাত্রা হেলিকপ্টার ছাড়াও হাঁটা পথেও কবেন তীর্থযাত্রীরা। উত্তরাখণ্ডে কৈলাস যাত্রা নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ তুঙ্গে। পায়ে হেঁটে যাওয়া যাত্রীদের নিয়ে ব্যাস ঘাঁটির ছোট ব্যবসায়ীরা খুবই আশাবাদী।এই পায়ে হেঁটে যাওয়ার যাত্রা আবার ফিরে আসায় ব্যাস ঘাঁটিতে ফের আনন্দের পরিবেশ ফিরে এসেছে।

Published on: জুন ১১, ২০১৯ @ ১৫:০০


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + 3 =