
সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-বাপন ঘোষ
Published on: আগ ২০, ২০১৮ @ ২৩:০৮
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ২০ আগস্টঃ এখনও বহু মানুষ বন্দি কেরলের ভয়াবহ বন্যায়।নেমেছে সেনা। প্রতিনিয়ত হেলিকপ্টার থেকে ত্রাণ ফেলা হচ্ছে। চলছে উদ্ধারের কাজও। কিন্তু তাতেও সমস্যা মিটছে না। অনেকে এখনও তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ। কিভাবে তারা উদ্ধার হবে তাও তাদের জানা নেই। এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে আটকে আছেন বহু মানুষ। পশ্চিমবঙ্গ থেকে সেখানে কাজে গিয়েছেন এমন অনেক বাঙালি কিন্তু এই ভয়াবহ বন্যার শিকার হয়েছেন। অনেকেই বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। সেরকমই একজন সবং-এর বাসিন্দা গৌতম মাজি। যিনি সোনার কাজে গিয়েছেন। কিন্তু তাঁর মা ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হতেই উদ্বগে পড়েন। ছেলের চিন্তায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
গৌতমের দাদা বিশ্বজিৎ মাজি বলেন, ভাই গৌতম সোনার কজা করতে কেরলের কোচিতে যান। একাধিকবার ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এরপর থেকে মায়ের চিন্তা বাড়তে থাকে। সোমবার মা মারা যান। একইভাবে চন্দ্রকোনা রোডের বাসিন্দা সুজিত দাসও গত দু’বছর ধরে কোচিতে আছেন। টাওয়ারের কাজ করেন। কেরলের বন্যায় সেও আটকে আছেন। তাঁর মা মঞ্জু দাসও কাতরভাবে জানান, ছেলের সঙ্গে শুক্রবার থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
মামার বাড়িতেই মানুষ। নিজের জমি-জায়গা বলতে কিছুই নেই। কোনওরকমে জরির কাজ শিখে বেশি টাকা আয়ের আশায় কেরলে পাড়ি দিয়েছিলেন গোয়ালতোড়ের মহারাজপুরের বাসিন্দা নঈমউদ্দিন মোল্লা। স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে ১২ বছর ধরে সেখানেই আছেন। একটি ফ্যাশন ডিজাইনারের দোকানে কাজ করতেন। তিনদিন আগে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে শেষ কথা হয়।সেইসময় তারা জা্নিয়েছিলেন, ত্রাণ শিবিরে আছেন।যেখানে তীব্র খাদ্য ও জল সঙ্কট। এরপর তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।
এরা সকলেই তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে সাহায্যপ্রার্থী। অসহায় এই মানুষগুলির পরিবারের সদস্যরা এখন তাদের প্রিয়জনের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনছেন।
Published on: আগ ২০, ২০১৮ @ ২৩:০৮