এসপিটি নিজ ডেস্কঃ ভাবুন একবার, টিকিট কেটে ট্রেনে উঠেছেন। আর ট্রেন ছূটছে ভুল পথে। একবার, দু’বার নয় এই নিয়ে তৃতীয়বার ঘটল একই ঘটনা। সাম্প্রতিককালে যা নিয়ে ভারতীয় রেল দফতরের মাথা হেঁট হয়ে গেল। আজকের ঘটনা নিয়েও জেল শুরু করল তদন্ত। গোরখপুর ও বান্দ্রার মধ্যে চলাচলকারী অযোধ্যা এক্সপ্রেস সোমবার সন্ধ্যায় গোণ্ডা স্টেশন ছেড়ে গোরখপুর যাওয়ার পথে ভুল ট্র্যাক ধরে ছূটতে শুরু করে।প্রায় দুই কিলোমিটার যাওয়ার পর, রেলযাত্রীরা ভয় পেয়ে চিৎকার করতে থাকে। তারা একটি জঙ্গল শুরু করেছিল।পরে ট্রেনটি গন্ডা রেলওয়ে স্টেশনে ফিরিয়ে আনা হয়।প্রায় এক ঘণ্টা পরে ট্রেনটিকে সঠিক রু্টে পাঠানো হয়।এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের কাছ থেকে কারণ দর্শানো হয়েছে।
লাইভ হিন্দুস্থান ডট কম পোর্টাল সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, ট্রেন নম্বর ২২৯২১ গোরখপুর ও বান্দ্রা অযোধ্যা এক্সপ্রেস সোমবার বিকেল ৩টায় গোণ্ডা স্টেশনে এসে পৌঁছয়। ট্রেনটি বলরামপুরের রুট ধরে গোরখপুর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভুল সিগন্যাল পেয়ে মনকাপুর-এর পথে ছূটতে শুরু করে। দুই কিলোমিটার দূরে বরুয়াচক রেল স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছতেই যাত্রীদের হুঁশ ফেরে। তারা বুঝতে পারে ভুল রাস্তায় চলে এসেছে।তখনি তারা চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন। মুহূর্তের মধ্যে সেই খবর লক্ষ্ণৌ কন্ট্রোল রুমে জানিয়ে দেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ ট্রেনটিকে গোণ্ডা স্টেশনে ফিরিয়ে আনা হয়। বিকেল চারটে নাগাদ অযোধ্যা এক্সপ্রেসটিকে বলরামপুর স্টেশনের দিকে রোনা রওনা করা হয়।
রেলের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে ট্রেনটিকে রওনা করানোর জন্য স্টেশন থেকে সিগন্যাল দেওয়া হয়।এরপর ট্রেনের লোকো পাইলট সেই সিগন্যাল দেখে ট্রেনটিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।এক্ষেত্রে এদিনের ঘটনা বড় ধরনের অবহেলা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যার জন্য বড় দুর্ঘটনাও হতে পারত।এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, লোকো পাইলট ভুল সিগন্যাল দেখেও কেন তাহলে ট্রেনটিকে নিয়ে যাত্রা করলেন? লাইভ হিন্দুস্থান ডট কমে স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট এ এন মিশ্র বলেন যে এই ঘটনায় যারা দায়ী তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।