করোনার আতঙ্ক থেকে মুক্ত নৈহাটি, ১৫-১৯ বছরের ছেলে-মেয়েদের ভ্যাকসিন শুরু সোমবার থেকে

Main কোভিড-১৯ রাজ্য স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞান
শেয়ার করুন

Published on: ডিসে ৩১, ২০২১ @ ১৭:৫৬

এসপিটি নিউজ, নৈহাটি, ৩১ ডিসেম্বর:   করোনার নতুন উপদ্রব ওমিক্রন-এর থাবা পড়েছে সারা বিশ্বে। পশ্চিমবঙ্গেও লেগেছে তার আঁচ। যদিও তা থেকে এখনও নিরাপদে আছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রাচীন ঐতিহাসিক শহর নৈহাটি। নৈহাটি পুর-প্রশাসক বোর্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সনৎ দে এসপিটি-কে জানিয়েছেন নৈহাটিতে এখন করোনা আক্রন্তের সংখ্যা মাত্র একজন। অর্থাৎ তাঁর কথার রেশ ধরে বলা যেতেই পারে করোনার আতঙ্ক থেকে মুক্ত এখন নৈহাটি। তবে নৈহাটিকে নিরাপদে রাখার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন সনৎবাবু ও স্বাস্থ্য বিভাগের গোটা দল।এরই মধ্যে আগামী সোমবার থেকে শুরু হতে চলেছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ।

এসপিটি-কে আজ নৈহাটি পুর-প্রশাসক বোর্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক সনৎ দে জানালেন যে শহর নৈহাটি করোনার আতঙ্ক থেকে মুক্ত। এখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র একজন। নৈহাটি পু-প্রশাসন সর্বদা নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে নজর রেখে চলেছে। নৈহাটি মোট জনসংখ্যার নিরিখে প্রথম পর্যায়ে নির্ধারিত করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য লক্ষ্যপূরণের মোট সংখ্যার মধ্যে প্রথম ডোজ ৯৯ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ডোজ এখন পর্যন্ত ৭৮ শতাংশ হয়েছে। ১৫ থেকে ১৮ বছরের ছেলে-মেয়েদের টিকা দান শুরু হচ্ছে আগামী সোমবার থেকে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০০৬ সালের আগে যাদের জন্ম একমাত্র তারাই এই টিকা নিতে পারবে বলে সনৎবাবু জানিয়েছেন। আগের মতোই পুরসভা নির্ধারিত স্থানে সোমবার আধার কার্ড নিয়ে পৌঁছে গেলেই ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে।

মাস্ক পরা, শারীরিক কিংবা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে নৈহাটির নাগরিকরা যে সচেতনতা বজায় রেখে চলেছেন তারও ইঙ্গিত মিলেছে। আজ শেষ হতে চলেছে নৈহাটি রেল ময়দানে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা গ্রন্থমেলা। যেখানে শিল্পমেলা, সবলা মেলা, হস্তশিল্পমেলা, পাখি প্রদর্শনী সহ একাধিক বিষয়ের আয়োজন করা হয়। নৈহাটির মানুষ সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সেই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের তত্ত্বাবধানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে নৈহাটির মানুষ অত্যন্ত সচেতনতা দেখিয়েছে, বিশেষ করে নৈহাটি পুর-প্রশাসক বোর্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক সনৎ দে’র তৎপরতা সত্যি চোখে পড়ার মতো। যেভাবে তিনি প্রতিনিয়ত ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজে সুষ্ঠূ ব্যবস্থা বজায় রেখেছেন তার ফল কিন্তু পাচ্ছে গোটা নৈহাটি। কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় যেভাবে প্রতিদিন হু হু করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে সেখানে করোনা আতঙ্ক মুক্ত নৈহাটি কিন্তু হয়ে উঠতে এক মডেল। আর তার সম্পূর্ণ কৃতিত্বই দিতে হয় নৈহাটি পুর-প্রশাসক বোর্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক সনৎ দে’কে।

Published on: ডিসে ৩১, ২০২১ @ ১৭:৫৬


শেয়ার করুন