-
বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে আঁছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝরের নাম আটটি দেশ স্থির করে থাকে।
-
এই আটটি দেশ প্রত্যেকে আটটি করে নাম দেয়। মোট ৬৪টি নাম তালিকায় নির্ধারিত হয়ে আছে।
Published on: মে ৩, ২০১৯ @ ১৭:৫১
এসপিটি নিউজ ডেস্ক: উড়িষ্যা সহ দেশের চার রাজ্যে দ’দিন ধরে ভয়াবহ ঘূর্ণীঝড় ‘ফণী’র তান্ডব চলবে। এর আগে বাংলার খাঁড়িতে ২০১৪ সালে হুদহুদ, ২০১৭ সালে ওকী, ফের তিতলী এবং ২০১৮ সালে গজা তুফান এসেছিল। ফণীর পর পরবর্তী ঘুর্ণীঝড় আঁছড়ে পড়বে তার নাও ইতিমধ্যে ঠিক হয়ে গেছে। জানতে চান সেই ঘূর্ণীঝড়ের নাম কি, কে দিয়েছে তার নাম। এই প্রশ্ন অনেকেই করছেন এমনকী রাস্তাঘাটে বহু মানুষকে বলতে শোনা গেছে- এসব নাম কারা ঠিক করে, কিসের ভিত্তিতে ঠিক হয়, কখন ঠিক হয়। বিশ্বে এখন যত ঘূর্ণীঝড় আসুক না কেন তার একটা নামই দেওয়া হয়ে থাকে। একটি নামেই সেই তুফান পরিচিত হয়ে থাকে।
ঝড়ের এই নাম দেওয়ার রীতি শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালে
1) আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরে আসা এই সামুদ্রিক ঝড়ের নাম রাখার রেওয়াজ ১৫ বছর আগে ২০০৪ সালে শুরু হয়েছিল। এই নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করা হয়। এই তালিকাতে রয়েছে বিশ্বের আটটি দেশ। এই আটটি দেশ ক্রমানুসারে আটটি করে নাম দিয়ে থাকে। যখন যে দেশের নম্বর আসে তখন সেই দেশ তালিকার অনুসারে ঝড়ের নামকরন করে থাকে। এখন যে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ নিয়ে এত আলোচনা চলছে এই নাম কিন্তু দিয়েছে বাংলাদেশ।
৮টি দেশ ৬৪টি নাম দিয়েছে
2) ঝড়ের নাম দিয়ে থাকে। এই তালিকায় আছে বাংলাদেশ, ভারত, মায়নামার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, এবং থাইল্যান্ড। প্রতিটি দেশ আটটি করে নাম দিয়ে থাকে। সেই মতো ঝড়ের ৬৪টি নাম নথিভুক্ত হয়েছে।
সবচেয়ে প্রথম নাম ‘অনিল’
3) ২০০৪ সালে ঝড়ের নাম দেওয়ার রীতি শুরু হয়। সেই মতো প্রথম ইংরাজি বর্ণমালা অনুসারে বাংলাদেশের সুযোগ আসে। তারা প্রথম ঝড়ের নাম দিয়েছিল অনিল। এরপর যে ঝড় আসে তার নামও ক্রমানুসারে দেশগুলি রাখতে থাকে। সেই মতো আটটি দেশ আটটি করে মোট ৬৪টি নাম রাখে। যখন এই ক্রমানুসারের পর্যায় শেষ হয়ে যাবে তখন ফের আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হয়। এতে সাতটি ধাপ সমাপ্ত হয়েছে। এবার আট নম্বর ধাপ শুরু হল। এই ভয়াবহ ঘূর্ণীঝড় ‘ফণী’ হল আট নম্বর ধাপের প্রথম নাম। এর পর ভারতের পক্ষ থেকে নামদ দেওয়ার সুযোগ আসছে। ইতিমধ্যে তারাও পরবর্তী ঝরের নামও স্থির করে ফেলেছে। জানেন, কি সেই নাম? ‘বায়ু’- এই নাম দিয়েছে ভারত। এই তালিকায় একেবারে শেষ নাম হল-‘অম্ফান’। এই নাম দিয়েছে থাইল্যান্ড।
পরিচিতি এবং সতর্কতার সুবিধার জন্যই এই নামকরণ
4) এই প্রশ্নও উঠেছে যে ঝড়ের আবার নাম দেওয়ার কি দরকার? হ্যাঁ, দরকার আছে বৈকি! কিছু কারণ তো আছে। যেমন, এতে সংবাদ মাধ্যমের খবর করতে সুবিধা হয়। নামের ফলে সাধারণ মানুষ বেশি করে সতর্কতা অবলম্বন করতে পারে। এমনকী, মোকাবিলার ব্যবস্থা করতে পারে। সাধারণ মানুষও কিন্তু এই নামকরণে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে দুট শর্ত মানতে হবে। প্রথমত-নাম ছোটো এবং সরল হতে হবে। দ্বিতীয়ত-যখন এর প্রচার করা হবে তখন মানুষ যেন বুঝতে পারে। একই সঙ্গে বলে দেওয়া হয়েছে যে সাংস্কৃতিক রূপে এই শব্দ যেন স্পর্শকাতর না হয় এবং এর অর্থ যেন জটিল না হয়।
Published on: মে ৩, ২০১৯ @ ১৭:৫১