Published on: নভে ২০, ২০২০ @ ০৯:১২
এসপিটি নিউজ ডেস্ক: গতকাল একটি বন্য মহিলা হাতি গ্রামের একটি কুয়োর মধ্যে পড়ে যায়। তামিলনাড়ুর ধর্মপুরী জেলার পঞ্চপ্ললী গ্রামে এই ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দারের মধ্যে হইচই পড়ে যায়। কিভাবে হাতির বাচ্চাটিকে কুয়ো থেকে তুলবে তা ভেবে না পেয়ে তারা বন দফতরকে জানায়।
#WATCH Tamil Nadu: The female elephant calf that fell down a well in Panchapalli Village of Dharmapuri district yesterday, was safely rescued last night after a 16-hour long rescue operation by Fire department officials. https://t.co/Vgs1foKgeR pic.twitter.com/mBWe3XkODP
— ANI (@ANI) November 20, 2020
শুরু হয় উদ্ধারকাজ
বন দফতরের আধিকারিক, কর্মী থেকে শুরু করে সেখানে এসে পৌঁছয় দমকল বিভাগের লোকজনও। তারা দেখতে পায় কুয়োটি বেশ গভীরে। হাতিটি তার মধ্যে পড়ে আটকে আছে। এরপর বন দফতরের কর্তাদের তদারকিতে দমকল বাহিনী তাদের উদ্ধার কাজ শুরু করে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে- দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা ধরে চলে তাদের প্রচেষ্টা। অবশেষে দীর্ঘ সময় বাদে তারা তাদের প্রচেষ্টায় সফল হয়।
বড় ক্রেনের সাহায্যে দমকল বাহিনীর কর্মীরা হাতির বাচ্চাটিকে কুয়ো থেকে তোলে। উদ্ধারের পর তারা বন দফতরের হাতে হাতিটিকে তুলে দেয়।বন বিভাগের আধিকারিকদের মতে, প্রায় 25 বছর বয়সী এই হাতিটি ভোর ৪.৩০ টার দিকে এলিকুন্ডানুরের ভেঙ্কটচালামের মালিকানাধীন একটি খামারে পড়ে যায়।
যেভাবে উদ্ধার করা হাতিটিকে
কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ‘দি হিন্দু’ জানিয়েছে- কুয়োটি প্রায় 55 ফুট গভীর ছিল এবং কুয়োর জল পাম্প করে তোলা হয়েছিল। দু’টি জেসিবি মেশিন, ট্রাক এবং ক্রেইনটি কুয়ো থেকে হাতিটিকে টানতে ব্যবহার করা হয়েছিল। হাতিটিকে খাওয়ানোর জন্য নারকেল গাছের পাতা কুয়োতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। বন্যপ্রাণী পশুচিকিত্সক প্রকাশের নেতৃত্বে একটি দল তিনটি ডার্ট সরবরাহ করেছিল, যার মধ্যে দুটি প্রাণিকে আঘাত করে এবং শান্ত করে তোলে। কর্মীরা তখন হাতিটিকে তুলে নিয়ে যায়। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, হাতিটি যেখান থেকে এখানে এসেছিল, সেই হোসুর বনাঞ্চলেই তাকে ছেড়ে দিয়ে আসা হবে।
যারা এই উদ্ধার প্রক্রিয়াতে যুক্ত ছিল
‘দি হিন্দু’র সংবাদের সূত্র অনুযায়ী, কুয়োর জলের স্তর কম ছিল। আধিকারিকদের বিবৃতি অনুসারে সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে- হাতিটি গত কয়েক দিন ধরে ওই অঞ্চলে আরও দুটি হাতির সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।কৃষ্ণগিরির জেলা বন কর্মকর্তা এস প্রভু এবং ধর্মপুরী রাজকুমার উদ্ধার তদারকির তদারকি করেছিলেন এবং বন বিভাগের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা, ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসেস এবং পুলিশ এই প্রক্রিয়াতে জড়িত ছিল। তথ্য সূত্রঃ এএনআই ও দি হিন্দু
Published on: নভে ২০, ২০২০ @ ০৯:১২