রাজ্যের আপত্তি উড়িয়ে ৩ আইপিএস-কে ডেপুটেশনে পাঠিয়েই ছাড়ল কেন্দ্র, ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ডিসে ১৭, ২০২০ @ ১৯:৫৬

এসপিটি নিউজ:  রাজ্যের কোনও আপত্তি শুনলো না কেন্দ্র। সমস্ত আপত্তি অগ্রাহ্য করে রাজ্যের তিন আইপিএস অফিসারকে শেষ পর্যন্ত ডেপুটেশনে পাঠিয়েই ছাড়ল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দেওয়া হল তাদের নয়া পোস্টিং। যা নিয়ে ট্যুইটারে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কোথায় কাকে পোস্টিং

এই তিন আইপিএস হলেন আইজি দক্ষিণবঙ্গ রাজীব মিশ্র, প্রেসিডেন্সি রেঞ্জের ডিআইজি প্রবীণ ত্রিপাঠী এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে। রাজীব মিশ্রকে পাঠানো হল ইন্দো টিবেটান বর্ডার পুলিশ বা আইটিবিপি-তে, প্রবীণ ত্রিপাঠীকে সীমা সুরক্ষা বল বা এসএসবি-তে এবং ভোলানাথ পান্ডেকে ব্যুরো অফ পুলিশ রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট বা বিপিআরডি-তে।

পূর্ব ঘটনা

জানিয়ে রাখি, এই তিন আইপিএস অফিসার ডায়মন্ড হারবারে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি  জে পি নাড্ডা যাতে সুরক্ষিত অবস্থায় সভাস্থলে পৌঁছতে পারে তা দেখভালের দায়ত্বে ছিলেন।কিন্তু সেদিন তাঁর কনভয় আক্রান্ত হয়। এমনকি, অভিযোগ তাঁর গাড়িও আক্রান্ত হয়। যদিও রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে নাড্ডার গাড়ি সুরক্ষিত অবস্থাতেই সভাস্থলে পৌঁছেছে। কোনো কিছুই হয়নি। এরই মধ্যে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে কড়া রিপোর্ত পাঠায় কেন্দ্রের কাছে।

কেন্দ্রের পদক্ষেপ

এরপরেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর। তারা রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেয় যে এই তিন অফিসারকে তারা ডেপুটেশনে চায়। কিন্তু রাজ্য তাদের ছাড়তে চায়নি। এরপর আজ কেন্দ্র রাজ্যের সেই আপত্তিকে আমল না দিয়ে ওই তিন আইপিএস-কে শেষ পর্যন্ত ডেপুটেশনে পাঠানোর সব ব্যবস্থা করে ফেলল। দিয়ে দিল নয়া পোস্টিং। সেই সঙ্গে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আহগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা যেন নতুন জায়গায় কাজে যোগ দেয়।

ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ

এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তিনি ট্যুইটারে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে লিখেছেন-

রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের ৩ জন আইপিএস আধিকারিককে কেন্দ্রীয় সরকার ডেপুটেশনে পাঠালো, তা ক্ষমতার আস্ফালন এবং ১৯৫৪ সালের আইপিএস ক্যাডার আইনের ক্ষমতার অপব্যবহার।

এটি রাজ্যের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ এবং পশ্চিমবঙ্গে কর্তব্যরত আধিকারিকদের ইচ্ছাকৃত মনোবল ভেঙে দেওয়ার প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। বিশেষত ভোটের আগে এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। এটি অসাংবিধানিক এবং একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়!

আমরা কোবওভাবেই রাজ্যের উপর কেন্দ্রের অধিকার কায়েম করতে দেব না। পশ্চিমবঙ্গ কায়েমী ও অগণতান্ত্রিক শক্তির সামনে কখনোই মাথা নত করবে না।

Published on: ডিসে ১৭, ২০২০ @ ১৯:৫৬


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

48 − 45 =