বিশ্বের সবচেয়ে বড় হত্যা মামলা পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ১৮৫ জনকে

বাংলাদেশ
শেয়ার করুন

বিডিআর জওয়ানদের মামলায় নিম্ন আদালতের রায় মেনে নিয়ে ১৫২ জনের মধ্যে ১৩৯জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট এ ছাড়া ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে । বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে আরও ১৯৬ জনকে এবং খালাস পেয়েছেন ৪৯ জন।

ঢাকা, ২৭ নভেম্বরঃ আজ সোমবার বিচারপতি মহম্মদ শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতি হলেন মহম্মদ আবু জাফর সিদ্দিকী ও মহম্মদ নজরুল ইসলাম তালুকদার। আদালত এ রায়কে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে রায়ে বিভিন্ন সুপারিশও করা হয়েছে।’প্রথম আলো’তে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহের নামে পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরে ঘটেছিল এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় ৫৭জন সেনা কর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। ৮৪৬জন বিডিআর জওয়ানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছিল। বিচার চলাকালীন মামলার অন্য চার আসামি মারা যান। আসামির সংখ্যার দিক থেকে দেখলে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হত্যা মামলা।উত্তেজনাপূর্ণ মামলায় মৃত্যুর রেফারেন্স ও আপিলের রায় দানের আগে হাইকোর্টের বিচারপতিরা তাদের পর্যবেক্ষণ জানিয়ে দেন।

বিচারপতি মহম্মদ নজরুল ইসলাম তালুকদার এই ঘটনায় তার বক্তব্য প্রদান করেন এবং চূড়ান্ত রায় প্রদানের জন্য প্রিসাইডিং বেঞ্চের বিচারপতি মহম্মদ আবু জাফর সিদ্দিককে দেওয়া হয়।বিচারপতি শওকত হোসেন বলেন, এই রায়ের মধ্যে তিনজন বিচারক সর্বসম্মত।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নামকরণ করা হয়।

২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে এ মামলায় ১৫০জন বিডিআর জওয়ান ও দুই বেসামরিক লোককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই ছিলেন তৎকালীন বিডিআর সদস্য। ১৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পান আরও ২৫৬ জন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান ২৭৮ জন আসামি। ফলে সাজা হয় মোট ৫৬৮ জনের।এই রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডের রেফারেন্স নিয়ে হাইকোর্টে আপিল করা হয়।এরপর ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়, শেষ হয় গত ১৩ এপ্রিল। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। এরপর হাইকোর্ট ২৬ নভেম্বর রায়দানের তারিখ স্থির করেন।

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + 6 =