বিএমসি-র গুন্ডামিঃ নিজের স্বপ্নের অফিসের এ কী হাল, ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে নীরব ‘বীর’ কঙ্গনা

দেশ
শেয়ার করুন

Published on: সেপ্টে ১০, ২০২০ @ ১৯:১৮

এসপিটি নিউজ:  হিমাচল প্রদেশের এক অচেনা গ্রামের মেয়ে কিভাবে কত কষ্ট করে নিজের হাতে এক স্বপ্নের অফিস গড়ে তুলেছিলেন। শুধু মাত্র অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার মাশুল তাঁকে চোকাতে হল এইভাবে। নিজের সেই অফিস মহারাষ্ট্র সরকারের অধীন বৃহন্নমুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বা বিএমসি তাঁর অনু্পস্থিতিতেই অবৈধ নির্মাণের তকমা লাগিয়ে মাত্র ২৪ ঘণ্টার নোটিশে ভেঙে গুড়িয়েই দিল না বাড়ির ভিতরের সমস্ত আসবাবপত্র থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক সমস্ত কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেল। নিজের চোখেই নিজের স্বপ্নের ধ্বংসস্তূপ দেখে চুপ করে রইলেন ‘বীর’ কঙ্গনা।

কঙ্গনা ট্যুইট করে লেখেন- “যে আদর্শের ভিত্তিতে শ্রীবালা সাহেব ঠাকরে শিবসেনা গড়ে তুলেছিলেন, আজ ক্ষমতার জন্য সেই একই আদর্শ বিক্রি করে শিবসেনা সনিয়া সেনা হয়ে গিয়েছে, যে গুন্ডারা আমার পিছনে থেকে আমার বাড়িটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে, তাদের নাগরিক সংস্থা বলবেন না, সংবিধানকে এত অপমান করবেন না।”

উদ্ভব ঠাকরের নাম না করে তাঁকে উদেশ্য করে কঙ্গনা লেখেন- “আপনার বাবার ভালো কাজ আপনাকে ধন দিতে পারে, তবে সম্মান আপনাকে নিজেকেই অর্জন করতে হবে, আপনি আমার মুখ বন্ধ করে দেবেন, কিন্তু আমার কন্ঠস্বর আমার পরে একশো লক্ষে প্রতিধ্বনিত হবে, তখন আপনি কত মুখ বন্ধ করবেন? আপনি কয়টি কণ্ঠস্বর রোধ করবেন? আপনি কতক্ষণ সত্য থেকে পালিয়ে বেড়াবেন তা রাজবংশের নমুনা ছাড়া কিছুই নয়।”

মহারাষ্ট্রের মানুষের প্রতি ভালোবাস প্রকাশ করে কঙ্গনা লেখেন- “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে মহারাষ্ট্রের জনগণ সরকার কর্তৃক করা গুন্ডাবাজিকে নিন্দা করে, আমার মারাঠি শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে প্রচুর আহ্বান জানানো হয়, বিশ্বের বা হিমাচল প্রদেশের মানুষের হৃদয়ে দুঃখ রয়েছে। ভাববেন না যে আমি এখানে ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা পাই না।”

“গতকাল আমার বহু মারাঠি বন্ধু ফোনে কান্নাকাটি করেছিলেন, কেউ আমাকে সাহায্যের জন্য অনেক যোগাযোগ করেছিলেন, কেউ বাড়িতে খাবার পাঠাচ্ছিলেন যা সুরক্ষা প্রোটোকলের কারণে আমি গ্রহণ করতে পারি না, মহারাষ্ট্র সরকারের এই ঘৃণ্য কাজটি মারাঠি সংস্কৃতি এবং গর্বকে বিশ্বে কালিমালিপ্ত করা উচিত নয়। জয় মহারাষ্ট্র।”

Published on: সেপ্টে ১০, ২০২০ @ ১৯:১৮


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

66 + = 72