প্রত্যেক ভারতীয় গর্ব করে বলে, ভারত গণতন্ত্রের মা-মিউনিখে দাঁড়িয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

Main কোভিড-১৯ দেশ বিদেশ ভ্রমণ
শেয়ার করুন

Published on: জুন ২৬, ২০২২ @ ২২:০৪

এসপিটি নিউজ: জার্মানি সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে প্রবাসী ভারতীয়দের বিপুল হর্ষোধ্বনির মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর চিরাচরিত ভঙ্গিতে বক্তব্য রাখেন।মোদি বলেন- “আজকের এই সময় অন্য কারণে পরিচিত।যে গণতন্ত্র আমাদের গর্ব, যে গণতন্ত্র প্রতিটি ভারতীয়ের ডিএনএ-তে রয়েছে, সাতচল্লিশ বছর আগে এই সময়ে সেই গণতন্ত্রকে বন্দি করে গণতন্ত্রকে চূর্ণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল।ভারতের জনগণ গণতন্ত্রকে চূর্ণ করার সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিয়েছে।”

“শুধুমাত্র গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিতরণ করা হয়েছে। আমরা যেখানেই থাকি না কেন আমরা ভারতীয়রা আমাদের গণতন্ত্র নিয়ে গর্ব করি। প্রত্যেক ভারতীয় গর্ব করে বলে, ভারত গণতন্ত্রের মা।” বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন- আজ ভারতের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে।আজ ভারতের প্রায় প্রতিটি গ্রাম সড়কপথে সংযুক্ত। আজ ভারতের ৯৯ শতাংশেরও বেশি মানুষের কাছে পরিষ্কার রান্নার জন্য গ্যাস সংযোগ রয়েছে। আজ ভারতের প্রতিটি পরিবার ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত।

ভারত দেখিয়েছে এত বিশাল এবং এত বৈচিত্র্যময় দেশে গণতন্ত্র কতটা ভালোভাবে ডেলিভারি করছে। কোটি কোটি ভারতীয় একসঙ্গে যেভাবে বড় লক্ষ্য অর্জন করেছে, তা নজিরবিহীন। আজ ভারতের প্রতিটি গ্রাম উন্মুক্ত মলত্যাগ মুক্ত।আজ ভারতের প্রতিটি গরিব বিনামূল্যে ৫ লাখ টাকার চিকিৎসা পাচ্ছেন।বলেন মোদি।

‘করোনার এই সময়ে ভারত গত দুই বছর ধরে ৮০ কোটি দরিদ্রকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য নিশ্চিত করছে। শুধু তাই নয়, ভারতে গড়ে প্রতি ১০ দিনে একটি ইউনিকর্ন তৈরি হচ্ছে।’’

আজ, একবিংশ শতাব্দীর ভারত, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে, ইন্ডাস্ট্রি 4.0-এ, পিছিয়ে থাকা একজন নয়, এই শিল্প বিপ্লবের অন্যতম নেতা। তথ্য প্রযুক্তিতে, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ভারত তার পতাকা ওড়াচ্ছে। বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

আজকের ভারত ‘এটা হয়, এভাবে চলে’ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসেছে। আজ ভারত ‘করতে হবে’, ‘করতে হবে’ এবং ‘সময়মতো করতে হবে’-এর প্রতিশ্রুতি দেয়।ভারত এখন প্রস্তুত, প্রস্তুত, অধৈর্য। ভারত অধৈর্য, ​​উন্নতির জন্য, উন্নয়নের জন্য। ভারত তার স্বপ্নের জন্য, তার স্বপ্ন পূরণের জন্য অধৈর্য।

আজ ভারতে প্রাপ্তবয়স্কদের ৯০ শতাংশ ভ্যাকসিনের উভয় ডোজ পেয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের ৯৫ শতাংশ তারা যারা কমপক্ষে একটি ডোজ গ্রহণ করেছেন। এটি সেই একই ভারত, যা সম্পর্কে কিছু লোক বলেছিল যে ১.২৫ বিলিয়ন জনসংখ্যাকে টিকা দিতে ১০-১৫ বছর সময় লাগবে। বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও ভারতের জনগণের সাহস আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। গত বছর আমরা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রপ্তানি করেছি। এটি প্রমাণ করে যে আমাদের নির্মাতারা যখন নতুন সুযোগের জন্য প্রস্তুত, বিশ্বও আমাদের দিকে আশা এবং আস্থা নিয়ে দেখছে।

জলবায়ু পরিবর্তন আজ ভারতে শুধু সরকারি নীতির একটি বিষয় নয়। ভারতের যুবকরা ইভি এবং অন্যান্য অনুরূপ জলবায়ু-সমর্থক প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে। টেকসই জলবায়ু অনুশীলনগুলি আজ ভারতের সাধারণ মানুষের জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন- আজ ভারতে পরিচ্ছন্নতা একটি জীবনধারা হয়ে উঠছে। ভারতের মানুষ, ভারতের যুবকরা দেশকে পরিষ্কার রাখা তাদের কর্তব্য বলে মনে করছে। আজ, ভারতের মানুষ আত্মবিশ্বাসী যে তাদের অর্থ দেশের জন্য সততার সাথে ব্যয় করা হচ্ছে এবং দুর্নীতির শিকার হচ্ছে না। সে কারণে দেশে দ্রুত কর কমপ্লায়েন্স বাড়ছে।

Published on: জুন ২৬, ২০২২ @ ২২:০৪


শেয়ার করুন