পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দুই রূপঃ কোথাও তাদের বিরুদ্ধে উঠছে হামলার অভিযোগ, আবার কোথাও তারাই বলছে শান্তির কথা

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                                                    ছবি-রামপ্রসাদ সাউ

 

Published on: এপ্রি ২৬, ২০১৮ @ ২৩:০৬

এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ২৬ এপ্রিলঃ দুই জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভিন্ন রূপ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং-এ সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রার্থী সুভাষ ঘোষের উপর চড়াও হয় একদল লোক। অভিযোগ, হামলাকারীরা সকলেই তৃণমূলের আশ্রিত। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আবার ঝাড়গ্রাম জেলায় আগুইবনী অঞ্চলে তৃণমূলের মহিলা প্রার্থীর সমর্থনে বড়পাল গ্রামের মহিলারা শান্তির কথা বলে মিছিল করলেন। গ্রামের মহিলারা তৃণমূলের সমর্থনে হিংসার বিরুদ্ধে শান্তির স্বপক্ষে বিগত দিনের উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরে প্রচার সারেন। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা দ্বিতীয়টির পক্ষে। প্রথম ঘটনাটি তাদের বিরুদ্ধে কুৎসা ছাড়া কিছুই নয়।

ঘটনায় প্রকাশ, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের ২ নং নওগা গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিপুরা গ্রামের সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন সুভাষ ঘোষ। অভিযোগ, তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য বুধবার গভীর রাতে অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ভয়ও দেখানো হয় পরিবারের সদস্যদেরকে। গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রার্থী শেখ লুৎফর রহমান কিছু দুষ্কৃতি নিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সিপিএমের অভিযোগ। কিন্তু ধমক দেওয়ার পরেও মনোনয়ন প্রত্যাহার করার কথা না মানায় অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় সুভাষ ঘোষের ওপর। মাথায় আঘাত লাগে সুভাষ ঘোষের। পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে এলে তারাও আক্রান্ত হয় বলে অভিযোগ। পরে এলাকার লোকজন জমায়েত হতেই চম্পট দেয় সবাই। গুরুতর আহত অবস্থায় সুভাষ ঘোষকে সবং হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। বা্কি বাড়ির দুই সদস্য সবং হাসপাতালে ভর্তি। সবং থানায় বৃহস্পতিবার সকালে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে সবং থানার পুলিশ।অভি্যোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আবার ঝাড়গ্রামের আগুইবনী অঞ্চলের বড়পাল গ্রামে দেখা গেছে উলটো ছবি। যেখানে গ্রামের মহিলারাই কোমর বেঁধে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুষমা মাহাতোর হয়ে মিছিল করেছেন।প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছেন। তাদের হাতে রয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের গত পাঁচ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান লেখা এক পুস্তিকা, যা তারা প্রত্যেক বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন। মিছিলে অংশ নেওয়া এক মহিলা ছবি মাহাত জানান, সুষমাকে জেতাতে গ্রামের মহিলারাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। এখানে ছেলেদের প্রয়োজন নেই।তিনি আরো বলেন, ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মাওবাদী ও সিপিএমের সন্ত্রাসের কালো দিন আজও আমরা ভুলিনি। আজ সিপিএমের হার্মাদরা বিজেপির জামা গায়ে দিয়ে ভোট চাইতে আসছে। গ্রামের মহিলারা তাদের পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তারা শান্তি চায়। দয়া করে এখানে অশান্তি সৃষ্টি করতে আসবেন না।

সাধারণ মানুষ, গোটা বিষয়টি দেখছে। তবে মুখে তারা কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। শুধু মুচকি হেসেছেন।

Published on: এপ্রি ২৬, ২০১৮ @ ২৩:০৬

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

48 − 44 =