নাইজেরিয়ায় সমুদ্র দস্যুদের কবজায় হিমাচলের তিন যুবক, ২২ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি

বিদেশ
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ২৩, ২০১৮ @ ১৭:১৩

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ সম্প্রতি ইরাকের মুসোলে ৩৯ ভারতীয়র মৃত্যুর ঘা এখনও ঠিক মতো শুকোয়নি। যেখানে হিমাচল প্রদেশের চারজন ছিলেন। সেই যন্ত্রণা কাটিয়ে উঠতে না উঠতে ফের আরও এক দুঃসংবাদ বয়ে নিয়ে এল হিমাচলবাসীর কাছে। এই রাজ্যের কাংরা উপত্যকার তিন যুবক নাইজেরিয়াতে গত ২৫ নভেম্বর থেকে সমুদ্র দস্যুদের হাতে বন্দি হয়ে আছে। ভারতীয় মুদ্রায় তারা ওই তিন যুবকের মুক্তিপন হিসেবে ২২ লক্ষ টাকা দাবি করেছে। এখনও জানা নেই এই তিন ভারতীয় হিমাচলী যুবকের ভাগ্যে কি লেখা আছে। ছেলেদের চিন্তায় রাতের ঘুম চলে গেছে তাদের বাড়ির লোকজনদের।

দিব্য হিমাচল অন লাইন সাইটে এই বিষয়ে এক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেই সংবাদের সূত্র ধরে জানা গেছে, অপহৃত এই তিন হিমাচলী যুবকরা হলেন কাংরার বাসিন্দা। তারা হলেন-সমলোটির পঙ্কজ, পালমপুরের অজয় ওরফে বিকাশ খণ্ড নগরোটা ও সুরিয়ার তহত গ্রাম পঞ্চায়েতের সুগনাড়ার সুশীল ধীমান। এই সুশীলের বাবা রঘুবীর ধীমান জানান, মার্চেন্ট নেভি-তে থাকার সুবাদে সুশীল গত ১৩ বছর ধরে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করে আসছে।সে একজন গ্রুপ ক্যাপ্টেন। যে ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর মুম্বই থেকে নাইজেরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল দুই বন্ধু পঙ্কজ ও অজয়। তারা যখন নাইজেরিয়ায় ঠিক তখন সমুদ্র দস্যুদের কবলে পড়ে তাদের জাহাজ। চারিদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে। ১৭জন সমুদ্র দস্যু গোটা জাহাজ শুদ্ধ তাদের তিনজনকেই অপহরণ করে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে যায়।

সুশীলের বাবা জানান, তিনি তাঁর ছেলের সঙ্গে শেষ কথা বলেন গত ২৮ জানুয়ারি। এরপর ছেল্র সঙ্গে আর কোনওভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।এরপর ১২ মার্চ তাঁর কাছে একটি স্যাটেলাইট ফোনে কল আসে। যে ফোনে সুশীল গোটা ঘটনাক্রম জানায়। কিন্তু এর মধ্যে ফোনের লাইন কেটে দেওয়া হয়। এর ঠিক তিনদিন বাদে আবার সুশীলের ফোন আসে।সুশীলের বাবা রঘুবীর ধীমান জানান, সেই ফোনে ছেলে জানায় যে দস্যুরা ১১ মিলিয়ন নায়রা অর্থাৎ প্রায় ১২ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেছে। তাদের দিনে একবার মাত্র খাবার দেওয়া হয়। এরপর সুশীলের বাড়ির লোকজন ছেলে যে কোম্পানিতে কাজ করে সেই কোম্পানির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি বাড়ির লোকজনকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, তিনি সমুদ্র দস্যুদের সম্পর্কে জানেন। তাদের তিনি পয়সা দিয়ে দেবেন।

এই ঘটনায় সুশীলের বাড়ির লোকজনের দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে। বাড়িতে সুশীলের পাঁচ বছরের এক ছেলে ও এক বছরের এক মেয়ে আছে। সুশীলের বাবা দিব্য হিমাচল-কে যা জানিয়েছেন তার সূত্র ধরে জানা গেছে, তিনি মেইল ও ফোন মারফত বিদেশ মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে গোটা ঘটনা জানিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত সেভাবে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। তিন ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে হিমাচল সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন আমাদের ছেলেরা ঘরে পোঁছতে পারে সেই ব্যাপারে যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমরা সরকারের কাছে শুধু এটুকুই চাইছি।

Published on: মার্চ ২৩, ২০১৮ @ ১৭:১৩

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 32 = 41