চাবি কেড়ে নিয়ে সিভিক পুলিশের বেদম প্রহার, স্কুটি-চালকের মর্মান্তিক মৃত্যুতে উত্তাল হয়ে উঠল মধ্যমগ্রাম

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-আব্দুর রহিম

Published on: জানু ২০, ২০১৮ @ ১৬:৫৮

এসপিটি নিউজ, মধ্যমগ্রাম, ২০ জানুয়ারিঃ একই রাজ্য। একই পুলিশ। অথচ আচরন ভিন্ন। মেদিনীপুরে পুলিশ রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে চালকের হাতে তুলে দিচ্ছেন গরম চা, পানীয় জল সঙ্গে বিস্কুট। আর কলকাতা লাগোয়া মধ্যমগ্রামে সিভিক পুলিশ কর্মীর মারে প্রাণ চলে যাচ্ছে স্কুটি-চালকের। গোটা ঘটনায় যেখানে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা পুরপ্রধান রথীন ঘোষ। মৃত স্কুটি চালকের নাম সৌমেন দেবনাথ (৪৫)। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত সিভিক পুলিশের কঠোর শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মধ্যমগ্রাম। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে পুলিশ জানিয়েছে।ঊত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ঐ সিভিক পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

শনিবার সকালে মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় বাদু রোডের মুখে স্থানীয় থানার সিভিক পুলিশ এক স্কুটি চালককে দাঁড় করায়।হেলমেট না পড়ে স্কুটি চালানোর জন্য তাকে আটকায়। অভিযোগ, ঐ স্কুটি চালকের গাড়িতেই হেলমেট ছিল। তিনি সেটি পড়তেনও, তখন তিন সেটি মাথা থেকে খুলে রেখে দিয়েছিলেন। সিভিক পুলিশ তার কোনও কথা না শুনে প্রথমেই গাড়ির চাবি কেড়ে নেয়। এরপর সেই স্কুটি-চালক তার কাছে জানতে চায় কেন সে এভাবে গাড়ির চাবি কেড়ে নিল? এই প্রশণ করাটাই মস্ত বড় অপরাধ হয়ে যায় মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা স্কুটি-চালক বছর পঁয়তাল্লিশের সৌমেন দেবনাথের। রাস্তার মধ্যেই তাকে বুকে-পেটে আনাড়ি কিল-চড়-ঘুসি মারতে থাকে অভিযুক্ত সেই সিভিক পুলিশ। সিভিক বেদম প্রহারে ঘটনাস্থলেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে যান সৌমেন। তড়িঘড়ি তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে।দফায় দফায় মধ্যগ্রাম চৌমাথা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বারাসত থেকে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। কোনওরকমে প্পরিস্থিতি শান্ত করে যান চলাচল স্বভাবিক করার পর ফের বিক্ষোভ শুরু হয় মধ্যমগ্রাম থানা ও গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে। দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের কর্তারা বিক্ষোভ কারীদের অভিযুক্ত সিভিক পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ বন্ধ হয়।

মধ্যমগ্রামের পুরপ্রধান ও বিধায়ক রথীন ঘোষ এই ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত। মৃত সৌমেন দেবনাথের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। সেইসঙ্গে সিভিক পুলিশদের তাদের কাজ সম্পর্কে অনেক বেশি দায়িত্ব সচেতন হওয়া উচিত বলে মত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, অভিযুক্ত ঐ সিভিক পুলিশের একজন স্কুটি-চালকের সঙ্গে এমন নির্মম আচরন করা ঠিক হয়নি।ছবি সৌজন্যে ফেসবুক

Published on: জানু ২০, ২০১৮ @ ১৬:৫৮


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 5 = 2