ক্রুশবিদ্ধ বিবেকানন্দ

Main দেশ ধর্ম রাজ্য
শেয়ার করুন

স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৭তম জন্মতিথি উপলক্ষ্যে তিনিটি পর্যায়ে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হচ্ছে  সংবাদ প্রভাকর টাইমস নিউজ পোর্টাল-এ। উদ্বোধন পত্রিকার ৮৩তম বর্ষের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংস্করণে লেখাগুলি প্রকাশিত হয়েছিল। লিখেছেন স্বামী চৈতন্যানন্দ, যিনি উদ্বোধন পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্বভার সামলেছেন।সংবাদ প্রভাকর টাইমস তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ এমন একটি লেখা দেওয়ার জন্য।আজ তার দ্বিতীয় পর্ব। 

স্বামী চৈতন্যানন্দ

সম্পাদক, উদ্বোধন পত্রিকা

Published on: জানু ২৬, ২০১৯ @ ২০:০৫

শ্রীরামকৃষ্ণদেবের দেহত্যাগের পর নরেন্দ্রনাথ সন্ন্যাস গ্রহণ করে পরিব্রাজক হয়ে সমগ্র ভারতবর্ষ ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছিলেন Imitation of Christ-এর অমর উক্তির মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেঃ ‘We have taken up the Cross, Thou hast laid it upon us, and grant us strength that we bear it unto death. Amen.’ তিনি ভারতবর্ষের সমস্ত শ্রেণির মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে মিশেছিলেন। তিনি স্বচক্ষে দেখে অনুভব করেছিলেন মানুষের দুঃখ-কষ্ট। তিনি দেখেছিলেন ভারতের অধিকাংশ মানুষ অর্থাভাবে অনাহারে মরছে। তাদের পরনে নেই কোন বস্ত্র। অশিক্ষায় আর বহুদিন ধরে পরজাতির অধীনে থাকতে থাকতে ভারতবাসী হয়ে পড়েছে কৃতদাস, অলস। তিনি দেখলেন সারাটা জাত যেন তমোনিদ্রায় ঘুমিয়ে আছে। ভারতের এই হীনদশা দেখে তাঁর হৃদয় বেদনায় হাহাকার করে উঠল। এই পরিব্রাজকজীবনে স্বামীজীর হৃদয় পরদুঃখে কিভাবে দগ্ধ হচ্ছিল, তা তাঁর গুরুভাই স্বামী তুরিয়ানন্দের উক্তির মধ্য দিয়ে আমরা পাইঃ “তিনি বলেছিলেন, ‘হরিভাই, আমি এখনও তোমাদের তথাকথিত ধর্মের কিছুই বুঝি না।’ অতঃপর মুখে একটা গভীর বিষাদের ছায়া নিয়ে এবং ভাবাতিশয্যে কম্পিত কলেবরে তিনি নিজের হাত বুকের উপর রেখে আরও বলেছিলেন, ‘ কিন্তু আমার হৃদয় খুব বেড়ে গেছে এবং আমি অপরের ব্যথায় ব্যথা বোধ করতে শিখেছি। বিশ্বাস করো, আমার তীব্র দুঃখবোধ জেগেছে।’ তাঁর কণ্ঠ ভাবাবেগে রুদ্ধ হয়ে গেল, তিনি আর বলতেই পারছিলেন না- চোখের জল পড়তে লাগল।” এইসব কথা বলতে বলতে স্বামী তুরীয়ানন্দও বিহ্বল হয়ে পড়লেন। তারপর দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে তিনি আরও বললেনঃ “স্বামীজী যখন ওই কথাগুলি বলছিলেন, তখন আমার মনে কি খেলছিল বলতে পার? আমি ভাবছিলামঃ ‘বুদ্ধ কি ঠিক এমনি অনুভব করেননি, আর এমনি কথা বলেননি?’ ……আমি যেন ঠিক দেখছিলাম যে, জগতের দুঃখে স্বামীজীর হৃদয় তোলপাড় হচ্ছে- তাঁর হৃদয়টা যেন তখন একটা প্রকাণ্ড কড়াই, যাতে জগতের সমস্ত দুঃখকে রেঁধে একটা প্রতিষেধক মলম তৈরি করা হচ্ছিল।” এই মলমের প্রলেপ দিয়ে তিনি দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশারূপ ক্ষত দূর করবেন, ক্ষতের জ্বালা থেকে মুক্ত করে মানুষের মুখে হাসি ফুটাবেন, জনসাধারণকে শিক্ষিত করে তাদের আত্মমর্যাদাবোধ জাগিয়ে তুলবেন। কিন্তু খালি পেটে কিছুই হয় না। তাই তাদের মুখে তুলে দিতে হবে প্রথমে অন্ন, তার সঙ্গে তাদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যবহারিক বিদ্যা শেখাতে হবে। তারপর শেখাতে হবে ধর্ম। কিন্তু এ করতে চাই প্রথমে লোকবল, দ্বিতীয় পয়সা। তিনি ছুটে গেলেন দেশের বড় বড় লোকেদের কাছে। কিন্তু কেউ তাঁকে সাহায্য করল না। তিনি স্থির করলেন পাশ্চাত্য দেশে গিয়ে টাকা উপার্জন করে ভারতের দুঃখ-দারিদ্রপীড়িত মানুষের সেবা করবেন। স্বামীজী তাঁর গুরুভাই স্বামী রামকৃষ্ণানন্দকে এক চিঠিতে লিখেছিলেনঃ ‘ …আমেরিকায় এসেছি, নিজে রোজগার করব, করে দেশে যাব and devote the rest of my life to the realization of this one aim of my life.’

চিকাগো ধর্মমহাসভার পর স্বামীজীকে ওখানকার জনসাধারণ সম্মানের উচ্চ শিখরে উঠিয়ে ছিল। কিন্তু তিনি গরিব ভারতবাসীর কথা ভুলে গেলেন না। একটি ঘটনা এখানে উল্লেখ করলে এটি সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে। স্বামীজীর গুনমুগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে ধনী এক ব্যক্তি একদিন তাঁকে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে গেলেন তাঁর বাড়িতে। তিনি এক সুসজ্জিত কক্ষে স্বামীজীর শয়নের ব্যবস্থা করলেন। তিনি শয়ন করতে গেলেন। ভারতবর্ষের দুঃখক্লিষ্ট মানুষের কথা মনে পড়ে যাওয়ায় তিনি আর শয়ন করতে পারলেন না। কান্নায় তাঁর মাথার বালিশ ভিজে গেল। ঘরের বাইরে এসে বাতায়নের তলায় দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগলেন ভারতের কথা। ক্ষুধার্ত মানুষের পেটের জ্বালা তাঁকে তুষানলের ন্যায় দগ্ধ করতে লাগল। তিনি যন্ত্রণায় আর্তনাদ করতে লাগলেন। তাঁর হৃদয়ের মর্মস্থল থেকে বেরিয়ে এল আর্তনাদঃ ‘ হা আমার দুঃখিনী মাতৃভূমি। তোমার এত দুর্দশা, আর আমার অদৃষ্টে এই সুখভোগ! আমি এই সুখসৌভাগ্য আর নামযপ নিয়ে কি করব!’ যেখানে তাঁর হাজার হাজার ভারতীয় ভাইবোনেরা অনাহারে মরছে, সেখানে এই সুসজ্জিত কক্ষে দুগ্ধফেননিভ শয্যায় শয়ন তিনি কি করে করবেন! দুঃখক্লিষ্ট মানুষের যন্ত্রণা যে তাঁরই অন্তরের যন্ত্রণা। মানুষের এই দুঃখক্লিষ্ট কি করে দূর করবেন এই ছিল দিবারাত্র তাঁর একমাত্র চিন্তা।

স্বামীজী নিজে বিদেশে বক্তৃতার পর বক্তৃতা দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন; আর বিদেশ থেকে জলন্ত ভাষায় উৎসাহপূর্ণ চিঠির মাধ্যমে গুরুভাইদের ও স্বদেশবাসীকে সেবাব্রতে অনুপ্রাণিত করেছেন। তিনি স্বামী অখণ্ডানন্দকে এক চিঠিতে লিখেছিলেনঃ “পড়েছো ‘মাতৃদেবো ভব, পিতৃদেবো ভব’। আমি বলি, ‘দরিদ্রদেবো ভব, মূর্খদেবো ভব’। দরিদ্র, মূর্খ, অজ্ঞানী, কাতর- ইহারাই তোমার দেবতা হউক, ইহাদের সেবাই পরমধর্ম জানিবে।” শিষ্য আলাসিঙ্গাকে একটি চিঠিতে লিখেছিলেনঃ … ‘ ভারতের চিরপতিত বিশ কোটি নরনারীর জন্য কার হৃদর কাঁদছে? তাদের উদ্ধারের উপায় কি? তাদের জন্য কার হৃদয় কাঁদে বলো? তারা অন্ধকার থেকে আলোয় আসতে পারছে না, তারা শিক্ষা পাচ্ছে না। কে তাদের কাছে আলো নিয়ে যাবে বলো? কে দ্বারে দ্বারে ঘুরে তাদের কাছে আলো নিয়ে যাবে? এরাই তোমাদের ঈশ্বর, এরাই তোমাদের দেবতা। হোক, এরাই তোমাদের ইষ্ট হোক। তাদের জন্য ভাবো, তাদের জন্য কাজ করো, তাদের জন্য সদা সর্বদা প্রার্থনা করো- প্রভুই তোমাদের পথ দেখিয়ে দেবেন। তাঁদেরই মহাত্মা বলি, যাঁদের হৃদয় থেকে গরিবদের জন্য রক্তমোক্ষণ হয়, তা না হলে সে দু্রাত্মা।’ এইভাবে অক্লান্ত পরিশ্রমে স্বামীজীর সুগঠিত শরীর ভাঙতে লাগল। অনিদ্রা ও নানারকম রোগে তিনি আক্রান্ত হলেন। ভগ্ন শরীর নিয়ে ফিরে এলেন ভারতবর্ষে। ফিরে এসেই বিশ্রাম না নিয়ে মানুষকে দাসসুলভ মনোবৃত্তি থেকে মুক্তি দিয়ে আত্মমর্যাদাবোধে প্রতিষ্ঠিত করতে ভারতের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত জ্বালাময়ী ভাষায় বক্তৃতা দিতে লাগলেন। আর বন্যা-প্লেগ-দুর্ভিক্ষগ্রস্ত মানুষদের সেবা করতে চারদিকে পাঠিয়ে দিতে লাগলেন তাঁর গুরুভাই ও শিষ্যদের। স্বামীজীর শিষ্য বিরজানন্দ চাইছিলেন সাধনভজনে ডুবে থাকতে। স্বামীজী তাঁকে তিরস্কার করে বজ্রকণ্ঠে বলেছিলেন, ‘দেখ, নিজের মুক্তি যদি খুঁজিস তো নিশ্চয়ই জাহান্নামে যাবি, আর অপরের মুক্তির জন্য যদি কাজ করিস তো এখনই মুক্ত হয়ে যাবি।’ এইভাবে কঠোর পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে স্বামীজী মঠে ফিরে এলেন। কিন্তু তবুও বিশ্রাম নেই, অবিরাম কর্ম করে চলেছেন পরদুঃখ নিবারণের জন্য।

বাগবাজারে বলরামবাবুর বাড়িতে আছেন। একদিন শিষ্য শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তীর সঙ্গে বেদান্ত আলোচনা করছেন। এই সময় গিরিশচন্দ্র ঘোষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সমাজের এক বিভীষিকাপূর্ণ চিত্র অঙ্কিত করে স্বামীজীর চোখের সামনে তুলে ধরলেন। স্বামীজী বেদান্তবিচারের কথা ভুলে গিয়ে নির্বাক হয়ে রইলেন। জগতের নিদারুন দুঃখক্লিষ্ট মানুষের কথা শুনে তাঁর হৃদয়ে শেলবিদ্ধ হল। তাঁর চোখে শত ধারার অশ্রু এসে পড়ল। হৃদয়ের ভাব গোপন করার জন্য তিনি ঘরের বাইরে চলে গেলেন।স্বামীজী চলে গেলে গিরিশবাবু শরচ্চন্দ্রকে লক্ষ্য করে বললেনঃ ‘দেখলি বাঙাল, কত বড় প্রাণ! তোর স্বামীজীকে কেবল বেদজ্ঞ পণ্ডিত বলে মানি না; কিন্তু ওই যে জীবের দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গেল, এই মহাপ্রাণতার জন্য মানি। চোখের সামনে দেখলি তো মানুষের দুঃখকষ্টের কথাগুলো শুনে করুণার হৃদয় পূর্ণ হয়ে স্বামীজির বেদ-বেদান্ত সব কোথায় উড়ে গেল!” এই বলরামবাবুর বাড়িতেই আর একটি ঘটনা। স্বামী তুরীয়ানন্দের ভাষায়ঃ “আমি স্বামীজীকে দেখতে এসে দেখি, তিনি এত গভীর চিন্তামগ্ন হয়ে বারান্দায় পায়চারি করছেন যে, আমার আগমন টেরই পেলেন না। পাছে তাঁর চিন্তায় বাধা পড়ে এই ভয়ে আমি চুপ করে রইলাম। একটু পরে স্বামীজী চোখের জলে ভাসতে ভাসতে মীরাবাঈ-এর একটি বিখ্যাত গান গুনগুন করে গাইতে লাগলেন। পরে নিজের হাত দুখানিতে মুখ লুকিয়ে রেলিং-এ ভর দিয়ে বিষাদভাবে গাইলেন, ‘দরদ না জানে কৈ!’ তাঁর দুঃখময় সুর ও নৈরাশ্য যেন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছিল ও সবই বিষাদে ভরে উঠছিল। ‘ঘায়েল কী খত ঘায়েল জানে, ঔর না জানে কোঈ’ – এই বিষাদময় গানে যেন সমস্ত আকাশ-বাতাস স্পন্দিত হচ্ছিল। তাঁর স্বর আমার হৃদয়ে যেন তীরের মতো বিঁধছিল এবং আমারও চোখে জল এসেছিল। স্বামীজীর দুঃখের কারণ বুঝতে না পেরে আমি বড়ই বিব্রত বোধ করছিলাম। একটু পরেই বুঝতে পারলাম – জগতের দুঃখিত নিপীড়িতদের দুঃখের প্রতি এক অপার সহানুভূতিতেই তাঁর এই ব্যথা!”

দিনরাত মানুষের সঙ্গে অনর্গল কথা বলে বলে স্বামীজী অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাক্তাররা বিশ্রাম নিতে বলেন, গুরুভাইরা জোর করেন একটু বিশ্রাম নেওয়াতে, কিন্তু পারেন না। অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বামীজী ডাক্তারের পরামর্শে বিশ্রামের জন্য আলমোড়া যান। স্বামীজী ছিলেন আজন্ম যোগী, হিমালয়ের নির্জনতার প্রতি তাঁর বিশেষ আকর্ষণ। তাই হিমালয়ের নির্জনতা পেয়ে তিনি চাইলেন ধ্যানে লীন হয়ে থাকতে কিন্তু মানুষের দুঃখ-যাতনা তাঁর মনকে আবার সমতলভূমিতে টানতে লাগলো। মুর্শিদাবাদে মহুলা গ্রামে দারুন দুর্ভিক্ষের খবর পেলেন স্বামী অখণ্ডানন্দের এক চিঠিতে। সেখানে স্বামী অখণ্ডানন্দ জীবন পণ করে দরিদ্রনারায়ণের সেবা করছেন জেনে তিনি খুশি হয়ে উৎসাহপূর্ণ একটি চিঠি তাঁকে লেখেন। সেই চিঠির শেষে লিখছেনঃ ‘ আমি শীঘ্রই Plain-এ (সমতলে) নামছি। বীর আমি, যুদ্ধক্ষেত্রে মরব, এখানে মেয়েমানুষের মতো বসে থাকা কি আমার সাজে?’ দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের দুঃখই  তাঁকে আবার সমতলভূমিতে নেমে আসার সংকল্প নিতে বাধ্য করে। যদিও তিনি তৎক্ষনাৎ আসতে পারেননি অসুস্থতার জন্য। কিন্তু ১৮৯৮ সালে এপ্রিল মাসে কলকাতায় প্লেগের প্রাদুর্ভাব যখন হয় তখন স্বামীজী দার্জিলিং-এ ছিলেন। সেসময় কিন্তু আর থাকতে পারেননি, ছুটে এসেছিলেন কলকাতার জনসাধারণের সেবার উদ্দেশ্যে। কিন্তু টাকার অভাব। একজন জিজ্ঞাসা করলেনঃ ‘স্বামীজী, টাকা কোথায় পাওয়া যাবে?’ বজ্রনিনাদে স্বামীজী উত্তর দিলেনঃ ‘কেন, যদি প্রয়োজন হয় নতুন কেনা মঠের জমটমি বিক্রি করে দেব।’ এত পরিশ্রমে কেনা মঠের জমি ও বাড়ি মানুষের দুঃখ নিবারণে বিক্রি করে দেবেন বলতে মুহূর্তের জন্য দ্বিধাবোধ করলেন না। সৌভাগ্যবশতঃ শেষ পর্যন্ত মঠের জমি ও বাড়ি বিক্রি করতে হয়নি, জনসাধারণের কাছ থেকে সাহায্য এসেছিল। এর পরেও ১৮৯৯ সালে কলকাতায় দ্বিতীয়বার প্লেগ হলে স্বামীজী আবার ঐ-কথা বলেন। স্বামী সদানন্দ, ভগিনী নিবেদিতা প্রভৃতিকে নিয়ে স্বামীজী সেবাকার্য আরম্ভ করেন। কাজের বিস্তার হচ্ছিল, কিন্তুর অর্থের সংস্থান না থাকায় স্বামীজী চিন্তিত হয়ে পড়েন। মানুষের চরম দুর্দশা দেখে সেবাকার্য চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি নতুন মঠ-বাড়ি বিক্রি করে দিতে চাইলেন। কিন্তু সংঘজননী শ্রীশ্রীমা সারদাদেবী অনুমোদন না করায় স্বামীজীর প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়নি।      আগামী সংখ্যায় শেষ

Published on: জানু ২৬, ২০১৯ @ ২০:০৫

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 + 3 =