ক্রুশবিদ্ধ বিবেকানন্দ-৩

Main দেশ ধর্ম রাজ্য
শেয়ার করুন

স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৮তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে তিনিটি পর্যায়ে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হবে  সংবাদ প্রভাকর টাইমস নিউজ পোর্টালএ। উদ্বোধন পত্রিকার ৮৩তম বর্ষের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংস্করণে লেখাগুলি প্রকাশিত হয়েছিল। লিখেছেন স্বামী চৈতন্যানন্দ, যিনি উদ্বোধন পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্বভার সামলেছেন।সংবাদ প্রভাকর টাইমস তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ এমন একটি লেখা দেওয়ার জন্য।আজ তার শেষ পর্ব।

Published on: জানু ১৪, ২০২১ @ ১৯:৩০

লেখকঃ স্বামী চৈতন্যানন্দ 

তিনি বলতে পারেন ‘যদি একজনের মনে – এ সংসার নরক্কুণ্ডের মধ্যে একদনও একটু আনন্দ ও শান্তি দেওয়া যায়,সেইটুকুই সত্য, এই তো আজন্ম ভুগে দেখছি- বাকি সব ঘোড়ার ডিম।’ তিনি কি পারেন স্থির থাকতে-দরিদ্ররূপী নারায়ণকে রাস্তার ধারে রোগ-যন্ত্রণায় ছটফট করতে দেখে! তিনি অস্থির হয়ে উঠেন সেবা করার জন্য।

একটি ঘটনা। একবার স্বামীজী তাঁর গুরুভাই স্বামী নিরঞ্জনানন্দের সঙ্গে দেওঘরে আছেন। একদিন বেড়াতে বেরিয়ে তাঁরা দেখেন রাস্তার ধারে একটি দুঃস্থ লোক পড়ে আছে। সে আমাশয় রোগের যন্ত্রণায় ছটফট করছে এবং শীতে ঠকঠক ক’রে কাঁপছে, গায়ে তার শতচিন্ন মলিন বস্ত্র। এই আর্ত্নারায়ণকে দেখে স্বামীজী অস্থির হয়ে উঠলেন্সেবার জন্য। কিন্তু তিনি পরের বাড়িতে আছেন। গৃহস্বামী যদি কিছু মনে করেন, এই চিন্তা তিনি ক্কণকালের জন্য করলেন। মুহূর্তের মধ্যে ঠিক ক’রে নিলেন গৃহস্বামী যা-ই ভাবুন না কেন , তিনি এই দুঃস্থ ব্যক্তির সেবা করবেন। গুরুভাই-এর সাহায্যে ধরাধরি ক’রে তিনি তাকে তাঁর বাসস্থানে নিয়ে এলেন। তাকে একটি ঘরে শুইয়ে দিয়ে গা পরিষ্কার ক’রে, পরিষ্কার বস্ত্র পরিয়ে আগুন দিয়ে সেঁক দিতে লাগলেন। এইভাবে শুশ্রুষায় লোকটি সুস্থ হয়ে উঠল। গৃহস্বামী দেখে আনন্দিত হলেন এবং ভাবলেন স্বামীজী শুধু বক্তৃতা করেই বেড়ান না, স্বহস্তে সেবাও করেন।

মানুষের দুঃখ-যন্ত্রণায় স্বামীজীর হৃদয় অনিবার জ্বলছিল। তিনি এক মুহূর্তের জন্যও শান্তি পাচ্ছিলেন না।সবসময় তাঁর এক চিন্তা – কিসে মানুষের দুঃখ দূর হবে। একটি ঘটনা উল্লেখ করলে এটি সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে। স্বামীজী তখন মঠে আছেন। একদিন স্বামীজীর সঙ্গে কয়েকজন ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতে আসেন। তাঁদের মধ্যে একজন পাঞ্জাব থেকে এসেছিলেন। এই সময়ে পাঞ্জাবে অন্নাভাব ছিল। পাঞ্জাবের মানুষের দুঃখের কথা,তার দূরীকরণের উপায় এবং জনগণের উন্নতির কথা তাঁর সঙ্গে স্বামীজী আলোচনা করতে লাগলেন। কথাবার্তার পরে বিদায়কালে পাঞ্জাবী ভদ্রলোকটি নিরাশ হয়ে বললেন ‘মহাশয়, ধর্মবিষয়ক বিভিন্ন উপদেশ লাভের উচ্চ আশা নিয়ে আমরা আপনার কাছে এসেছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশঃ আমাদের কথাবার্তা তুচ্ছ বিষয়াবলীর মধ্যে আব্দধ থেকে গেল। দিনতাই বৃথা গেল।’ স্বামীজী মুহূর্তের মধ্যে গম্ভীর হয়ে বললেন ‘মহাশয়, যে পর্যন্ত আমার দেশের একটি কুকুরও অভুক্ত থাকবে- সে পর্যন্ত আমার ধর্ম হবে তাকে খাওয়ানো ও তার যত্ন লওয়া- আর যা কিছু তা হয় ধর্মধ্বজিতা বা অধর্ম।

স্বামীজীর স্বাস্থ্য ক্রমেই ভেঙে যাচ্ছে। তাই স্বামী ব্রহ্মানন্দ প্রমুখ গুরুভাইরা চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে দ্বিতীয়বার বিদেশে যেতে অনুরোধ করলেন স্বাস্থ্য-পুনরুদ্ধারের জন্য। বিদেশে গেলেন কিন্তু ভগ্নস্বাস্থ্যের আর পুনরুদ্ধার হল না; তিনি ফিরে এলেন ভারতে। পরিশ্রমের কিন্তু বিরাম নেই- অবিরাম পরিশ্রম ক’রে চলেছেন। দ্বিতীয়বার বিদেশ থেকে ফিরে এসে তিনি শিষ্য কল্যাণানন্দকে একদিন বললেন, ‘দেখ কল্যাণ, হৃষীকেশ-হরিদ্বার অঞ্চলের অসুস্থ রুগ্ন সাধুদের জন্য কিছু করতে পারিস? তাঁদের দেখবার কেউ নেই। তুই গিয়ে তাঁদের সেবায় লেগে যা।’ পরিব্রাজক জীবনে উত্তরাখণ্ডে ভ্রমণের সময় বৃদ্ধ ও পীড়িত সাধুদের দুঃখ-দুর্দশা দেখে স্বামীজীর হৃদয় করণায় ভরে উঠেছিল। তাই পরবর্তী কালে স্বামী কল্যাণানন্দের মতো উপযুক্ত শিষ্যকে পেয়ে তিনি উপরি-উক্ত কথাগুলি বলেছিলেন। তারই ফলে স্বামী কল্যাণানন্দ এবং স্বামীজীর আর একজন শিষ্য স্বামী নিশ্চয়ানন্দের অক্লান্ত পরিশ্রমে কনখলে এক সেবাশ্রম গড়ে উঠল।

দেশের মানুষের দূরাবস্থার কথা ভেবে ভেবে স্বামীজী ঘু্মাতে পারতেন না। একটি ঘটনা আমরা এখানে উল্লেখ করলে বুঝতে পারব স্বামীজীর রোগ-যন্ত্রণা তাঁর কাছে অতি তুচ্ছ- দেশের মানুষের দুঃখ-যন্ত্রণা তাঁর সমস্ত হৃদয় জুড়ে ছিল। মঠে স্বামী বিজ্ঞানানন্দ স্বামীজীর ঘরের দিক থেকে করুণস্বরে কান্নার এক আওয়াজ শুনতে পেলেন। তিনি ভাবলেন, স্বামীজী কি অসুস্থতার যন্ত্রনায় কাঁদছেন? তিনি তাড়াতাড়ি স্বামীজীর ঘরের দিকে ছুটে গেলেন। গিয়ে দেখলেন স্বামীজী মেঝের উপর পড়ে করুণস্বরে কাঁদছেন। তিনি স্বামীজীকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘স্বমীজী, আপনার কি শরীর খারাপ?’ তখন স্বামীজীর চেতনা হল। তিনি বললেন ‘কে- পেসন? আমি ভেবেছিলাম, তোমরা ঘুমিয়ে পড়েছ।’ তখন বিজ্ঞানান্নন্দ মহারাজ তাঁর কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। স্বামীজী বেদনাহতচিত্তে সাশ্রুনয়নে বললেন ‘ দেশের দুঃখ-দৈন্য-দুর্দশার কথা ভেবে ভেবে আমি ঘুমুতে পারছি না, মনটা বেদনায় ছটফট করছে। তাই ঠাকুরের কাছে প্রার্থণা করছি, এদেশের সুদিন আসুক, দুর্দিন চলে যাক।’ বিজ্ঞানানন্দ মহারাজ সেদিন স্বামীজীকে অনেক সান্ত্বনা দিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়েছিলেন।

স্বমীজী মঠে আছেন। মঠে গরিব সাঁওতালরা কাজ করত। স্বামিজী তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করে জানতেন তাদের সাংসারিক দুঃখকষ্ট। দুঃখ-কষ্টের কথা শুনে স্বামীজীর চোখ ছলছল ক’রে উঠত। একদিন স্বামীজী স্বহস্তে তাদের লুচি-তরকারি মেঠাই-মণ্ডা দৈ ইত্যাদি সানন্দে পরিবেশন করে খাওয়ালেন। পরিতৃপ্তি সহকারে খাওয়ার পর সাঁওতালরা চলে গেলে, মঠের সন্ন্যাসীদের লক্ষ্য ক’রে স্বামীজী বললেন ‘দেখ, এরা কেমন সরল। এদের কিছু দুঃখ দূর করতে পারবি? নতুবা গেরুয়া পরে আর কি হ’ল? পরহিতায় সর্বস্ব অর্পণ – এরই নাম যথার্থ সন্ন্যাস। ইচ্ছা হয়- মঠ-ফট সব বিক্রি করে দিই, এইসব গরিব-দুঃখী দরিদ্র-নারায়ণদের বিলিয়ে দিই, আমরা তো গাছতলা সার করেইছি। আহা! দেশের লোক খেতে পরতে পাচ্ছে না! আমরা কোন প্রাণে মুখে অন্ন তুলছি? … আহা! দেশে-গরিব-দুঃখীদের জন্য কেউ ভাবে না রে! যারা জাতির মেরুদণ্ড, যাদের পরিশ্রমে অন্ন জন্মাচ্ছে, যে মেথর একদিন কাজ বন্ধ করলে শহরে হাহাকার রব ওঠে- পায়! তাদের সাহানুভূতি করে তাদের শোকে-দুঃখে সান্ত্বনা দেয়- এমন কেউ নেই রে! … তোরা সব বুদ্ধিমান ছেলে, হেথায় এতদিন আসছিস। কি করলি বল দিকি? পরার্থে একটা জন্ম দিতে পারলিনি? আবার জন্মে এসে তখন বেদান্ত -ফেদান্ত পড়বি। এবার পরসেবায় দেহটা দিয়ে যা, তবে জানবো- আমার কাছে আসা সার্থক হয়েছে।’

স্বামীজী শুধু ভারতের ছিলেন না। তিনি শুধু ভারতের মানুষের কথা ভাবেন নি। তিনি শুধু ভারতের মানুষের জন্য অশ্রু বিসর্জন করেননি। তিনি ছিলেন সমস্ত জগতের। তিনি শ্রীযুক্ত ই টি স্টাডিকে একটি পত্রে লিখেছিলেন। “আমাদের দৃষ্টিতে ভারতবর্ষ, ইংল্যান্ড কিংবা আমেরিকা ইত্যাদি আবার কি? ভুল করে লোকে যাদের ‘মানুষ’ বলে আমরা সেই ‘নারায়ণের-ই সেবক।” আর একটি পত্রে আলাসিঙ্গাকে স্বামীজী লিখেছিলেন ‘আমি যেমন ভারতের, তেমনি সমগ্র জগতের।।’ তাই দেখি, তিনি পাশ্চাত্যে গিয়েছিলেন টাকা উপার্জন ক’রে ভারতবর্ষের মানুষের দুঃখ দূর করতে, কিন্তু ওখানকার মানুষকে দেখেও তাঁর হৃদয় কেঁদেছিল। তিনি দেখেছিলেন তারা কামকাঞ্চনের উপাসক- আকণ্ঠ ভোগবিলাসে নিমগ্ন। ভুমার আনন্দ তারা জানে না। জানে না যে তারা পরমানন্দস্বরূপ আত্মা। যদি তারা না জানত, তাহলে ্তুচ্ছ ভোগবিলাসের মধ্যে সারাটা সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারত না। তাদের মধ্যে আত্মার এই বন্ধন্দশা দেখে স্বামীজীর হৃদয় করুণার্দ্র হয়ে উঠেছিল। তাই তিনি বেদান্তের বাণী তাদের কাছে প্রচার করলেন। তিনি সর্বশক্তিমান আত্মার মহিমার কথা তাদের কাছে প্রচার করলেন। বললেন উঠো জাগো! ভোগৈশ্বর্যের মধ্যে ডুবে থেকো না। তোমরা জাগো, জেগে দেখো তোমাদের আত্মার ঐশ্বর্য। আত্মজ্যোতির দর্শন পেলে তোমরা মুক্ত হয়ে যাব, তিরশক্তি পাবে- চিত্ত আনন্দের অধিকারী হবে।

স্বামীজী দেইতীয়বার যখন বিদেশে গিয়েছিলেন তখন একবার তাঁর কয়েকজন অনুরাগী বন্ধুদের সঙ্গে কায়রো শহরে বেড়াচ্ছিলেন। কথাবার্তা বলতে বলতে রাস্তা হারিয়ে তাঁরা এসে পড়েছিলেন শহরের এক প্রান্তে নোংরা বস্তির কাছে যেখানে পতিতারা থাকে। পতিতারা স্বামীজীকে দেখে হাসতে হাসতে ডাকতে লাগল। সঙ্গিনীদের একজন স্বামীজীকে এবং দলের অন্যদের তাড়াতাড়ি এই অস্বস্তিকর পরিবেশ থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলেন। কিন্তু স্বামীজী সেকথা না শুনে ধীরে-সুস্থে পতিতাদের দিকে এগিয়ে চললেন এবং বলতে লাগলেন যে বাছারা! আহা অভাগিনীরা ! ওরা তাদের সৌন্দর্য্যের পায়ে নিজেদের দেবীত্বকে বলি দিয়েছে। এখন দেখ দেখি তাদের অবস্থা।’ তাদের এই দুর্দশা দেখে তিনি অশ্রু বিসর্জন করতে লাগলেন।

একদিন ভারতের দুঃখক্লিষ্ট  মানুষের জন্য জমাট-বাঁধা দুঃখ আর একদিকে পাশ্চাত্যে জড়বাদের প্রভাবে স্বাধীন আত্মার বন্ধনদশা দেখে বেদনা- এই দুই যন্ত্রণা স্বামীজীর হৃদয়কে সমানভাবে বদ্ধ করেছে। স্বামীজী চেয়েছিলেন সন্ন্যাসীরা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের এই উভয়বিধ অভাবমোচনে অগ্রসর হোন। সন্ন্যাসীরা কি আদর্শে নিজেদের জীবন গঠিত করবে সে সম্বন্ধে স্বামীজী বলেছেন- “বহুজনহিতায় বহুজনসুখায় সন্ন্যাসীর জন্ম। সন্ন্যাস গ্রহণ ক’রে যারা এই উচ্চ লক্ষ্য ভুলে যায় ‘বৃথৈব তস্য জীবনম’। পরের জন্য প্রান দিতে, জীবের গগনভেদী ক্রন্দন নিবারণ করতে , বিধবার অশ্রু মুছাতে, পুত্রবিয়োগ-বিধুরার প্রাণে শাস্তিদান করতে, শাস্ত্রোপদেশ বিস্তারের দ্বারা সকলের ঐহিক ও পারমার্থিক মঙ্গল করতে এবং জ্ঞানালোক দিয়ে সকলের মধ্যে প্রসুপ্ত ব্রহ্ম-সিংহকে জাগরিত করতে জগতে সন্ন্যাসীর জন্ম হয়েছে।” তাঁর এই আদর্শের পতাকা যাঁরা বহন করবেন, সেই সব গুরুভাই ও শিষ্যদের আগ্নিময়ী ভাষায়া আত্মোৎসর্গ করতে আহ্বান করছেন ‘রামকৃষ্ণ এই জগতের জন্য প্রাণ দিতে এসেছিলেন। আমিও জগতের জন্য প্রাণ দেব। তোমরা সকলে দেবে- তোমরা সকলে-। … বিশ্বাস করো আমাদের বুকের রক্ত ঢেলে দিলে তার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে বিরাট বীরের দল ঈশ্বরের সোইনিক্রা, যারা আস্নবে জগতে বপ্লব। (স্বমীজীর ইংরেজী জীবনী থেকে শঙ্করীপ্রসাদ বসু কৃত অনুবাদ)।

শ্রীরামকৃষ্ণের দেওয়া মানুষের দুঃখ-যাতনায় ক্রুশটি স্বামীজী সারা জীবন ধরে বহন করেছেন। দুঃখ-যাতনার ক্রুশ বহন করতে তিনি নিজেকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দিয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন। তিনি নিজেকে স্বেচ্ছায় আহুতি দিয়েছেন সমগ্র মানবজাতির কল্যাণের জন্য। ভগবান যীশু মানবজাতির কল্যাণের জন্য বলেছিলেন পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত তিনি মানুষের বেদনা বহন করবেন। তেমনি স্বামী বিবেকানন্দ ও মানুষের দুঃখ-যাতনার ক্রুশটি সমগ্র মানবজাতির যতদিন মুক্তি না হয় ততদিন বহন করতে প্রস্তুত। তাঁর অমর বাণী ‘… আমি কোনো দিন কর্ম থেকে বিরত হব না। যতদিন না সারা জগৎ ঈশ্বরের সংগে একত্ব অনুভব করছে, ততদিন আমি সর্বত্র – মানুষের মনে প্রেরণা জাগাতে থাকব।’ সমাপ্ত

Published on: জানু ১৪, ২০২১ @ ১৯:৩০


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

54 − 46 =