Published on: ডিসে ১৮, ২০১৮ @ ২৩:৩৫
এসপিটি নিজ ডেস্কঃ সারা বিশ্ব জেনে গিয়েছে তাঁর নাম। ফিলিপিন্সের ক্যাট্রিওনা গ্রে হয়ে গিয়েছেন বিশ্ব সুন্দরী। জিতে নিয়েছেন ২০১৮ সালের মিস ইউনিভার্স খেতাব।এই সম্মান জেতার সঙ্গে তিনি হলেন ফিলিপিন্সের চতুর্থ সুন্দরী মহিলা। লাল গাউন পরা সুন্দরী গ্রে-কে মাথায় জয়ের মুকুট পরিয়ে দেন গতবারের মিস ইউনিভার্স নীল পীটার্স। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় ৯৩টি দেশের সুন্দরীরার অংশ নিয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সুন্দরী তমারীন গ্রিন দ্বিতীয় এবং ভেনেজুয়েলার সুন্দরী স্টেফনি গুতীরেজ তৃতীয় স্থান লাভ করেন।
কিন্তু সকলের মধ্যে একটাই প্রশ্ন উঠছে ফিলিপিন্সের সুন্দরীকে কি এমন প্রশ্ন বিচারক করেছিলেন যার জবাবে তারা সন্তুষ্ট হন আর ফিলিপিন্স সুন্দরী খেতাব জিতে নেন। তাহলে শুনুনু। গ্রে যখন এই প্রতিযোগিতার টপ ফাইভে পৌঁছন তখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়-কানাডা সম্প্রতি উরুগুয়ের সাথে গাঁজা বৈধ করার মান্নতা দিয়েছে। গাজাকে আইনী মান্যতা দেওয়া নিয়ে আপনার কি মনে হয়?
এই প্রশ্নের জবাবে গ্রে বলেন যে এর ব্যবহার কাউকে সুশ্রুষা করার জন্য ঠিক আছে, তা বলে এটি শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য ব্যবহার করা ঠিক নয়। কারণ সে ক্ষেত্রে মানুষ মদ এবং সিগারেট সম্পর্কে অনেক প্রশ্নও উত্থাপন করতে পারে। এটি ভাল হতে পারে তখনই যখন এর ব্যবহার মানুষ সঠিকভাবে করতে পারে।
কিন্তু যখন গ্রে টপ থ্রি-তে পোঁছন তখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় এমন একটি পাঠ যা আপনি আপনার নিজের জীবন থেকে শিখেছেন এবং মিস ইউনিভার্স হিসেবে আপনি অন্যদের তা দিতে চান।
“ম্যানিলার টন্ডোতে ছড়িয়ে পড়া বস্তিতে আমি অনেক কাজ করেছি। এখানে বসবাসরত মানুষের জীবনে দারিদ্র্য ছাড়াও দুঃখ আছে। কিন্তু আমি সর্বদা নিজেকে শিখিয়েছি যে সর্বত্র এমন কিছু সৌন্দর্য আছে যা খুঁজে বার করো। সেখানে শিশুদের চেহারায় আমি সেই একই সৌন্দর্য দেখেছি এজন্য আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। মিস ইউনিভার্স হয়ে যাওয়ার পর, আমি চেষ্টা করব যে আমি কি তাদের কিছু দিতে পেই। মিস ইউনিভার্স হিসেবে যদি আমি তাদের শিক্ষিত করতে পারি সেটা আমার কাছে আরও বড় সৌভাগ্যের বিষয় হয়ে উঠবে। আমরা এমন এক বিরল জগতে বাস করি যেখানে নেতিবাচকতা বাড়তে দেওয়া উচিত নয়। পাশাপাশি, সবসময় শিশুদের চেহারায় খুশির প্রভাব যেন থাকে।” এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বলেন ফিলিপিন্সের সুন্দরী।
এ এমন এক উত্তর ছিল যা উপস্থিত সাত বিচারকের হৃদয় জয় করে নেয় এবং গ্রে মিস ইউনিভার্স খেতাব জিতে নেন। মিস ইউনিভার্স মুকুট পরার পর উত্তেজিত গ্রে বলেন, “যখন আমার ১৩ বছর বয়স তখন আমার মা আমাকে বলেছিলেন তিনি আমাকে লাল রঙের পোশাকে মিস ইউনিভার্স-এর মুকুট পরা অবস্থায় দেখতে চান।” আপনারা জেনে রাখুন গ্রে একজন গায়িকার পাশাপাশি মডেলও। তিনি আমেরিকার বোস্টনে অবস্থিত বর্কলে কলেজ অফ মিউজিক-এ সঙ্গীতের শিক্ষা গ্রহণ করেন।
প্রকৃতপক্ষে, তিনি যে লাল রঙের গাউন পরতেন তা ছিল ফিলিপিন্সের আলবে প্রদেশের মায়োন আগ্নেয়গিরির দ্বারা অনুপ্রাণিত। এই প্রদেশেই তাঁর মায়ের বাপের বাড়ি।ফিলিপিন্সের রাষ্ট্রপতি রডরিগো ডটার্তে এই শিরোনাম জেতার জন্য গ্রে-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গ্রে দেখিয়েছে যে আমাদের দেশের নারীরা তাদের কঠোর পরিশ্রম, আবেগ এবং উদ্যোগের প্রতিটি স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।’
এই প্রতিযোগিতাটি বিশেষভাবে আকর্ষনীয় ছিল এই কারণে যে এবারই প্রথম স্পেনের ট্রান্সজেন্ডার এঞ্জেলা পোন্স মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। যদিও এবার ভারতীয় সুন্দরী নেহা চুড়াশ্মা শীর্ষ ২0 জনের মধ্যে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হন। শক্তিশালী নারী থিম নিয়ে আয়োজিত এই বছরের প্রতিযোগিতয় ছিলেন সাত নারী বিচারক। তাদের মধ্যে সাবেক মিস ওয়ার্ল্ড, মিস ইউনিভার্স, ফ্যাশন ডিজাইনার এবং উদ্যোক্তা ছিলেন।
ছবি-গুগল
Published on: ডিসে ১৮, ২০১৮ @ ২৩:৩৫