
বাপ্পা মণ্ডল, ডেবরা(পশ্চিম মেদিনীপুর)
এসপিটি নিউজ
৬ ডিসেম্বরঃ দলের জনসভায় বক্তব্য রাখতে এসে বুধবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সমস্ত গ্রামপঞ্চায়েত দখল করার ডাক দিলেন। একই সঙ্গে সভায় দাঁড়িয়ে সবং কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে বিরোধীদের ধুয়েমুছে সাফ করে দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরায় শান্তি ও সম্প্রীতি অব্যাহত রাখতে তৃনমূল যুব কংগ্রেসের পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির উদ্যোগে সংহতি দিবস উপলক্ষে এক ঐতিহাসিক জনসভার আয়োজন করা হয়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাত, দীণেন রায়, শিউলি সাহা, প্রদ্যুত ঘোষ, বিধায়ক সংগ্রাম দলুই সহ একাধিক নেতা-নেত্রীরা। সভা পরিচালনা করেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি। সমাবেশের প্রধান বক্তা পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকরের মূর্তিতে মালা দিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন।
তিনি বলেন-ভাল দেবতা হলেন জনতা-জনার্দন। তারাই হলেন আসল সম্পদ।বি আর আম্বেদকর যে সংবিধান রচনা করে গেছেন তাতে ভারতবর্ষ বহুত্ববাদে বিশ্বাসী। এখানে সকল ধর্মের মানুষ বাস করতে পারবে। যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে তাদের মানুষ বিশ্বাস করে না। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যারা দেশের পুরনো একটি সৌধ ভেঙে দিয়ে দেশকে হিংসার দিকে টেনে দিয়েছিল তারা ২০১৪ সালে প্রচারের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়নে কোন কাজ করেনি। ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল ক্ষমতায় এলে তারা দু’কোটি মানুষকে চাকরি দেবেন। কিন্তু কেন্দ্র সরকার একজনকেও চাকরি দিতে পারেনি। নোটবন্দি করে কালো টাকা ফিরিয়ে আনাতে পারেনি। জালনোট খতম হয়নি।গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক ঋণ শোধ না করে শিল্পপতিদের ২ লক্ষ ৯ হাজার কোটি টাকা দেনা শোধ করেছে কেন্দ্র সরকার। অথচ রাজ্য সরকার কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, শিশুসাথী, সমব্যাথী, গীতাঞ্জলী, গতিধারা, দু’টাকা কিলো দরে চাল, ছাত্র-ছাত্রীদের সাইকেল, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সেতু, রাস্তাঘাট সহ সব প্রকল্পের কাজ করেছে। এই সরকার মানুষের সরকার। মানুষের স্বার্থে কাজ করছে।
এই সভায় দাঁড়িয়ে সবং কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে বিরোধীদের ধুয়েমুছে সাফ করে দেওয়ার আহ্বান জানান শুভেন্দু অধিকারী।সবং-এর নির্বাচনে অতীতের সব রেকর্ডকে ভেঙে দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি আসনেই জিততে হবে। মানুষ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে আমাদের ভোট দেয়। যার ফলে আমরা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছি। দলীয় কর্মীদের তিনি এক জোট হয়ে কাজ করার আহ্বাণ জানান।
ছবিঃ রামপ্রসাদ সাউ