মুখে পাল্টা মারের দাওয়াই আবার সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের দ্বারস্থ দিলীপ ঘোষ, ফাকা কলসি বাজে বেশি-পাল্টা বললেন পার্থ

রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: এপ্রি ৩, ২০১৮ @ ২২:৫১

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৩ মার্চঃ পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পত্র তোলার দিন থেকেই শুরু হয়ে গেল অশান্তি। বিভিন্ন জেলা থেকেই সংঘর্ষের খবর এসেছে।বিজেপি-তৃণমূল কংগ্রেস উভয় দলই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে। এরই মধ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য ঘিরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। আগুনে ঘি দেওয়ার মতো করেই তিনি এদিন বলেন- প্রতি বারই পঞ্চায়েত ভোটে ৭০-৮০ জন মারা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। একদিকে তিনি যখন এমনটা বলছেন ঠিক তখন তিনি আবার রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের অভিযোই এনে দলীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আসেন।এরপর তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ-ফাকা কলসি বেশি বাজে। তাই উনি বলছেন আমরা মারতে শুরু করেছি। যে ভাষায় উনি কথা বলছেন তাতে বোঝাই যাচ্ছে এরা গণতন্ত্রের উপর বিশ্বাস রাখছে না।

এদিন পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভিন্ন ভিন্ন ছবি চোখে পড়ে। বিডিও অফিসের সামনে দেখা যায় এক পক্ষ আর এক পক্ষকে পেটাচ্ছে। কোথাও অভিযোগ উঠেছে বিজেপির পক্ষ থেকে আবার কোথাওবা তৃণমূলের। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি একেবারে উত্তপ্ত।

হুগলির আরামবাগে তো বিজেপির সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। মার খেয়ে তাকে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বেরিয়ে যেতে দেখে গেছে। বীরভূমেও বিজেপি কর্মীদের উপর ছুরি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কটাক্ষ- হোচট খেয়ে পড়ে গিয়ে কেউ যদি বলে বেরায় লেকে ছুরি মারা হয়েছে তাহলে আর কি বলার থাকতে পারে।

তবে এদিন সব চেয়ে বেশি আলোড়ন পড়ে যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্যকে ঘিরে। দিলীপ বলেন, দলবল নিয়ে মনোনয়ন জমা দেব। পঞ্চায়েত ভোটে মার তো হবেই। মার খেলে পাল্টা মার তো দেওয়া হবেই। প্রতিবার ৭০-৮০ জন শ্মশানে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। একই সঙ্গে তিনি বলেন, মঙ্গনবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন। রাজ্যপাল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকেও দেখা করার নির্দেশ পাঠিয়েছেন।

যা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপাল চান কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক,  উনি তো বিজেপির অভিযোগই শুনছেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মানুষের মনে রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন জাগছে।

Published on: এপ্রি ৩, ২০১৮ @ ২২:৫১


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

99 − = 93