Published on: জানু ১৭, ২০২৩ @ ২৩:৩৫
Reporter: Aniruddha Pal
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৭ জানুয়ারি: নতুন বছরের শুরুতেই অনিল পাঞ্জাবির মুকুটে আরও একটি পালক জুড়ল। বিশ্ব সিন্ধি সেবা সঙ্গম বা ভিএসএসএস-এর পশ্চিমবঙ্গের নয়া রাজ্য সভাপতি নিযুক্ত হলেন তিনি। সোমবারই মুম্বই-এ সংগঠনের বার্ষিক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া বা টাফি’র পূর্ব ভারতের চেয়ারম্যান-এর পাশাপাশি এখন তার উপর বিশ্ব সিন্ধি সেবা সঙ্গমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরু দায়িত্ব এল। তবে এই দায়িত্ব অনিল পাঞ্জাবি যে সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারবে সেই ব্যাপারে আশাবাদী ভিএসএসএস-এর ইন্টারন্যাশনাল চেয়ারম্যান ড. রাজু মানওয়ানি। তিনি বললেন – অনিল পাঞ্জাবি হলেন একজন অত্যন্ত ভালো সংগঠক।
আমি বিশ্ব সিন্ধি সেবা সঙ্গমের রাজ্য সভাপতি হওয়ার জন্য গর্বিত- অনিল পাঞ্জাবি
সংবাদ প্রভাকর টাইমস-কে প্রথম খবরটি দেন অনিল পাঞ্জাবি স্বয়ং। তিনি লেখেন- অত্যন্ত বিনয়ের সাথে আমি জানাতে চাই যে আমি বিশ্ব সিন্ধি সেবা সঙ্গম (ভিএসএসএস) পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছি।তিনি আরও জানান যে এটা আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের, আমি বিশ্ব সিন্ধি সেবা সঙ্গমের রাজ্য সভাপতি হওয়ার জন্য। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমি এই সংগঠনের হয়ে কাজ করার সুযোগ পাব। এই এক বছর আমার কাছে খুবই মূল্যবান। আমি আমার সব রকম প্রয়াসের সাথে সিন্ধি ভাষা,সিন্ধু সংস্কৃতি, সিন্ধি খাবারের প্রসারে কাজ করব। ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া বা টাফি’র মতো বিশ্ব সিন্ধি সেবা সঙ্গম বা ভিএসএসএস-ও আমার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমার লক্ষ্য হবে আমাদের রাজ্যে সিন্ধি উন্নয়ন। আমার বিশ্বাস পশ্চিমবঙ্গে সেই সুযোগ আছে।
ভিএসএসএস-এর ইন্টারন্যাশনাল চেয়ারম্যান ড. রাজু মানওয়ানি দিলেন প্রতিক্রিয়া
অনিল পাঞ্জাবিকে রাজ্যের নয়া সভাপতি নিযুক্ত করার খবর পাওয়ার পর সংবাদ প্রভাকর টাইমস যোগাযোগ করেছিল বিশ্ব সিন্ধি সেবা সঙ্গম বা ভিএসএসএস-এর ইন্টারন্যাশনাল চেয়ারম্যান ড. রাজু মানওয়ানির সঙ্গে। এসপিটি-কে তিনি বলেন- অনিল পাঞ্জাবি একজন অত্যন্ত দক্ষ সুসংগঠক। পশ্চিমবঙ্গে তাঁর সুনাম আছে।আমি মনে করি যে সে আগামী এক বছর পশ্চিমবঙ্গে সিন্ধি ভাষা, খাবার, সংস্কৃতির প্রসারে খুব ভালো কাজ করবেন এবং আমাদের সিন্ধি ভাষা, সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
সুবিধাবঞ্চিত এবং ব্যতিক্রমী (যোগ্য) সিন্ধি যুবকদের প্রচার করা যারা আর্থিক সহায়তায় আইএএস/আইপিএস ক্যাডারে যোগদান করতে ইচ্ছুক।এখনও পর্যন্ত গুজরাটই ভারতীয় ইউনিয়নের একমাত্র রাজ্য যেখানে আমাদের সিন্ধিদের “সংখ্যালঘু” মর্যাদা দিয়েছে। আমাদের লক্ষ্যগুলির মধ্যে একটি হবে ভারতের অবশিষ্ট রাজ্যগুলিতেও একই রকম “সংখ্যালঘু” মর্যাদা পাওয়া।
সিন্ধি সংস্কৃতির প্রচার: সিন্ধি ভাষা (পড়া, লেখা এবং বলা)। পাশাপাশি চেটি চাঁদ, চালিহি, তিজরি, গোগো, থাদরি, মহালক্ষ্মী সাগর ইত্যাদির মতো সিন্ধি উৎসব উদযাপন করা। ন্যূনতম চল্লিশ (৪০) জন সিন্ধি ছাত্র আছে এমন প্রতিটি স্কুলের পাঠ্যসূচিতে সিন্ধি ভাষা থাকতে হবে তা নিশ্চিত করা।সিন্ধি শিক্ষার্থীদের সিন্ধি ভাষায় ডিপ্লোমা নিতে উত্সাহিত করা যা তাদের সিভিল সার্ভিসে সরাসরি প্রবেশাধিকার দেবে।
নারীর ক্ষমতায়ন, সিন্ধি সিনিয়র সিটিজেনদের যত্ন নেওয়া, সুবিধাবঞ্চিত অথচ যোগ্য সিন্ধি ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, সিন্ধি মেয়েদের বিয়ে বা বিবাহযোগ্য হতে সহায়তা করা, নয়াদিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে “সিন্ধি মূক” (ঝাঁকি) এর অংশগ্রহণ পুনঃসূচনা করা, সিন্ধিদের জন্য “ভূমিহীন রাষ্ট্র” মর্যাদা এবং অবশ্যই ভারতের সমস্ত রাজ্যে সিন্ধি একাডেমি করা।সিন্ধি বিশ্ববিদ্যালয় করা।
বিশ্ব সিন্ধি সেবা সঙ্গম
বিশ্ব সিন্ধি সেবা সঙ্গম ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান গোপাল সজনানীর উদ্যোগে ভারতীয় সিন্ধি সেবা সঙ্গম হিসাবে শুরু হয়েছিল।২০১৭ সালে, ডঃ রাজু মানওয়ানি প্রথম আন্তর্জাতিক সভাপতি (বর্তমানে আন্তর্জাতিক চেয়ারম্যান) হিসাবে যোগদান করেন।ভিএসএসএস একটি কোর টিম, উপদেষ্টা কমিটি, আন্তর্জাতিক পরিচালক, দেশের রাষ্ট্রপতি, রাজ্য সভাপতি, জেলা সভাপতি এবং কেন্দ্র (শাখা) এর মাধ্যমে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে – বর্তমানে ৭২টি দেশ এবং ভারতীয় ইউনিয়নের ২৭টি রাজ্যে রয়েছে।দেশের সব রাজ্যে সিন্ধি সাহিত্য একাডেমি খোলা হচ্ছে।
Published on: জানু ১৭, ২০২৩ @ ২৩:৩৫