
সংবাদদাতা- বাপ্পা মণ্ডল
এসপিটি নিউজ, ঝাড়গ্রামঃ ‘তুমি যে এখানে, কে তা জানত? ‘ সত্যি, মান্না দম্পতিও জানতেন না, তাদের যাত্রাপথে দাতাল অপেক্ষা করে আছে।সেজেগুজে বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলেন আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে। কিন্তু পথে দাতালের সামনে পড়ে সব গেল ভেস্তে। বিয়ের ভোজ তখন মাথায় উঠল, পালানোর পথ পেলেন না মান্না দম্পতি।বুঝে ওঠার আগেই শুঁড়ে পেঁচিয়ে মারল আছাড়।স্ত্রীকে আহত অবস্থায় পাওয়া গেল জঙ্গলের ধারে। আশপাশের লোকজন যখন স্বামীকে উদ্ধার করে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তখন সব শেষ।মৃতের নাম স্বপন মান্না।আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তার স্ত্রী লক্ষীরানী মান্নাকে।
মানিকপাড়ার বাসিন্দা স্বপন মান্না তার এক আত্মীয়ের বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে আজ বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন। সাইকেলে চেপে যাচ্ছিলেন। সাথে ছিলেন স্ত্রী লক্ষীদেবী। তিনি সাইকেলের পেছনে বসে ছিলেন। তখন তারা ঝাড়গ্রামের নেদাবহরার কাছে এসেছেন। এই জায়গাটি জঙ্গল লাগোয়া। কাজু বাগান পেরোতে যাবেন মান্না দম্পতী ঠিক সেই সময় তাদের রাস্তা আগলে দাড়ায় মস্ত এক দাতাল। নিচে দাঁড়িয়ে ছিল আরো এক দাতাল। গ্রামবাসীদের বক্তব্য মোট ৫টি হাতি ছিল।এরা সবকটাই রেসিডেন্সিয়াল হাতি। বস্থা বেগতিক দেখে স্বপনবাবু তখন সাইকেল থেকে নেমে সাইকেলটিকে ঘোরাতে যাবেন সেই সময় পিছন থেকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে স্বপনবাবুকে আছাড় মারে দাঁতালটি। ছিটকে পড়েন লক্ষীদেবীও।
চিৎকার শুনে পাশেই ফুটবল মাঠ থেকে ছেলেরা ছুটে এলেও প্রথমে কিছুই করতে পারে না। পরে হাতিগুলো জঙ্গলে ঢুকে গেলে গ্রামের একটা ম্যাটাডোর এনে আহত স্বপনমান্নাকে হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তার স্ত্রী-কে। ঘণ্টা খানেক পরে তাকে জঙ্গলে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গ্রামবাসীরা। এডিএফ ও সমীর মজুমদার ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসেন। তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান মৃতের পরিবার আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ পাবে। বিয়েবাড়িতে এখন আনন্দের বদলে শুধুই শোকের ছায়া।