পাকিস্তান সহিংসতা, বিস্ফোরণ বা আত্মঘাতী হামলার মাধ্যমে কাশ্মীরের স্বাভাবিক পরিস্থিতি নষ্ট করার চেষ্টা করতে পারে।
ভারতীয় সেনা যে কোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত।
Published on: আগ ১৩, ২০১৯ @ ২০:৪৬
এসপিটি নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ 370 বিলুপ্তি নিয়ে পাকিস্তান সমানে লম্ফজম্ফ করে চলেছে। এখন তারা নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সৈন্য বাড়াতে শুরু করেছে। লাদাখের কাছে তাদের এয়ারবেসে তারা যুদ্ধবিমান নিয়ে আসতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে উঠতে শুরু করেছে। আর এসব নিয়েই এদিন আমাদের সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত দিয়েছেন এই জবাব।
মঙ্গলবার সেনা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেছেন যে ভারতীয় সেনাবাহিনী যে কোনও হুমকির মোকাবিলায় প্রস্তুত। তিনি বলেছেন যে গত কয়েকদিন ধরেই জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছে পাকিস্তান তার সামরিক ক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে। এটি স্বাভাবিক এবং আমরা এই ক্ষেত্রে যে কোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।
প্রতিটি দেশ তার সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত থাকে- সেনা প্রধান
1. সেনা প্রধান বলেন- “প্রতিটি দেশ যে কোনও বিপদকে সামনে রেখে সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পাকিস্তান যদি এলওসি-তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে থাকে, তবে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।”
2. একটি ইভেন্টের সময় সেনাপ্রধানকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে অনুচ্ছেদ 370 প্রত্যাহার করার পর থেকে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখার সাথে অবিচ্ছিন্নভাবে তার সক্ষমতা বৃদ্ধি করে চলেছে। এ সম্পর্কে জেনারেল রাওয়াত বলেছিলেন – “আমাদের এ নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করার দরকার নেই।”
3. আগামী দিনগুলিতে এলওসি-তে সামরিক কার্যক্রম বাড়ানোর প্রশ্নে তিনি বলেন- ” যেখানে সেনাবাহিনীর কথা উঠছে সেখানে আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি। যদি কিছু ভুল হয়ে যায় তবে তা মোকাবেলা করার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে। সামরিক তৎপরতা বাড়ালে তা হবে পাকিস্তানের পছন্দ।”
4. জেনারেল রাওয়াত বলেছেন- “শত্রুরা যদি এলওসি-তে তৎপরতা চায় তবে সেটা তাদের ইচ্ছা। এলওসি-তে সেনাবাহিনী উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। পাকিস্তান যদি শীতল অবস্থায় থাকে তবে সেনাবাহিনী তার প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত রয়েছে।”
5. “ভারতীয় সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডাররা পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন। এ ছাড়া যে কোনও ধরণের নাগরিক বিরোধিতার মুখোমুখি হতে এই অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।” জানান সেনা প্রধান।
সূত্রমতে, মোদী সরকার কর্তৃক জম্মু ও কাশ্মীর থেকে 370 অনুচ্ছেদ অপসারণের পরে, পাকিস্তান উপত্যকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা করতে পারে। তারা সহিংসতা, বিস্ফোরণ বা আত্মঘাতী হামলার মাধ্যমে রাজ্যের পরিস্থিতি নষ্ট করার চেষ্টা করতে পারে।
Published on: আগ ১৩, ২০১৯ @ ২০:৪৬